আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:২৮ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২৫, ২০২২

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এখন স্থল নিম্নচাপ, কমেছে বিপৎসংকেত

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং উপকূলে বৃষ্টি ঝরিয়ে শক্তি হারিয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এতে দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে বিপৎসংকেত কমিয়ে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগ সোমবার সন্ধ্যায় ভোলার কাছে বরিশাল–চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানে। মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র উপকূল অতিক্রম করে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সোমবার রাত সাড়ে নয়টায় কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে বাতাসের গতিবেগ ছিল সবচেয়ে বেশি—ঘণ্টায় ৭৪ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দমকা বাতাসে সোমবার কুমিল্লায় তিনজন, ভোলায় দুজন, সিরাজগঞ্জে দুজন, নড়াইল ও বরগুনায় একজন করে মোট নয়জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দিনভর অবারিত বৃষ্টিতে নগরের সব রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। আগরপুর সড়ক, বরিশালঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দিনভর অবারিত বৃষ্টিতে নগরের সব রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। সোমবার মধ্যরাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে স্থল নিম্নচাপ আকারে ঢাকা–কুমিল্লা–ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থান করছে। রাতেই ঘূর্ণিঝড়টি সিলেট হয়ে ভারতে প্রবেশ করবে।ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল ছেড়ে এলেও এখনো উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এই পরিস্থিতিতে মোংলা, পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আর কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সূত্র: প্রথম আলো

ঘূর্ণিঝড়
সিত্রাংয়ের আঘাতে ১৫ জেলা প্লাবিত
► কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও ভোলায় ৫-৭ ফুট জলোচ্ছ্বাস ► দুই জেলায় গাছচাপা পড়ে তিনজনের প্রাণহানি ► উপকূলে আঘাতের সময় বাতাসের গতি ছিল ৮০-১০০ কিমি ► তিন বিভাগে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের অগ্রভাগ গতকাল সোমবার সন্ধ্যার পর দেশের উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করতে শুরু করেছে। এতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে কয়েক ফুট পানি বেড়ে যাওয়ায় ১৫ জেলার দ্বীপ ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও ভোলার নিম্নাঞ্চলে পাঁচ থেকে সাত ফুটের মতো পানি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র গতকাল মধ্যরাত থেকে উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করার কথা।তখন জোয়ার থাকলে জলোচ্ছ্বাস বেড়ে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানি এড়াতে উপকূলীয় জেলাগুলোতে কয়েক লাখ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এর মধ্যে টানা বৃষ্টি ও বাতাসে গাছ পড়ে গতকাল দুই জেলায় তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া উত্তাল সাগরের ঢেউয়ে কক্সবাজারের টেকনাফে ২০টি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেছে। ওই সব ট্রলারের জেলেদের ভাগ্যে কী ঘটেছে তাত্ক্ষণিক জানা যায়নি। সূত্র: কালের কণ্ঠ

ঘূর্ণিঝড় পূর্বাভাসে ঘাটতি, তথ্যের গরমিল ও ওয়েবসাইট অচল

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের পূর্বাভাস, সতর্কবার্তা পৌঁছানো ও আগাম প্রস্তুতিতে ঘাটতি ছিল মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পূর্বাভাস নিয়েও একেক সময় একেক বার্তা দেওয়া হয়েছে। আগে থেকে সতর্ক না করার কারণে মানুষ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে পারেনি। ফলে ঝড়-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে শেষ মুহূর্তে আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটেছে মানুষ। গত ১ অক্টোবর আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে মাসের শেষ দিকে একটি ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কার কথা জানানো হয়। এরপর বিভিন্ন গণমাধ্যম একাধিকবার ঘূর্ণিঝড় নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। কানাডার সাসক্যাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ গত ৮ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেম বা জিএফএসসহ বিশ্বের বিভিন্ন আবহাওয়া মডেলের পূর্বাভাসের ভিত্তিতে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কার খবর দেন ফেসবুকে। বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়া এবং সংবাদমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দেয়। এরপর ওই গবেষক ২৪ অক্টোবর বাংলাদেশের উপকূলে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে- সে ব্যাপারে ১৪ বার বার্তা দেন। ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য এ তারিখ যতই ঘনিয়ে আসে ততই ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি) তৎপর হয়ে ওঠে। গত ১৯ অক্টোবর থেকে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আইএমডি প্রতিদিন তথ্য দিলেও এ নিয়ে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিম্নচাপ সৃষ্টির তথ্য ছাড়া আর কোনো আপডেট ছিল না। এমনকি ২১ অক্টোবরও ঘূর্ণিঝড় নিয়ে কোনো তথ্য ছিল না আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে। ২২ অক্টোবর নিম্নচাপ সৃষ্টির বুলেটিনেও ছিল না ঝড়ের গতি-প্রকৃতির সম্ভাব্য তথ্য। ২২ অক্টোবরও আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত করবে কিনা, এখনই নিশ্চিত নয় তারা। সূত্র: সমকাল

