‘সোলার প্যানেল প্রতিষ্ঠায় চীনের কোম্পানি বিনিয়োগ করতে চায়’

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:৪৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৬, ২০২২

সংগৃহীত ছবি-

ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং -বলেন, বাংলাদেশকে ক্লিন অ্যানার্জি খাতে সহযোগিতা করতে আগ্রহী চীন। কারখানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লিন অ্যানার্জির লক্ষ্যে সোলার প্যানেল প্রতিষ্ঠায় চীনের কোম্পানি বিনিয়োগ করতে চায়।

বুধবার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং এ কথা জানান।

এ সময় তিনি বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে বাংলাদেশে জ্বালানি সংকট চরমে পৌঁছালে জরুরি সহায়তা দিতে প্রস্তুত থাকবে চীন। চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন জ্বালানি আমদানি করে থাকে। আমাদের পক্ষে রপ্তানি করার মতো পরিস্থিতি নেই। তবে বাংলাদেশের খুব বেশি প্রয়োজন হলে চীন চুপ করে বসে থাকবে না, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জ্বালানি সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। আমি বিষয়টি বেইজিংয়ের সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছি।

চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে আহত-নিহতদের প্রতি সমবেদনা জানাই। আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করতে আগ্রহী। চীনা রাষ্ট্রদূত ঋণ ব্যবস্থাপনা, বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়েও কথা বলেন।

জিমিং বলেন, শ্রীলঙ্কায় পশ্চিমা দেশের ঋণই বেশি। সেখানে চীনা ঋণ মাত্র ১০ শতাংশ। আর বাংলাদেশে চীনা ঋণ মাত্র ৬ শতাংশ। শ্রীলঙ্কার চেয়ে বাংলাদেশে চীনা ঋণ অনেক কম। আর বাংলাদেশে শুধু চীনই ঋণ দেয় না। অনেক দেশই দেয়। তাই চীনা ঋণের ফাঁদ কথাটি অমূলক।

তিনি বলেন, চীনা বাজারে ৯৮ শতাংশ বাংলাদেশি পণ্য শুল্ক সুবিধা পাচ্ছে। আগামী দিনে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সহযোগিতা আরও বাড়বে বলে প্রত্যাশা করেছেন রাষ্ট্রদূত।

Nagad

রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন ইউক্রেন ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে অভিন্ন মত পোষণ করে। চীন শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যা সমাধানে আলোচনা ও আলোচনার গুরুত্ব তুলে ধরে।

রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, চীন রোহিঙ্গাদের দ্রুত তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

লি জিমিং বলেন, চীন সবসময় স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায়। চীন বিশ্বাস করে, বাংলাদেশ তাদের অভ্যন্তরীণ ইস্যু শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক উপায়ে সমাধান করবে। অনেক চীনা কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী। চীনের মানুষ যেমন বাংলাদেশকে পছন্দ করে, তেমনি চীনের ব্যবসায়ীরাও। এজন্য চীন সব সময় চায় বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা বজায় থাকুক।

এ সময় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমার সমস্যা সমাধানে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে চীনা মুদ্রা ব্যবহারের পরামর্শ দেন রাষ্ট্রদূত। লি জিমিং বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সাশ্রয় করতে চাইলে বাংলাদেশ ডলারের পরিবর্তে চীনের মুদ্রায় বাণিজ্যিক লেনদেন করতে পারে।

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিকাব) আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সংগঠনের সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস ও সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈনউদ্দিন বক্তব্য রাখেন।