আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:০৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৭, ২০২২

রিজার্ভ–সংকট
জুনের মধ্যে আসছে ১৫০ কোটি ডলার

ডলার–সংকট এখন আর লুকোচুরির বিষয় নয়। গত কয়েক মাসে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত (রিজার্ভ) ধারাবাহিকভাবে কমেছে। আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় ডলার বেশি চলে যাচ্ছে। আবার বিদেশ থেকে ডলার আসার অন্যতম উৎস রপ্তানি আয় ও প্রবাসী আয়েও টান পড়েছে। এ সংকট মোকাবিলায় সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), জাপানের মতো বড় উন্নয়ন সহযোগীর কাছে বাজেট সহায়তার জন্য দ্বারস্থ হয়েছে। এসব সংস্থা ও দেশও বাংলাদেশকে ফিরিয়ে দিচ্ছে না। তবে এ জন্য আর্থিক খাতের পাশাপাশি রাজস্ব খাতের সংস্কারের শর্ত আসতে পারে। সরকারি অর্থ খরচে সুশাসন প্রতিষ্ঠার শর্ত থাকতে পারে।সরকারি সূত্রগুলো বলছে, নিয়মিত সহযোগিতার পাশাপাশি চলতি অর্থবছরে এ চার দাতা সংস্থা ও দেশ বাংলাদেশকে প্রায় দেড় শ কোটি ডলার দিচ্ছে। বর্তমান বাজারদরে টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। চলমান সংকট মোকাবিলা করতে আগামী জুনের মধ্যে এডিবি ৫০ কোটি ডলার, আইএমএফ ৩৬ কোটি ডলার, জাপান ৩৫ কোটি ডলার এবং বিশ্বব্যাংক ২৫ কোটি ডলার দিতে পারে। তবে ফেব্রুয়ারি মাসের আগে অর্থ আসার সম্ভাবনা কম। এর বাইরে প্রকল্পভিত্তিক নিয়মিত সহায়তার অর্থ ছাড়ও হবে। সূত্র: প্রথম আলো

আমদানিনির্ভর প্রকল্প ঠিক সময়ে শেষ করা নিয়ে শঙ্কা

দেশে চলমান ডলার সংকটের মধ্যে আমদানিনির্ভর যন্ত্রাংশভিত্তিক প্রকল্পগুলো সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে পরিকল্পনা কমিশন বেশ কিছু প্রকল্পে সংশোধনী এনেছে। এসব প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যয়ও বাড়ছে। মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানোর নানা কারণের মধ্যে একটি হলো ডলারের মূল্যবৃদ্ধি।চলমান পরিস্থিতিতে সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন না হওয়ার বেশি ঝুঁকিতে আছে আমদানিনির্ভর বিদ্যুৎ বিভাগের প্রকল্পগুলো। কারণ এসব প্রকল্পের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ যন্ত্রাংশই আনতে হয় দেশের বাইরে থেকে। এতে ব্যয় হয় দেশের রিজার্ভ।বিশ্লেষকরা বলছেন, যেসব প্রকল্প দেশের টাকায় বাস্তবায়ন করা হচ্ছে এবং আমদানিনির্ভর—সেগুলো যথাসময়ে বাস্তবায়ন করা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। এই ধাক্কা পড়বে মূলত বিদ্যুৎ বিভাগের বিতরণ, সঞ্চালন, উৎপাদন, কারিগরি—এই চার ধরনের চলমান প্রকল্পগুলোতে। কারণ এসব প্রকল্পের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ যন্ত্রাংশ বা সরঞ্জাম আমদানি করতে হয় ইউরোপসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে। যেসব প্রকল্পের বৈদেশিক বিনিয়োগ নেই ও আমদানিনির্ভর, সেসব প্রকল্প সময়মতো বাস্তবায়ন নিয়ে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের। শুধু বিদ্যুৎ বিভাগের প্রকল্প নয়, অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প ও কারিগরি প্রকল্পগুলো নিয়েও রয়েছে আশঙ্কা। সূত্র: কালের কণ্ঠ