Nagad

রাতভর ঝড়োহাওয়া বৃষ্টি
সিত্রাংয়ের ছোবল উপকূলে
ভোলার নিকট দিয়ে বরিশাল চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র * বাতাসের গতি ছিল সর্বোচ্চ ৯৫ কিমি. * ভেঙে গেছে ঘরবাড়ি-গাছপালা ও বেড়িবাঁধ, ভেসে গেছে ঘের-পুকুরের মাছ, বহু গ্রাম প্লাবিত, নিহত ৭ * অমাবস্যা আর জোয়ারের প্রভাবে ৯ ফুট পর্যন্ত উঁচু জলোচ্ছ্বাস

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং বাংলাদেশের উপকূলেই আঘাত হেনেছে। সোমবার সন্ধ্যায় এর অগ্রভাগ পৌঁছায় বরিশাল ও খুলনার উপকূলে। এরপর কয়েক ঘণ্টা তাণ্ডব চালিয়ে সামান্য পূর্বদিকে বাঁক নেয়। রাত ৯টার দিকে এর কেন্দ্র বা চোখ ভোলার নিকট দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম শুরু করে। পরবর্তী ৩-৪ ঘণ্টার মধ্যে এটি স্থলভাগে উঠে আসে।কিন্তু প্রায় সারা রাত ১৯ জেলায় ভয়ানক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। ঝড়ে তছনছ হয়ে যায় বিভিন্ন এলাকা। সন্ধ্যায় যখন ঝড়ের অগ্রবর্তী অংশ স্থলভাগ স্পর্শ করে তখন এর বাতাসের একটানা গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার।পরে এর কেন্দ্র যতই উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছায়, ততই মানুষ ঝড়ের ভয়ংকর রূপ দেখতে থাকে। উপকূল অতিক্রমকালে ৮৫ থেকে ৯৫ কিলোমিটার পর্যন্ত ছিল ঝড়ো হাওয়ার গতি। সুন্দরবনের তিনকোনা দ্বীপ থেকে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৭০০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছিল ঝড়ের প্রাথমিক আয়তন। কিন্তু এর ডান ও বামে আরও অনেক এলাকায় প্রভাব ফেলে।বিশেষ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এমনকি ওড়িশায়ও এর প্রভাব পড়েছিল। সিত্রাংয়ের কারণে প্রথমে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং খুলনা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী ও বরিশালসহ ১৩ জেলায় ৭ নম্বর বিপদসংকেত জারি করা হয়। সূত্র: যুগান্তর।

সিত্রাং কেড়ে নিল ৭ প্রাণ
কুমিল্লায় এক পরিবারের তিনজন, ভোলায় দুজন এবং নড়াইল ও ঢাকায় একজন করে মারা গেছেন ঝড়ের মধ্যে।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের মধ্যে গাছ ভেঙে পড়ে এবং দেয়াল ধসে দেশের চার জেলায় অন্তত সাতজনের মৃত্যুর খবর এসেছে। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র।
ভারি বর্ষণ আর স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে কয়েক ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস সঙ্গী করে সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম শুরু করে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’। এর কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই ঝড়ো হাওয়া আর ভারী বর্ষণ শুরু হয় উপকূলের জেলাগুলোতে। সন্ধ্যা থেকেই বিভিন্ন উপকূলীয় জেলায় গাছ ভেঙে সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর আসতে থাকে, বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে ও তার ছিঁড়ে বহু এলাকা অন্ধকারে ডুবে যায়।এর মধ্যে ভোলার দৌলতখান ও চরফ্যাশন এবং নড়াইলের লোহাগড়ায় গাছ ভেঙে তিনজনের মৃত্যু হয়। সূত্র: বিডি নিউজ

