আদালত চত্বর থেকে চম্পট মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি ও জেএমবি সদস্য আবু সিদ্দিক ও মইনুল ইসলামকে ঢাকার জজ আদালতের সামনে থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। জানা যায়, ঢাকার নিম্ন আদালত থেকে পুলিশের চোখে স্প্রে করে ছিনিয়ে নেওয়া প্রকাশক দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে। তাদের ধরতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দুই আসামি হলেন- মইনুল হাসান শামীম ও আবু সিদ্দিক সোহেল। শামীমের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতকের মাধবপুর গ্রামে। সোহেলের বাড়ি লালমনিরহাটের আদিতমারীর ভেটোশ্বর গ্রামে।
রোববার (২০ নভেম্বর) দুপুর ১টা ৪০ মিনিটের দিকে এ ঘটনা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিবিপ্রধান হারুন-অর-রশীদ।
তিনি বলেন, টি মোটরসাইকেলে করে চারজন লোক এসে পুলিশের চোখে স্প্রে করে আসামিদের ছিনিয়ে নিয়ে যান। তারা প্রকাশক দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
গত বছর ১০ ফেব্রুয়ারি জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় বহিষ্কৃত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়াসহ আটজনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বহিষ্কৃত মেজর জিয়া, আকরাম হোসেন, মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান, আবদুস সবুর সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে সাদ, খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে জিসান, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার এবং শেখ আবদুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের। আসামিদের মধ্যে জিয়া ও আকরাম পলাতক।
২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে ফয়সল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওইদিন তার স্ত্রী শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
জানা গেছে, সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনাল থেকে হাজিরা শেষে কারাগারে নেওয়ার সময় ঢাকা জেলা জজ আদালতের গেটে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা জঙ্গিরা আবু সিদ্দিক ও মইনুলকে ছিনিয়ে নেয়। এ সময় তারা কর্তব্যরত পুলিশের চোখে অতর্কিতে স্প্রে করে ও পুলিশকে মারধর করে। আশপাশের অন্যরা বাধা দিতে এলে তাদের চোখেও স্প্রে করে জঙ্গিরা। এ সময় জজ আদালত চত্বরে এক ভীতিকর পরিস্তিতি সৃষ্টি হয়।
তক জঙ্গিদের আটক করতে সক্ষম হব।