আজকের দিনের আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:০০ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ৫, ২০২২

যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচন
বিপর্যয়ের মুখে ডেমোক্রেটিক পার্টি
জনমতের ভিত্তিতে এখন পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, তাতে প্রায় প্রতিটি জরিপেই প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানদের জয়ের ইঙ্গিত রয়েছে।

৮ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচন। এই নির্বাচনে মার্কিন কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ ডেমোক্রেটিক পার্টির কাছ থেকে রিপাবলিকান পার্টির হাতে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এক মাস আগেও ভাবা হয়েছিল মধ্যবর্তী নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে বড় ধরনের বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হবে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে গর্ভপাতের শাসনতান্ত্রিক অধিকার বাতিলের পর নারীদের মধ্যে দেশজুড়ে যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়, তার প্রভাব ব্যালটেও পড়বে। কিন্তু এখন, নির্বাচনের কয়েক দিন আগে পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গেছে। গর্ভপাত নয়, ভোটারদের প্রধান বিবেচনার বিষয় অর্থনীতি। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আইনশৃঙ্খলা ও অভিবাসন প্রশ্নে ক্রমবর্ধিত উদ্বেগ। এই তিন প্রশ্নেই ভোটারদের কাছে ডেমোক্র্যাট নয়, রিপাবলিকানদের প্রতিই অধিক আস্থা। বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে ইতিমধ্যে আগাম ভোট শুরু হয়ে গেছে। নির্বাচকেরা কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ বা প্রতিনিধি পরিষদ ছাড়াও সিনেটের এক-তৃতীয়াংশ ও ৩৬টি অঙ্গরাজ্যে গভর্নরসহ বিপুল পরিমাণ পদে নতুন প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন। তবে এই মুহূর্তে সব নজর কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ প্রশ্ন ঘিরেই। প্রতিনিধি পরিষদ অথবা সিনেট, এর কোনো একটিতেও যদি ডেমোক্র্যাটদের মুঠি আলগা হয়ে যায়, তাহলে পরবর্তী দুই বছর প্রেসিডেন্ট বাইডেনের পক্ষে দেশ চালনা কঠিন হয়ে পড়বে। কেউ কেউ তাঁকে এখন থেকেই ‘লেইমডাক’ বা বাঁজা হাঁস নামে ডাকা শুরু করেছেন। জনমতের ভিত্তিতে এখন পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, তাতে প্রায় প্রতিটি জরিপেই প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানদের জয়ের ইঙ্গিত রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, নাটকীয় কোনো পরিবর্তন না হলে রিপাবলিকান দল ১৫ থেকে ৩০টি অতিরিক্ত আসন দখল করবে। বর্তমানে দুই দলের মধ্যে ব্যবধান মাত্র পাঁচটি আসনের। অর্থাৎ, নিজেদের অবস্থান ধরে রাখার পর যদি মাত্র পাঁচটি অতিরিক্ত আসন রিপাবলিকানরা দখল করতে পারে, তাহলে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের নিয়ন্ত্রণ তারা ফিরে পাবে। ন্যান্সি পেলোসির জায়গায় স্পিকার হবেন কেভিন ম্যাকার্থি। সূত্র: প্রথম আলো

