দেশে এখনো ক্যানসারের চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত হয়নি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৪:৩৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২, ২০২২

বাংলাদেশে এখনো ক্যানসারের চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, প্রায় ১৩ হাজার নারী প্রতিবছর স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন। এর মধ্যে প্রায় সাত হাজার মৃত্যুবরণ করেন। জরায়ু মুখ ক্যানসারে আট হাজার নারী আক্রান্ত হন, এর মধ্যে পাঁচ হাজার মারা যান। এছাড়াও শনাক্তের বাইরে থাকেন অসংখ্য নারী। আমাদের দেশে ক্যানসারে এক লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। প্রতিবছর দেড় লাখ মানুষ নতুন করে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়।

বুধবার (২ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। অনুষ্ঠানে জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যানসার স্ক্রিনিং কর্মসূচি সংক্রান্ত তথ্য ও ফলাফল প্রকাশ হয়।

সরকার আট বিভাগে ক্যানসার সেন্টার করার উদ্যোগ নিয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যানসার শনাক্ত করতে পারলে, এই রোগ থেকে শতভাগ সুস্থ হয়ে ওঠার চিকিৎসা রয়েছে। আটটি বিভাগীয় ক্যানসার সেন্টারে আমরা সেই চিকিৎসা ব্যবস্থা দেওয়ার চেষ্টা করছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি প্রতিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পর্যায়ক্রমে প্রতি জেলায় মেমোগ্রাফি মেশিন প্রদান করবো।

গত এক বছরে করোনার চেয়ে তিনগুণ বেশি মানুষ ক্যানসারে মারা গেছেন জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, প্রায় ১৩ হাজার নারী প্রতিবছর স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন। এরমধ্যে মৃত্যুবরণ করেন প্রায় সাত হাজার মানুষ। জরায়ু মুখ ক্যানসারে আট হাজার নারী আক্রান্ত হন, এর মধ্যে মারা যান পাঁচ হাজার।

ক্যানসারের চিকিৎসা সেবা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্ক্রিনিংয়ের পরের ধাপ হলো চিকিৎসা। বাংলাদেশে এখনো ক্যানসারের চিকিৎসা ব্যবস্থা সেভাবে উন্নত হয়নি। এর ফলে অনেকে দেশের বাইরে চিকিৎসা গ্রহণ করতে যায়। আটটি বিভাগীয় ক্যানসার সেন্টারে আমরা সেই চিকিৎসা ব্যবস্থা দেওয়ার চেষ্টা করছি। আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি প্রতিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পর্যায়ক্রমে প্রতিটি জেলায় মেমোগ্রাফির মেশিন দেবো। সেখানে স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা আরও ভালো হবে। মেডিকেল কলেজেও ক্যানসারের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করবো।

Nagad

বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অতিরিক্ত সচিব রাশেদা আকতার, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ কে এম আমিরুল মোরশেদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যানসার নির্ণয় ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. আশরাফুন্নেসা বিস্তারিত তুলে ধরেন।