হৃদযন্ত্রের ভালভ ও অক্সিজেনেটর সংকটে দেশের হাসপাতালগুলো

মানবদেহের হৃদযন্ত্রের ভালভের কাজ হলো রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখা। কোনো কারণে ভালভ অকেজো হয়ে পড়লে অকার্যকর হয়ে পড়ে শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যঙ্গ হৃদযন্ত্র। তখন কৃত্রিম ভালভ লাগানোর মাধ্যমে স্বাভাবিক রাখা হয় হৃদযন্ত্র। অস্ত্রোপচারটি বেশ জটিল হলেও বাংলাদেশে অসংখ্য মানুষকে এ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। বাংলাদেশে প্রতিদিন কতটি ভালভ প্রতিস্থাপনে অস্ত্রোপচার হয় তার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দেশে প্রতি বছর প্রায় তিন লাখ মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। হৃদযন্ত্রে প্রতিস্থাপিত কৃত্রিম ভালভ ও অস্ত্রোপচারে ব্যবহূত অক্সিজেনেটর দেশে তৈরি হয় না, এটি পুরোপুরি আমদানিনির্ভর। সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও এর কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ এ দুটি মেডিকেল ডিভাইস আমদানিতে সংকট তৈরি হয়েছে, যার কারণে গুরুত্বপূর্ণ এ চিকিৎসার জন্য রোগীদের অপেক্ষার প্রহর গুনতে হচ্ছে, যা বাড়াচ্ছে মৃত্যুঝুঁকি। দেশের যে হাসপাতালগুলোতে সবচেয়ে বেশি হৃদযন্ত্রের অস্ত্রোপচার হয় তার মধ্যে অন্যতম জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল (এনআইসিভিডি)। সরকারি এ হাসপাতালে প্রতি মাসে গড়ে ১০০টির বেশি ভালভ প্রয়োজন হয়। কিন্তু চার মাস ধরে সরবরাহের পরিমাণ ৫০-এর কাছাকাছি নেমে এসেছে। এ পরিস্থিতিতে অক্সিজেনেটর ও ভালভ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে জবাব চেয়ে চিঠি দিয়েছে এনআইসিভিডি কর্তৃপক্ষ। ১৪ নভেম্বর প্রতিষ্ঠানটির কার্ডিয়াক সার্জারির বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. একেএম মনজুরুল আলম স্বাক্ষরিত ওই চিঠি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে পাঠানো হয়। পর্যাপ্তসংখ্যক ডিভাইস সরবরাহে কেন ঘাটতি হচ্ছে তা চিঠি ইস্যুর তিন কার্যদিবসের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে। সূত্র: বণিক বার্তা।

Nagad

দুর্নীতি-খেলাপির ঊর্ধ্বগতি, আমানত হ্রাস-ডলার সংকট
ব্যাংক খাত নিয়ে দুশ্চিন্তা
ঋণ আদায় না করে সুদ আয় খাতে নিয়ে কাগুজে মুনাফা * নিত্যপণ্যের মূল্য বাড়ায় কমছে আমানত * চাহিদা অনুযায়ী এলসি খোলা যাচ্ছে না

বেশ দুর্বল হয়ে পড়ছে দেশের ব্যাংক খাত। সুশাসনের অভাব, বেপরোয়া দুর্নীতি, ব্যাংক পরিচালনায় রাজনৈতিক ও পরিচালকদের হস্তক্ষেপ এবং খেলাপি ঋণের মাত্রাতিরিক্ত ঊর্ধ্বগতির কারণেই মূলত এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। করোনা ও বৈশ্বিক মন্দার প্রভাব এই দুর্বলতাকে আরও গভীরে নিয়ে গেছে। বিশেষ করে নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক গতিতে বৃদ্ধি পাওয়ায় তা প্রকাশ্যে চলে আসে। এতে মানুষ নতুন করে সঞ্চয় করতে পারছে না। বরং আগের সঞ্চয় ভেঙে সংসারের ব্যয়নির্বাহ করছেন। ঋণ পরিশোধ কমে গেছে। বিশেষ ছাড়ে ঋণকে নিয়মিত রেখে কোনো সুদ আদায় না করেও কাগুজে মুনাফার মাধ্যমে আয় বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ ছাড়ের পরও খেলাপি ঋণ বেড়ে যাচ্ছে। খেলাপির মধ্যে আদায় অযোগ্য বা কুঋণের পরিমাণই হচ্ছে সোয়া ৮৮ শতাংশ। বড় জালিয়াতদের ঋণের বড় অংশই এখন কুঋণে পরিণত হয়েছে। এসব নিয়ে ব্যাংক খাত নিয়ে দুশ্চিন্তা বেড়েই চলেছে। ডলারের সংকট ব্যাংক খাতকে আরও বেশি ভোগাচ্ছে। রেমিট্যান্স, আমদানি-রপ্তানি বেশি থাকলে এসব খাত থেকে ব্যাংকের আয় বাড়ে। কিন্তু এসব খাতের পাশাপাশি ব্যবসা খাতে মন্দা চলছে। ফলে ব্যাংকের আয় কমেছে। ডলারের প্রবাহ কম থাকায় আমদানির এলসি খুলতে পারছে না। ফলে বৈদেশিক বাণিজ্যে স্থবিরতা নেমে এসেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ডলার কিনতে গিয়ে টাকা চলে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৭৫ কোটি ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ বাবদ প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চলে গেছে। তারল্য কমার এটিও একটি কারণ। সূত্র: যুগান্তর ।