ঘরছাড়া অর্ধশতাধিক তরুণের খোঁজ মেলেনি এখনো: র‍্যাব

দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নিখোঁজ অর্ধশতাধিক তরুণের তথ্য দিয়েছিলো র‍্যাব। তারা নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়েই ঘর ছেড়েছে বলে জানিয়েছে এই এলিট ফোর্স। ‘হিজরতে’ বের হওয়া অর্ধশতাধিক জঙ্গির খোঁজ না পাওয়া, পার্বত্যাঞ্চলে প্রশিক্ষণ, ভারী অস্ত্র- এসব মিলিয়ে যেকোনো সময় যেকোনো ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে র‍্যাব।র‍্যাব বলছে, নিখোঁজ ব্যক্তিরা যেখানে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল তা গহিন বনাঞ্চল। যেখান থেকে পরিচয় গোপন করে যাওয়া-আসা অনেক সহজ। যখন তারা যায়, তখন ট্যুরিস্ট হিসেবেই যায়। পার্বত্যাঞ্চলে অনেক অরক্ষিত বনাঞ্চল রয়েছে। যেখানে তারা বিভিন্নভাবে যেতে পারে।হামলার মতো সম্ভাব্য বিষয় মাথায় রেখে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে পার্বত্যাঞ্চলের গহিন এলাকায় সেনাবাহিনী, র‍্যাব ও অন্যান্য বাহিনীর সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।গত ৬ অক্টোবর থেকে মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, যাত্রাবাড়ী, কেরানীগঞ্জ, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান এলাকায় চার দফায় অভিযান চালিয়ে নতু্ন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার ২২ জনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড

বুট-বুলেট-রক্তের রাজনীতিতে ধুঁকছে পাকিস্তান

অতীত থেকে বর্তমান। জন্ম থেকেই রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডে জর্জরিত দক্ষিণ এশিয়ার দেশ পাকিস্তান। ১৯৪৭ সালে নতুন রাষ্ট্র হিসাবে আত্মপ্রকাশের ৪ বছরের মাথায় প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানকে দিয়ে শুরু হয় এ কালো অধ্যায়। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার হত্যাচেষ্টার এ যাত্রায় বেঁচে গেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতা ইমরান খান। পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন তিনি। সমাবেশস্থলে এই নেতাকে হত্যাচেষ্টা মনে করিয়ে দেয় দেশটির প্রতিহিংসার রাজনীতি বেষ্টিত গুপ্তহত্যা আর জিঘাংসার ইতিহাস। প্রশ্ন জাগে, কেন বারবার বুট-বুলেট-রক্তের রাজনীতিতে ধুঁকছে পাকিস্তান?রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড দেশটির নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে পাকিস্তানের রাজনৈতিক এসব হত্যাকাণ্ডে ইন্টারসার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) প্রভাব না থাকলেও ঘুরেফিরেই এসেছে দেশটির সেনাবাহিনী ও তাদের এই গোয়েন্দা সংস্থার ভূমিকা। ফরাসি দার্শনিক ভলতেয়ার একবার জার্মান স্টেট প্রুশিয়া সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘সব রাষ্ট্রের একটি সেনাবাহিনী আছে। কিন্তু প্রুশিয়ান সেনাবাহিনীর একটি রাষ্ট্র আছে।’ কালের পরিক্রমায় পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও কথাটি প্রযোজ্য। ইমরান খান পাকিস্তানি রাজনীতির একটি কঠোরতম অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করার মতো ভুল করেছিলেন। ক্ষমতা থেকে উৎখাতের পরপর থেকেই তিনি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও বিদেশি শক্তির সঙ্গে সহযোগিতার অভিযোগ তুলে আসছিলেন।শেকড়ের সন্ধান : যেদিন পাকিস্তান গঠিত হয়, ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট জাতির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ একজন সেনা কর্মকর্তাকে বলেছিলেন, ‘আমরা, জনপ্রতিনিধিরাই সিদ্ধান্ত নেব কীভাবে দেশ চালাতে হবে। আপনার কাজ শুধু আপনার বেসামরিক প্রভুদের সিদ্ধান্ত মেনে চলা।’ ১৯৫১ সালের জানুয়ারিতে, আইয়ুব খান একজন অফিসারকে জানাচ্ছিলেন, ‘মানুষের ধারণার চেয়ে এই সেনাবাহিনীকে অনেক বড় এবং ব্যাপক ভূমিকা পালন করতে হবে।’ সমসাময়িক পরিস্থিতি তাকে এমন দ্বৈত নীতির কথা বলতে বাধ্য করেছিল। সূত্র; যুগান্তর