চিনিতে অস্থিরতা কারসাজি

চিনির বাজারে অস্থিরতার পেছনে সাতটি কারণ খুঁজে পেয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। সংস্থাটি চিনি পরিশোধনকারী মিলগুলোতে অভিযান চালিয়ে জানতে পেরেছে, পরিশোধনকারী মিল মালিকরা উৎপাদন কমিয়ে দেওয়ায় বাজারে হঠাৎ চিনির সংকট দেখা দিয়েছে। অবশ্য উৎপাদন কমিয়ে দেওয়ার পেছনে গ্যাস সংকটকে দায়ী করেছেন মিল মালিকরা। সূত্র জানায়, হঠাৎ বাজার থেকে প্যাকেট চিনি উধাও হয়ে যাওয়ার পর বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের বেশ কয়েকটি টিম মাঠে নামে। তারা পরিশোধন মিলগুলোতে অভিযান চালিয়ে দেখতে পায় দেশের একটি বড় আকারের কারখানা চিনির উৎপাদন তাদের সক্ষমতার অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে। কারখানা কর্তৃপক্ষ ৫০ ভাগ চিনি উৎপাদন কম হওয়ার পেছনে গ্যাস সংকটকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করে। কোনো কোনো কারখানায় উৎপাদিত চিনির সাপ্লাই অর্ডারে কোনো মূল্য তালিকাও ছিল না। একটি কারখানা সরবরাহ আদেশ নেওয়ার পরও সময়মতো চিনি সরবরাহ করেনি। সে কারণেও বাজারে হঠাৎ চিনির সংকট দেখা দেয়। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের টিম মেঘনা সুপার রিফাইনারি, সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ, আবুল মোনেম সুগার রিফাইনারি লি., দেশবন্ধু সুগার মিল এবং চট্টগ্রামের এস আলম সুগার রিফাইনারিতে অভিযান চালিয়ে এসব অনিয়ম দেখতে পায়। সূত্র; বিডি প্র্রতিদিন।

মূল্যবৃদ্ধির কারণে টিকিট বিক্রি কম
কনসার্টের তারিখ পেছাচ্ছেন সংগীতশিল্পীরা

মূল্যস্ফীতির প্রভাব পড়েছে শিল্প অঙ্গনে। সংগীতশিল্পীদের ট্যুর ও কনসার্ট কেন্দ্রিক প্রয়োজনীয় প্রপসের মূল্য বেড়েছে। ফলে কনসার্টের খরচ পূরণ করতে বাড়াতে হচ্ছে টিকিটের দাম। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে কমে যাচ্ছে টিকিট বিক্রি। এসব কারণে শিল্পীরা তাদের কনসার্টের তারিখ পেছাচ্ছেন। কখনোবা পুরো ট্যুরই বাতিল করছেন।এ মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যান্ড অ্যানিমেল কালেক্টিভ তাদের ইউরোপের ট্যুর বাতিল করে। তারা বলেছিলেন বিষয়টি তাদের জন্য কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এর কিছুদিন পরে দি ইউকে ডাউনটেম্পোর প্রযোজক বোনোবো বলেন, আমেরিকার শোগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে দুর্মূল্য হয়ে গিয়েছে। এর পরপর ইলেকট্রনিক মিউজিশিয়ান ‘ট্যুরিস্ট’ তার আমেরিকার শো বাতিল করে বলেছেন, ‘মাঝে মাঝে টিকিট একদমই বিক্রি হয় না।’ এ ধরনের ঘোষণার সঙ্গে আরো আছে স্যান্টিগোল্ড, ডেমি লেভাটো, পোপি আজুধা ও মার্কারি পুরস্কারজয়ী লিটল সিমজ। তাদের মতো শিল্পীদের কনসার্ট বাতিল হয়ে যাওয়া একটি বড় ব্যাপার। ক্যারোলিন পোলাচেক বলেছেন, তিনি স্টুডিওতে বেশি সময় দিতে চান এবং জাস্টিন বিবার মানসিক স্বাস্থ্যের ছুতো দিয়েছেন। ইনডিপেনডেন্ট ভেন্যু উইকের প্রতিষ্ঠাতা সাইবিল বেল বলেন, ‘প্রতিদিনই আমরা কোনো না কোনো ট্যুর বাতিল হওয়ার ঘটনা দেখি। এ ব্যাপারগুলো সাধারণ মানুষ খুব একটা পছন্দ করে না। কেলি উড বলেন, ‘এখন সময়টা কঠিন আর সে কারণে প্রডাকশন দুনিয়া ধ্বংসের মুখে।’ তিনি মিউজিশিয়ানস ইউনিয়নের পক্ষ থেকে লাইভ পারফরম্যান্সের ন্যাশনাল অর্গানাইজার। তিনি আরো বলেন, ‘শিল্পীরা স্বেচ্ছায় এসব শো বাতিল করেন না। তাদের হাতে কোনো বিকল্প থাকে না বলেই তারা বাধ্য হন।’ সূত্র: বণিক বার্তা।

