‘৯০ শতাংশ যক্ষ্মা রোগীই সুস্থ হচ্ছে, টিবির ওষুধ রপ্তানি হবে বিদেশেও’

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৫:১৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩০, ২০২২

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, দেশেই টিবির ওষুধ তৈরি হচ্ছে। এগুলো দেশে ব্যবহারের পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানি করবো। একই সঙ্গে দেশে ভালো মানের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। টিবিতে আমাদের যে বাজেট বরাদ্দ রয়েছে প্রয়োজনে তা বাড়ানো হবে।

রোববার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত টিবি বিষয়ক নবম জেএমএম প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, দেশে প্রতিবছর যক্ষ্মায় ৩ লাখেরও অধিক মানুষ আক্রান্ত হয়। পৃথিবীর জন্মলগ্ন থেকে এ রোগের প্রাদুর্ভাব এখনো রয়ে গেছে। এতে আগে মৃতের হার বেশি থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে কমে এসেছে। এখন শতকরা ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ যক্ষ্মা রোগীই সুস্থ হয়ে যাচ্ছে। সমাজে প্রচলিত স্টিগমা দূর করে মৃতের হার আরও কমানো সম্ভব।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালে যেখানে যক্ষ্মায় ৭০ হাজারের অধিক মৃত্যু ছিল এখন তা ৪০ হাজারে নেমে এসেছে। আমাদের মৃত্যু বেশি, কারণ আমাদের জনসংখ্যাও বেশি। আমরা চাই মানুষ চিকিৎসা নিতে আসুক। তাদের চিকিৎসা দেওয়ার সব ব্যবস্থা রয়েছে।

তিনি বলেন, টিবি পরিস্থিতির অগ্রগতি হচ্ছে। ব্যাপকভিত্তিতে টিবি স্ক্রিনিং কার্যক্রম চলছে। আমাদের সব হাসপাতালে যক্ষ্মা পরীক্ষার যন্ত্রপাতি রয়েছে। টিবির বিষয়ে আমাদের দেশে বেশ কিছু স্টিগমা আছে। তবে পরিবর্তন আসছে। মানুষ এখন কুসংস্কার এড়িয়ে চিকিৎসা কেন্দ্রে যাচ্ছে।

ডেঙ্গু পরিস্থিতির বিষয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ডেঙ্গুতে মৃত্যু বেড়েছে। প্রতিদিন শত শত মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। এখন প্রতি জেলায়ই রোগী পাওয়া যাচ্ছে। আমরা ডেঙ্গু প্রতিরোধের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। আমরা সহায়তাও দিচ্ছি। আমরা চিকিৎসা দিতে পারি কিন্তু আক্রান্তের হার কমাতে মশা কমাতে হবে। এটি স্থানীয় সরকার বিভাগকে করতে হবে।

Nagad

এসময় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে জিরো টিবি লক্ষ্য বাস্তবায়ন সম্ভব। ডায়াবেটিস, তামাকজাত দ্রব্যের সেবন টিবি নির্মূলে বড় অন্তরায়। তামাকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হলে টিবি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।

অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।