Nagad

বাইডেনের মন্তব্য প্রত্যাখ্যান রাইসির

ইরানকে ‘মুক্ত করা হবে’—মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এমন মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। ইরানের তরুণী মাশা আমিনির মৃত্যুর পর সাত সপ্তাহব্যাপী বিক্ষোভের জেরে বাইডেন ওই মন্তব্য করেছিলেন।যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন মধ্যবর্তী নির্বাচনের প্রচারে জো বাইডেন বৃহস্পতিবার বলেন, ‘উদ্বিগ্ন হবেন না। আমরা ইরানকে মুক্ত করতে যাচ্ছি।জো বাইডেনের এ মন্তব্যের জবাবে ইব্রাহিম রাইসি গতকাল শুক্রবার বলেন, ‘ইরানের মহান জনগণ তাদের মাথা আপনার কাছে অবনত করবে না। ’১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের পর নভেম্বর মাসে ইরানের শিক্ষার্থীদের মার্কিন দূতাবাস দখলের বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট রাইসি ওই মন্তব্য করেন। সূত্র: কালের কণ্ঠ

পাকিস্তান
রাজনৈতিক হত্যাযজ্ঞের বিষাক্ত উত্তরাধিকার

ব্রিটিশ শাসন অবসানের পর পাকিস্তান একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার মাত্র চার বছর পর ১৯৫১ সালে দেশটির প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানকে উত্তরাঞ্চলীয় শহর রাওয়ালপিন্ডিতে এক জনসভায় গুলি করে হত্যা করা হয়।
তারপর থেকে রাজনৈতিক হত্যাযজ্ঞের বিষাক্ত উত্তরাধিকার বয়ে চলছে নানা সংকটে নিমজ্জিত দেশটি। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার একটি জনসভায় গুলি করা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ওপর। তিনি অবশ্য প্রাণে বেঁচে যান।
এর প্রায় ১৫ বছর আগে রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ বেনজির ভুট্টোকে একটি রাজনৈতিক সমাবেশে হত্যা করা হয়। নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে এ নির্মম ঘটনা ঘটে। ওই নির্বাচনে তিনি জয়ী হবেন বলে আশা করা হয়েছিল।ইমরান খানও এখন নিঃসন্দেহে পাকিস্তানের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তাঁর পায়ে গুলি লাগলেও তিনি শঙ্কামুক্ত। তবে এ ঘটনা পাকিস্তানের রাজনীতিতে যে ক্ষত তৈরি করেছে, তা সারিয়ে তুলতে হয়তো বহুদিন লেগে যাবে। সমকাল

উচ্চমূল্যস্ফীতি
যুক্তরাষ্ট্রে ছুটির মৌসুমে ভোগ ব্যয় ধীর হওয়ার শঙ্কা

রেকর্ড উচ্চতায় মূল্যস্ফীতি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আগ্রাসীভাবে সুদের হার বাড়াচ্ছে ফেডারেল রিজার্ভ। ঋণের ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে ভোক্তা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর। অতিপ্রয়োজনীয় নয় এমন পণ্য ও সেবায় ব্যয় কমিয়ে দিচ্ছেন ভোক্তারা। সব মিলিয়ে মার্কিন অর্থনীতি মন্দায় পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় চলতি বছরের ছুটির মৌসুমে ভোগ ব্যয় ধীর হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। খুচরা ব্যবসায়ীদের একটি গোষ্ঠী সতর্ক করেছে, উচ্চমূল্যস্ফীতির কারণে নভেম্বর ও ডিসেম্বরে ক্রেতাদের পাওয়া সহজ হবে না। খবর সিএনবিসি। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল রিটেইল ফেডারেশন (এনআরএফ) জানিয়েছে, নভেম্বর ও ডিসেম্বরে ছুটির বিক্রি গত বছরের একই সময়ের চেয়ে মাত্র ৬-৮ শতাংশ বাড়বে। বিক্রি ধীর হওয়ার পেছনে মূল্যস্ফীতি বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে। বিক্রির এ পূর্বাভাসে অটোমোবাইল ডিলার, পেট্রল স্টেশন ও রেস্তোরাঁর বিক্রি বাদ দেয়া হয়েছে।এদিকে শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরোর ভোক্তা মূল্যসূচক সেপ্টেম্বরে এক বছর আগের তুলনায় ৮ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। মূল্যস্ফীতির এ হার প্রায় চার দশকের সর্বোচ্চ। সূত্র: বণিক বার্তা।

চীন থেকে পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি
সুলভ না ভূরাজনীতি?

বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি হওয়ার পথে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত চীন ক্রমেই শিল্পোৎপাদন বাড়িয়ে তুলছে। এর সঙ্গে বাড়ছে দেশটির শিল্প ও বিদ্যুৎ খাতের জ্বালানি ক্ষুধাও। এ ক্ষুধা নিবারণের জন্য প্রতি বছর বিপুল পরিমাণে জ্বালানি তেল আমদানি করছে দেশটি। হয়ে উঠেছে বিশ্বের শীর্ষ জ্বালানি তেল আমদানিকারক। চীন নিজে আমদানিনির্ভর হলেও এ দেশই আবার বাংলাদেশে পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম বা জ্বালানি তেল (গ্যাসোলিন, ডিজেল, ফুয়েল অয়েল, কেরোসিন, লুব্রিক্যান্ট ইত্যাদি) আমদানির সবচেয়ে বড় উৎসগুলোর একটি।অবজারভেটরি অব ইকোনমিক কমপ্লেক্সিটির (ওইসি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে কভিডের প্রাদুর্ভাবে বাণিজ্য খাতে ভাটা পড়লেও ওই সময় দেশটি থেকে দেড় হাজার কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে পরিশোধিত জ্বালানি তেল বা পেট্রোলিয়াম আমদানি হয়েছে প্রায় ৭৭ কোটি ডলারের। সে সময় দেশে আমদানীকৃত পরিশোধিত পেট্রোলিয়ামের ২৯ শতাংশেরও বেশি এসেছে চীন থেকে। চলতি ২০২২ সালের আগস্টেও চীন থেকে পণ্য আমদানির তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে ছিল পরিশোধিত জ্বালানি তেল। এ সময় দেশটি থেকে ১৫ কোটি ১০ লাখ ডলারের পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম আমদানি করেছে বাংলাদেশ। নিজেই আমদানিকারক হওয়ায় পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম রফতানিতে চীনের কমপ্যারেটিভ অ্যাডভান্টেজ বা তুলনামূলক সুবিধা তেমন একটা নেই। সূত্র: বনিক বার্তা।

আমেরিকাকে কী বার্তা দিতে চাইছে উত্তর কোরিয়া
বিশ্লেষকরা মনে করছেন উত্তর কোরিয়া আরও বড় কিছুর জন্য প্রস্তুত হচ্ছে

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধ ইতোমধ্যে বিশ্বের ব্যাপক ক্ষতি করেছে এবং এমন পরিস্থিতিতে আরেকটি যুদ্ধ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। ঘটনাটি দক্ষিণ কোরিয়া ও উত্তর কোরিয়ার। দুই দেশই আবার যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে প্রতিবেশী উত্তর কোরিয়া তাদের সীমান্তে প্রায় ১৮০টি যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে। উত্তর কোরিয়ার ১৮০টি যুদ্ধবিমান শনাক্ত করার পর দক্ষিণ কোরিয়া তার ফাইটার জেটগুলোকে তৈরি থাকতে বলেছে। এ অবস্থা শুধু দক্ষিণ কোরিয়ার নয়, জাপানও জড়িত হয়ে পড়েছে। যেমন উত্তর জাপানের বাসিন্দাদের জন্য বৃহস্পতিবার সকালটা ছিল বিভ্রান্তিকর আর চরম উৎকণ্ঠার। সকাল ৭টা ৫০-এ মিয়াগি আর ইয়ামাগাতায় বিমান আক্রমণের সতর্ক সংকেত বেজে ওঠে। টিভি অনুষ্ঠান মাঝপথে থামিয়ে মানুষকে শেল্টারে যেতে বলা হয়। জাপানের উপকূলরক্ষীরা জানায়, উত্তর কোরিয়া থেকে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র জাপানের দিকে আসছে। এর আগেও উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র জাপানের ওপর দিয়ে গেছে, গত মাসেই একটি ক্ষেপণাস্ত্র জাপানের আকাশসীমায় ঢুকেছে। সূত্র; বিডি প্রতিদিন।