সুলভের বিদেশী ঋণ ক্রমেই ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে

গত এক দশকে বিদেশী ঋণের উৎসে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবির মতো বহুজাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পরিবর্তে মোট ঋণের পোর্টফলিওতে এখন দ্বিপক্ষীয় ঋণেরই প্রাধান্য দেখা যাচ্ছে বেশি। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফের মতো দাতা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে নেয়া ঋণের সুদহার ছিল নির্দিষ্ট ও সুলভ। ঋণ পরিশোধের মেয়াদ ২০-২৫ বছর হলেও সুদহার নির্ধারিত ছিল সর্বোচ্চ ২ শতাংশ। সেখানে এখন বৈদেশিক ঋণের উল্লেখযোগ্য অংশ দখল করে নিয়েছে সাপ্লায়ার্স ক্রেডিট ও বাণিজ্যিক শর্তযুক্ত ঋণের মতো কঠিন শর্তের ঋণও।

দীর্ঘদিন এ ধরনের ঋণের সুদ বা ব্যয় নির্ধারণ হয়েছে শুধু লন্ডন ইন্টারব্যাংক অফারড রেটের (লাইবর) ভিত্তিতে। গত পাঁচ বছরে সে জায়গা দখল করে নিয়েছে সিকিউরড ওভারনাইট ফাইন্যান্সিং রেট (এসওএফআর)। এসওএফআর হলো ডলারভিত্তিক ঋণের সুদহার, যার ওঠানামা নির্ভর করে মার্কিন ট্রেজারি বন্ডের সুদহারের ওপর। এসওএফআর নির্ধারণের ক্ষেত্রে কোলেটারাল (বা নিশ্চয়তা হিসেবে গৃহীত সম্পদ) হিসেবে ধরা হয় মার্কিন ট্রেজারি বন্ডের বাজারকে। ট্রেজারি বন্ডের সুদহার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এসওএফআরও বেড়ে যায়। এসব ঋণের ক্ষেত্রে লাইবর বা এসওএফআরের প্রচলিত হারের সঙ্গে ঋণ চুক্তিতে নির্ধারিত সুদহার যুক্ত করে মোট সুদ নির্ধারণ করা হয়। এসব কিস্তি পরিশোধের সময় বাজারে এসওএফআরের প্রচলিত হারের নির্ধারিত সুদহার ছাড়াও সার্ভিস চার্জসহ অন্যান্য ব্যয়ও যুক্ত করতে হয়। শর্ত কঠিন হলেও এসওএফআরভিত্তিক ঋণ এতদিন মোটামুটি সুলভেই পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০২০ সালে কভিড সংক্রমণ শুরুর পরই এসওএফআর নেমে আসে শূন্যের কাছাকাছি পর্যায়ে। প্রায় দুই বছর শূন্যের কাছাকাছি পর্যায়েই স্থিতিশীল ছিল এসওএফআর হার। এ সময়টিতেই দেশের সরকারি-বেসরকারি খাত বৈদেশিক ঋণ নিয়েছে সবচেয়ে বেশি। তুলনামূলক কম সুদহারের সঙ্গে প্রায় শূন্য এসওএফআর যুক্ত হওয়ায় এ সময় বেশ সুলভেই ঋণ নিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু গত ছয় মাসে ক্রমেই বেড়ে এখন এসওএফআর দাঁড়িয়েছে ৩ শতাংশেরও বেশিতে। নির্ধারিত এ সুদহারের সঙ্গে বাড়তি এ এসওএফআর যুক্ত করে ঋণের সুদ পরিশোধ করতে হচ্ছে দেশের সরকারি-বেসরকারি খাতকে। সুলভে পাওয়া ঋণ এখন দিনে দিনে আরো ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে। এ ধারা সামনের দিনগুলোয় আরো অব্যাহত থাকবে বলে ফেডারেল রিজার্ভসহ (ফেড) দেশী-বিদেশী বিভিন্ন সংস্থা ও বিশেষজ্ঞের পূর্বাভাসে উঠে এসেছে। সূত্র: বণিক বার্তা।

