‘আমার প্রতিটি কাজের সঙ্গে সাজেদা চৌধুরী যুক্ত ছিলেন’

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:৩৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩০, ২০২২

সংগৃহীত-

আমার প্রতিটি কাজের সঙ্গে সাজেদা চৌধুরী যুক্ত ছিলেন-বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সবসময় তাঁর সঙ্গে পরামর্শ করতাম। আসলে তাঁর কথা বলে শেষ করা যাবে না।

আওয়ামী লীগ আমাদের একটি পরিবারের মতো। সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে ছোটবেলা থেকে চিনতাম। তিনি আমার বাবার সঙ্গে রাজনীতি করতেন। এজন্য তাঁকে আমরা ফুফু ডাকতাম। তিনি ঢাকায় আসার পর আমাদের বাসায় নিয়মিত আসতেন। তিনি আমাদের পরিবারের সদস্যদের মতো হয়ে গিয়েছিলেন।

রোববার (৩০ অক্টোবর) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রয়াত সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ও সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি এ্যানী রহমানের ওপর আনা শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সাজেদা চৌধুরী আওয়ামী লীগে যে অবদান রেখে গেছেন তা ভুলার নয়। চরম দুর্দিনে আওয়ামী লীগের হাল ধরা ও দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করেছেন তিনি। সাজেদা চৌধুরী নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করেছেন। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি ক্যাম্পের নেতৃত্বে ছিলেন যেমন তেমনি মুক্তিযোদ্ধাদেরও সংগঠিত করেছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্টের পর তো আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর ওপর অকথ্য নির্যাতন নেমে আসে। সাজেদা চৌধুরীও এর শিকার। জিয়াউর রহমান তাকে গ্রেফতার করেন। তার অপারেশন হয়েছিল গায়ে জ্বর ছিল এ অবস্থায় জিয়াউর রহমান তাকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠায়। মতিয়া চৌধুরীকেও গ্রেফতার করে। তিনিও অসুস্থ ছিলেন। তাদের ডিভিশনও দেয়নি। সাধারণ কয়েদির মতো তাদের জেলে রাখা হয়। এদেশের প্রত্যেকটি আন্দোলন, সংগ্রামে সাজেদা চৌধুরী সব সময় সামনে থাকতেন। জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি দিল্লি গিয়েছিলেন আমার সঙ্গে দেখা করতে। আমরা তাকে ফুফু বলে ডাকতাম। জিয়াউর রহমান আইন করেছিল পার্টির রেজিস্ট্রেশনে কারো নাম দেওয়া যাবে না। কিন্তু এ ব্যাপারে সাজেদা চৌধুরী অটল ছিলেন। তিনি বলেছিলেন বঙ্গবন্ধু ছাড়া পার্টি হয় না। আমাদের দলের মধ্যেও কারো কারো দ্বিধা দ্বন্দ ছিল কিন্তু এ ব্যাপরে অটল ছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে চেয়েছিল জিয়াউর রহমান তাই এ আইন করেছিল।

আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, জাতীয় পার্টি বোধ হয় এখন সেই নির্যাতনের কথা ভুলেই গেছে। অনেকে সেটা ভুলে গেছে। আওয়ামী লীগ তো সবার আগে নির্যাতিত। জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, জেনারেল এরশাদ সবাই নির্যাতন করেছে।

Nagad

শেখ হাসিনা বলেন, সাজেদা চৌধুরীর মতো অসংখ্য নিবেদিত নেতাকর্মীরা দলের হাল ধরেছিল বলেই আওয়ামী লীগ নীতি আদর্শ হারায়নি। আশা করি আমাদের নেতারা প্রয়াত নেতাদের আদর্শ অনুসরণ করেই সংগঠন করবে।