বাইডেনের মন্তব্য প্রত্যাখ্যান রাইসির

ইরানকে ‘মুক্ত করা হবে’—মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এমন মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। ইরানের তরুণী মাশা আমিনির মৃত্যুর পর সাত সপ্তাহব্যাপী বিক্ষোভের জেরে বাইডেন ওই মন্তব্য করেছিলেন।যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন মধ্যবর্তী নির্বাচনের প্রচারে জো বাইডেন বৃহস্পতিবার বলেন, ‘উদ্বিগ্ন হবেন না। আমরা ইরানকে মুক্ত করতে যাচ্ছি।তাদের শিগগিরই মুক্ত করা হবে। ’জো বাইডেনের এ মন্তব্যের জবাবে ইব্রাহিম রাইসি গতকাল শুক্রবার বলেন, ‘ইরানের মহান জনগণ তাদের মাথা আপনার কাছে অবনত করবে না। ’
১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের পর নভেম্বর মাসে ইরানের শিক্ষার্থীদের মার্কিন দূতাবাস দখলের বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট রাইসি ওই মন্তব্য করেন। সূত্র: কালের কণ্ঠ

মেডিকেল টুরিস্টদের লক্ষ্য করে আন্তর্জাতিক হাসপাতাল চেইনগুলো ৫০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে

দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে যাওয়া মানুষের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ফলে স্থানীয় অংশীদারদের সঙ্গে মিলে এদেশে ব্যবসা সম্প্রসারণ ও উন্নত চিকিৎসাসেবা নিয়ে আসতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক হাসপাতাল চেইনগুলো।
অ্যাপোলো, এভারকেয়ার, জাপানের গ্রিন হসপিটাল সাপ্লাই ও থাইল্যান্ডের থনবুরি হেলথকেয়ার গ্রুপের মতো হাসপাতাল চেইনগুলোর সহযোগিতায় অন্তত সাতটি স্থানীয় প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।এ ধরনের যৌথ উদ্যোগের ফলে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে বিদ্যমান ৯৫ হাজার শয্যার সঙ্গে আরও ৩ হাজার শয্যা যুক্ত হবে। পাশাপাশি ১৫ হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে বলেও জানান তারা। প্রতি বছর হাজার হাজার বাংলাদেশি চিকিৎসা নিতে বিদেশে যায়। সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশগুলোতে যায় তারা চিকিৎসা নিতে। তবে বাংলাদেশিদের জন্য শীর্ষ চিকিৎসা পর্যটন গন্তব্য হচ্ছে ভারত। সূত্র; বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

সমালোচনা উপেক্ষা করে জার্মান চ্যান্সেলারের বিতর্কিত চীন সফর

চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জার্মান চ্যান্সেলার ওলাফ শোলৎজের সঙ্গে বৈঠকের পর জার্মানির সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন। বেইজিংয়ে দুই নেতার মধ্যে বৈঠকের পর মি. শি বলেছেন “পরিবর্তিত এবং অস্থির এই বিশ্ব পরিস্থিতিতে” দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করা উচিত।মি. শোলৎজ দুই দেশের মধ্যে “সমতার ভিত্তিতে অর্থনৈতিক যোগাযোগ ও প্রতিদানের সম্পর্ক গড়ে তোলার” কথা বলেন।মি. শোলৎজ চীনকে আরও অনুরোধ করেন ইউক্রেনে বেসামরিক মানুষের ওপর রাশিয়ার আক্রমণ বন্ধ করতে তিনি যেন মস্কোর ওপর তার প্রভাব খাটান। সূত্র: বিবিসি বাংলা।