ঢাকা- চট্টগ্রাম মালবহনে বড় পরিকল্পনা রেলওয়ের

এক শতাব্দীরও বেশি কাল আগে ব্রিটিশ শাসকদের অধীনে বাংলাদেশের বর্তমান ভুখণ্ডে চালু হয় বাণিজ্যিক রেল যোগাযোগ। উপনিবেশিক সে আমল থেকেই ফ্রেইট ট্রেন বা মালবাহী রেলগাড়ি হয়ে ওঠে সম্পদ পরিবহন ও ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যের প্রতীক। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ধীরে ধীরে সড়কপথে পরিবহন বাড়তে থাকায় রেলওয়ে হারাতে থাকে তার মালবাহী অংশের বাজার। তাতে অবশ্য রেলপথের আবেদন ফুরায়নি। কারণ রেলপথে মালবহনের মাধ্যমে সাড়া দেশে যত কনটেইনার বহন করা হয় তার ২৫ শতাংশ করার সম্ভাবনা রয়েছে। যা সড়ক থেকে দৈনিক ৫০০ কনটেইনারবাহী ট্রাক অপসারণের সমান। বাংলাদেশের প্রধান বাণিজ্য ও পরিবহনের ধমনী ঢাকা-চট্টগ্রাম রুট। কিন্তু, সক্ষমতার ঘাটতির কারণে এপথে দিনে মাত্র দুটি কনটেইনার ট্রেন চলাচল করছে– যাতে মোট মালবহনের মাত্র ১০ শতাংশ সেবা দিতে পারছে রেলওয়ে।
অবকাঠামোগত এই প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠতে ১৬৮ কোটি ডলারের একটি প্রকল্প নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর মাধ্যমে এই রুটে কনটেইনার বহনের মডাল শেয়ার বাড়ানোর প্রত্যাশা করা হচ্ছে বলে জানান কর্মকর্তারা। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও প্রাথমিকের পাঠদান অব্যাহত রাখার নির্দেশ
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর ফলে সৃষ্ট ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। নিয়মিত পাঠদান চালু রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-শিক্ষকদের।সোমবার ডিপিই’র সহকারী পরিচালক নাসরিন সুলতানা স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম, খুলনা এবং বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় জেলাসমূহসহ অন্যান্য জেলায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর সম্ভাব্য প্রভাবের বিষয়ে সর্তকতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিদ্যালয়গুলোতে শ্রেণি পাঠদান চালু রাখার বিষয়ে স্থানীয় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে হবে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠদান চালু রাখতে মাঠ কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশনা প্রদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দিকে সিত্রাংয়ের পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে চট্টগ্রাম, খুলনা এবং বরিশাল বিভাগের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সোমবার রাতে মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সূত্র: জাগো নিউজ