বোরো মওসুমের আগে মূল্য পরিশোধের জটিলতায় সৌদি থেকে ইউরিয়া সার আমদানি

চলমান ডলার সংকটের মধ্যে– ইউরিয়া সার আমদানির মূল্য পরিশোধ নিয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, এতে ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে চলা বোরো মওসুমের আগে ১২ লাখ টন ইউরিয়া আমদানি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। গত সপ্তাহে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) অর্থ মন্ত্রণালয় এবং রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের জানিয়েছে, ‘আমদানি মূল্য পরিশোধ নিয়ে আমরা জটিলতার মধ্যে পড়েছি’। আমদানি ব্যাহত হলে আসন্ন বোরো ধান চাষের মওসুমে– যখন সারটির চাহিদাও বিপুল থাকবে– তখন এর ফলে সার সংকট দেখা দিতে পারে বলেও সতর্ক করেছে। তবে কৃষি মন্ত্রণালয় দাবি করছে, সরকার যেকোনো মূল্যে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, তাই কোনো সার সংকট হবে না। জিটুজি (সরকার থেকে সরকার) চুক্তির আওতায়- সৌদি আরব, কাতার ও দুবাই থেকে প্রতিবছর ১২ লাখ টন ইউরিয়া আমদানি করে বাংলাদেশ। এই আমদানির জন্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো– সৌদির ব্যাংকগুলোর সঙ্গে রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট এপ্লিকেশন (আরএমএ) পরিষেবার মাধ্যমে এলসি (ঋণপত্র) সমন্বয় করে থাকে। আরএমএ পরিষেবা দেয় আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং পেমেন্ট সিস্টেম- সুইফট। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

কাগজের দামে শিক্ষা খাত এলোমেলো

শিক্ষার প্রধান উপকরণ কাগজ। কাগজের দাম হু হু করে বাড়ছে। ফলে বেড়েছে কাগজ-সংশ্লিষ্ট প্রতিটি শিক্ষার উপকরণের দাম। বাড়ানো হয়েছে অন্যান্য শিক্ষা-উপকরণের দামও। কাগজের সংকটে মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে পাঠ্যবইয়ের মুদ্রণ। ৩৫ কোটি পাঠ্যবইয়ের মুদ্রণ ব্যাহত হচ্ছে।অনেক স্কুল শিক্ষার্থীদের নিজ দায়িত্বে পরীক্ষার খাতা আনতে বলেছে। আবার অনেক অভিভাবক খাতা কেনা কমিয়ে দিয়েছেন। ফলে বিঘিœত হচ্ছে লেখাপড়া। কাগজের মূল্যবৃদ্ধিতে পুরোই এলোমেলো হয়ে পড়েছে শিক্ষা খাত।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রতি বছর অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত কাগজের চাহিদা থাকে সবচেয়ে বেশি। এ সময়ে বিনা মূল্যের বই ছাপা হয়। এ ছাড়া প্রতিটি শ্রেণিরই সহায়ক বই, বিভিন্ন ধরনের গাইড, নতুন বছরের ডায়েরি, ক্যালেন্ডার প্রভৃতির জন্য বিপুল পরিমাণ কাগজ লাগে।এ বছর ডলার সংকটের কারণে লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খুলতে পারছেন না কাগজকলের মালিকরা। কাগজ তৈরির মূল উপাদান পাল্প আমদানি করতে পারছেন না তারা। ফলে কাগজ সংকট দৃঢ় হচ্ছে। জানা যায়, একুশে বইমেলা উপলক্ষে নতুন নতুন বই প্রকাশের কাজও শুরু হয় মূলত নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে। এ সময়েই লেখকদের কাছ থেকে পা-ুলিপি জমা নেন প্রকাশকরা। কিন্তু অনেক প্রকাশক কাগজের দাম বাড়ার কারণে আগামী একুশে বইমেলায় নতুন বই প্রকাশ করবেন না বলে জানিয়েছেন। সূত্র: দেশ রুপান্তর।

