৫২ ঘণ্টা পর ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবরুদ্ধ ভিসি মুক্ত

টাঙ্গাইল সংবাদদাতাটাঙ্গাইল সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ৬:৫৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৫, ২০২২

ছবি- সংগৃহীত

৫২ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) মো: ফরহাদ হোসেনকে নিজ কার্যালয় থেকে বের হতে পেরেছেন।

শুক্রবার (০৫ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী তাকে নিয়ে দুপুর ১টার দিকে মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করান।

চাকরি স্থায়ীকরণসহ ১৪ দফা দাবিতে উপাচার্য প্রফেসর ড. ফরহাদ হোসেনকে তার কার্যালয়ে বুধবার (০৩ নভেম্বর) সকাল সোয়া ৯টায় অবরুদ্ধ করেন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীরা। তারা ভিসির কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন শুরু করেন।

ভিসি প্রফেসর ড. মো: ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, ২০১৯ সালে তৎকালীন ভিসি তৃতীয় শ্রেণির ২২ জন কর্মচারীকে এডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়ে গেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে দুই দফায় ১৫টি পদের অনুমোদন পাওয়া গেছে। ওই ১৫ পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। এ সময় কর্মচারী সমিতির পক্ষ থেকে কিছু দাবি উত্থাপন করা হয়েছে। তারা ১৫ পদের বিপরীতে ২২ জনকে নিয়োগ দেওয়ার দাবি তুলেছেন। তারা কোনও লিখিত পরীক্ষা ছাড়া শুধু মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের চাকরি স্থায়ী করার দাবিও করছেন। এই দাবিতে বুধবার সকাল থেকে তাকে (ভিসি) অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, শিক্ষক সমিতির নেতারা তাদের সাথে কয়েক দফা কথা বলেও কাজ না হওয়ায় শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে ভিসির কার্যালয়ে যান। তারা দুর্নীতিমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার পক্ষে বিভিন্ন শ্লোগান দেন। এই মিছিল উপাচার্যের কার্যালয়ে আসার পর সেখানে অবস্থান ধর্মঘটে থাকা কর্মচারীরা চলে যান। শিক্ষার্থীরা তালা খুলে ভিসির কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। তারা ভিসিকে বাইরে আসার অনুরোধ জানান।

পরে ভিসি দুপুরে শিক্ষার্থীদের সাথে গিয়ে মসজিদে নামাজ আদায় করেন।

মিছিল নিয়ে ভিসির কার্যালয়ে যাওয়া শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান দুলাল গণমাধ্যমকে বলেন, অযৌক্তিক কিছু দাবি আদায়ের জন্য তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীরা ভিসি স্যারকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে আমরা তাদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।

Nagad

সারাদিন/০৫ নভেম্বর/এমবি