আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস ঢাকা’র চ্যাম্পিয়ন ‘এমআইটি’

তথ্য ও প্রযু্ক্তি প্রতিবেদক:তথ্য ও প্রযু্ক্তি প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৪:৪৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১২, ২০২২

কম্পিউটার প্রোগ্রামিং সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে মেধার সক্ষমতার প্রমাণ দিতেই সারা বিশ্ব থেকে আগমন ছিল এক ঝাঁক মেধাবীর। সংখ্যাটা শতাধিক নয় বরং হাজারো মেধাবীর উপস্থিতে এক মিলন মেলার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপিত হল বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা “আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস ঢাকা” আয়োজনে।

৪৫তম আইসিপিসির আসরের চূড়ান্ত পর্বে এবার শ্রেষ্ঠত্ব দেখিয়ে প্রথম স্থান দখল করে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)। ১২টি প্রোগ্রামিং সমস্যার মধ্যে ৫ ঘণ্টায় ১১টি সমাধান করে ৪৫তম আইসিপিসির চূড়ান্ত পর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এমআইটি। আইসিপিসির নিয়ম অনুযায়ী, অনুষ্ঠানে সেরা চারটি দল স্বর্ণ পদক পায়। এরপর পঞ্চম থেকে অষ্টম স্থানকারী রুপা এবং নবম থেকে দ্বাদশ স্থান অর্জনকারী দল ব্রোঞ্জপদক অ্যাওয়ার্ড পায়।

বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) ঢাকার বসুন্ধরার আইসিসিবি-তে অনুষ্ঠিত হয় “ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্ট (আইসিপিসি)” এর ৪৫ তম আসরের “আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস ঢাকা”।

সন্ধ্যায় সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এম. এ. মান্নান এমপি। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক এমপি। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন আইসিপিসি ফাউন্ডেশনের সভাপতি এবং আইসিপিসি নির্বাহী পরিচালক ড. উইলিয়াম বি. পাউচার।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের (ইউএপি) ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মাদ আলাউদ্দিন। এর আগে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আইসিপিসির উপনির্বাহী পরিচালক ও আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস্ কনটেস্ট এর পরিচালক ড. মাইকেল জে. ডোনাহু। অনুষ্ঠান শেষে সমাপনী বক্তব্য রাখেন ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের উপাচার্য ও আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস্ ঢাকার পরিচালক অধ্যাপক কামরুল আহসান। এসময় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম পিএএ এবং বিসিসি নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমারসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিজয়ীদের নাম ঘোষণার পূর্বে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. এ. মান্নান । বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক।

Nagad

এছাড়াও ড. মোহাম্মাদ আলাউদ্দিন, আইসিপিসি ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. উইলিয়াম বি. পাউচার বক্তব্য দেন।

এদিকে ১০টি সমস্যা সমাধান করে এশিয়া ইস্ট এর চায়না থেকে পিকিং ইউনিভার্সিটি দ্বিতীয় স্থান এবং ৯টি সমস্যা সমাধান করে এশিয়া প্যাসিফিক থেকে দি ইউনিভার্সিটি অব টকিও তৃতীয় স্থান দখল করে স্বণ জয়ী হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ৯টি সমস্যা সমাধান করে সেরা ৩ দলের পর স্বর্ণ জয়ী হয়েছে। দলটি ১১ মিনিটে সবার আগে একটি সমস্যার সমাধান করে। সুইজারল্যান্ডের ইটিএইচ জুরিখ, ফ্রান্সের ইকোল নরমাল সুপিরিয়র ডি প্যারিস, যুক্তরাষ্ট্রের কার্নিগিও মিলন ইউনিভার্সিটি ও পোল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব ওয়ারশ অর্থাৎ মোট ৪টি দল রৌপ্যপদক বিজয়ী হয়েছে।

ব্রোঞ্জ পেয়েছে রাশিয়ার ন্যাশনাল রিসার্চ ইউনিভার্সিটি হায়ার স্কুল অব ইকোনমিকস, সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেট ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ভিয়েতনামের ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (ভিএনইউ)।

স্বাগতিক বাংলাদেশের ৮টি বিশ্ববিদ্যালয় চূড়ান্ত পর্বে অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে চারটি করে সমস্যার সমাধান করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ৫১তম এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ৫৬তম স্থান অর্জন করে। এছাড়া, বাকি ছয়টি দল বিশেষ সম্মাননা (অনারেবল মেনশন) পায়। এই দলগুলো হলো: ৮২তম স্থান পেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ৯৮তম স্থান পেয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ১০৭তম স্থান পেয়ে নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটি, ১১৩তম স্থান পেয়ে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ১১৯তম স্থান পেয়ে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক (ইউএপি) এবং ১২২তম স্থান পেয়ে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।