বিএনপি পাচ্ছে না নয়াপল্টন

বিএনপি আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকার নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে চায়। সমাবেশের ভেন্যু পাওয়ার অনুমতি চেয়ে তারা পুলিশকে চিঠিও দিয়েছে। এ বিষয়ে কথা বলতে দলটির একটি প্রতিনিধি দল গত মঙ্গলবার ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বিএনপিকে নয়াপল্টনের বিকল্প কোনো জায়গা ভাবার ব্যাপারে বলা হয়েছে। এর পর অনুমতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে পুলিশ। গতকাল একটি দায়িত্বশীল সূত্র থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গতকাল বুধবার ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক সমকালকে বলেন, বিএনপি প্রতিনিধি দলকে বিকল্প কোনো ভেন্যু ভেবে পুলিশকে জানাতে বলা হয়েছে। নয়াপল্টনে তাদের পার্টি অফিসের সামনে খুব বেশি জায়গা নেই। বড় সমাবেশ করতে বড় জায়গা দরকার। সূত্র: সমকাল

বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ শিক্ষার্থী আহত

ট্রাকের ধাক্কায় বৈদ্যুতিক খুঁটি গায়ে পড়ে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বুধবার রাত পৌনে ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে তাজহাট থানার ওসি নাজমুল কাদির জানান। আহত সানভির ও তারিফকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এ ঘটনায় পর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ট্রাকসহ চালক ও তার সহযোগীকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। ক্যাম্পাসের সামনে দ্রুতগতির যানবাহন চলাচলে নিয়ন্ত্রণ এবং আটকদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভও করে তারা।প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে ওসি নাজমুল বলেন, নগরীর লালবাগ এলাকা থেকে আসা দ্রুতগতির একটি ট্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক অতিক্রম করার সময় একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা দেয়। এ সময় খুঁটিটি ভেঙে পাশ দিয়ে যাওয়া দুই শিক্ষার্থীর গায়ে উপর গিয়ে পড়ে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় সহপাঠীরা তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সূত্র: বিডি নিউজ

ব্যাংক নিয়ে কতটা আতঙ্ক

ব্যাংকিং খাত নিয়ে উৎকণ্ঠিত হওয়ার মতো কিছুই দেখছেন না সাবেক ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদরা। তাঁদের মতে আর্থিক খাতের অস্থিরতার প্রভাব ব্যাংকে পড়বে না। বাংলাদেশ ব্যাংকে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা অতিরিক্ত আছে। ব্যাংক নিয়ে এখন যা চলছে সবই গুজব। এর মধ্যে ব্যাংকিং খাত নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে। যদি কোনো ব্যাংক টাকা না দিতে পারে বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রাহকের টাকা ফেরত দেবে। এ পরিস্থিতিতে উৎকণ্ঠার সুযোগ নেই বলে মত দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। তবে কেউ কেউ কিছু ব্যাংকের মালিক সম্পর্কে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। অনেকে বলছেন ডলার সংকটের সঙ্গে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ লেনদেনের কোনো সম্পর্ক নেই। সূত্র; বিডি প্রতিদিন।

জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে রোহিঙ্গা রেজুলেশন গৃহীত

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের তৃতীয় কমিটিতে ‘মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ শীর্ষক রেজুলেশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। এবারের রেজুলেশনটি ওআইসি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন যৌথভাবে উত্থাপন করেছে।রেজুলেশনটিতে ১০৯টি দেশ সহ-পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করেছে, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এ তথ্য জানিয়েছে।রেজুলেশনটিতে প্রাথমিকভাবে দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে- মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর, যা বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আরও অবনতির শিকার হয়েছে। এতে রোহিঙ্গা সমস্যার মূল কারণ খুঁজে বের করা, রাখাইন রাজ্যে স্বপ্রণোদিত, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করা এবং মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূতসহ জাতিসংঘের সব মানবাধিকার ব্যবস্থাপনাকে পূর্ণ সহযোগিতা প্রদান করতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। সূত্র: বাংলানিউজ