‘ব্যবসায়ীদের এখান আর কোনো হাওয়া ভবনের যন্ত্রণায় যন্ত্রণা নেই’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৪:৫০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৬, ২০২২

সংগৃহীত ছবি-

বিএনপি সরকারের সময় হাওয়া ভবনের দৌরাত্মের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন লাভের ব্যাপারে চিন্তা করেন। আগে তো একটা বড় অংশ হাওয়া হয়ে যেতো। এখন আর সেই হাওয়া হওয়ার ব্যবস্থাটা নাই। সেখান থেকে সবাইকে মুক্ত রেখেছি। তো সেটাই মাথায় রেখে যদি মনে করেন (ব্যবসা করেন) যে না- দেশের কথা চিন্তা করে, দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে।’

বুধবার (২৬ অক্টোবর) গণভবনে ভোগ্যপণ্য আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর সব দলের ব্যবসায়ীর জন্য সমান পরিবেশ আমি সৃষ্টি করে দিয়েছি। আমরা কোনো দল বাছতে যাইনি।

‘এখানে কোনো হাওয়া ভবনও নেই, আর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কোনো উন্নয়ন উইংও নেই যে হাওয়া ভবনে এক ভাগ দিতে হবে, উন্নয়ন ভবনে এক ভাগ দিতে হবে। এই যন্ত্রণায় তো এখন আর আপনাদের ভুগতে হয় না। এটা তো আপনারা নিশ্চয় স্বীকার করবেন,’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ১৪ বছর একটানা ধারাবাহিকভাবে আপনারা লাভজনক ব্যবসা করে গেছেন। আমরা কিন্তু করোনার সময়ও মোকাবিলা করলাম, প্রণোদনা দিলাম। আমার কাছে কেউ এসে দাবি করেনি বা বলেনি। কিন্তু আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

সরকারপ্রধান বলেন, পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ, তাদের সমস্ত কর্মকাণ্ড বন্ধ। আমরা বলেছি, এখানে বন্ধ হতে দেব না। এখানে চালু রাখতে হবে। গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন তো আমি দিয়ে দিলাম সব। প্রণোদনা প্যাকেজ করলাম, বিশেষ বরাদ্দ দেওয়ার ব্যবস্থা করলাম।

Nagad

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানসহ শীর্ষ কয়েকজন ব্যবসায়ী।