আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৯:৫৮ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২৩, ২০২২

বিএনপির বিরুদ্ধে মামলা, সাক্ষী কিছুই জানেন না

বগুড়া শহরে পুলিশের ওপর হামলা ও ‘নাশকতা’র অভিযোগ এনে এক পৌর কাউন্সিলরসহ বিএনপি-ছাত্রদল-যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দলের ৭০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে গত সোমবার সদর থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশের দায়ের করা মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে পুলিশের একজন সহকারী উপপরিদর্শক এবং দুজন পথচারীকে।মামলার এক দিন পর গতকাল মঙ্গলবার মুঠোফোনে কথা হয় মামলার দ্বিতীয় সাক্ষী জাকির হোসেনের সঙ্গে। তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘কোন মামলার সাক্ষী এটা প্রথম শুনলাম। ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। পুলিশের ওপর ককটেল হামলার কোনো ঘটনা আমি দেখিনি।’ গুড়া শহরের বুজরুকবাড়িয়া পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা জাকির হোসেন দাবি করেন, শহরের নদী-বাংলা কমপ্লেক্সে ‘স্বাধীন ফার্মেসী’ নামে তাঁর একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ছিল। অনেক আগেই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছেন। গত রোববার বিকেল পাঁচটার দিকে তিনি তাঁর বন্ধু এবং শহরের উত্তর চেলোপাড়ার বাসিন্দা শুকুয়া চৌহান চা খেতে সোনিয়া সিনেমা হলের গলির দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় তিন-চারজন পুলিশ সদস্য তাঁদের পথ আটকে বলেন, ‘ধরেন, কাগজে স্বাক্ষর করেন।’ সূত্র: প্রথম আলো

ভোটের বার্তা নিয়ে মাঠে শেখ হাসিনা
২৪ নভেম্বর যশোর, ৪ ও ৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে জনসভা ♦ উন্নয়ন কর্মকান্ডের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ♦ টানা তিন মেয়াদের উন্নয়ন তুলে ধরা ♦ চতুর্থ মেয়াদে কী করবেন জানানো ♦ স্মরণকালের জনসমাগমের প্রস্তুতি ♦ ২৪ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয়সহ মাসব্যাপী জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এক বছরের কিছু বেশি বাকি থাকতেই ভোটের বার্তা নিয়ে মাঠে নামছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী বৃহস্পতিবার যশোর থেকে শুরু হবে তাঁর নির্বাচনী জনসভা। এরপর ৪ ও ৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারে দলীয় জনসভায় ভাষণ দেবেন। এ তিনটি জনসভায় স্মরণকালের জনসমাগম ঘটানোর প্রস্তুতি চলছে স্থানীয় পর্যায়ে। কেন্দ্রীয় নেতারাও এসব জনসভা সফল করতে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন করোনা থাকার কারণে প্রধানমন্ত্রী দেশে কোনো দলীয় কার্যক্রমে সরাসরি অংশ নিতে পারেননি। করোনা-উত্তর যশোরের জনসভাই হবে ঢাকার বাইরে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম কোনো প্রকাশ্য কর্মসূচি। এর মাধ্যমে তিনি দেশব্যাপী দলীয় কার্যক্রমেরও সূচনা করতে যাচ্ছেন। ওইদিন যশোর শহরের শামসুল হুদা স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি। এরপর ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের পোলোগ্রাউন্ডে ও ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজারের শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দলীয় জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন। এসব কর্মসূচিতে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ফলক উন্মোচন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

রাজস্ব খাতে সংস্কার চেয়ে আইএমএফের চিঠি

কর অব্যাহতিসহ রাজস্ব খাতে সংস্কার নিয়ে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি।গত ৪ নভেম্বর ইস্যু করা চিঠিটি অর্থ মন্ত্রণালয় পেয়েছে ১৭ নভেম্বর। বাজেট সহায়তা নিয়ে আলোচনার জন্য আসা আইএমএফ প্রতিনিধিদল ঢাকা ছেড়েছিল ৯ নভেম্বর। পাঁচটি করণীয় বা শর্ত দিয়ে বাংলাদেশকে ৪৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেওয়া প্রাথমিক সমঝোতা হয় ওই সফরে। বাংলাদেশের জন্য নির্ধারিত পাঁচটি করণীয়র অন্যতম হলো রাজস্ব খাতে সংস্কার আনা।চলতি অর্থবছর বিভিন্ন খাতে কর অব্যাহতি দিয়েছে সরকার। এতে বছরে আড়াই লাখ কোটি টাকার মতো রাজস্ব কমছে। দেশের কর-জিডিপি না বাড়ার সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতার অন্যতম এটি। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতো বড় বড় প্রকল্পে সরকার কর অব্যাহতি দিয়ে রেখেছে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

Nagad

রাজধানীর ১০ শতাংশ ম্যানহোল ঢাকনাহীন
জার্মান দূতাবাসের এক কূটনীতিকের ছোট্ট এক টুইট বার্তা। তাতেই রাতারাতি লেগে গেল রাজধানীর অভিজাত গুলশান এলাকার খোলা ম্যানহোলগুলোর ঢাকনা। গত সোমবার দুপুরে ওই কূটনীতিক টুইট বার্তায় ম্যানহোলে পড়ে আহত হওয়ার বিষয় জানান। সেই বার্তা তিন ঘণ্টা পরই নজরে আসে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি)। এর পরই নেমে পড়েন ডিএনসিসির মাঠকর্মীরা। তবে দুর্ঘটনাস্থল হিসেবে তিনি যে স্থানটি উল্লেখ করেছিলেন, সেখানে তাঁরা কোনো ঢাকনাহীন ম্যানহোল খুঁজে পাননি। পরে গুলশানের ৭৫ নম্বর রোডে একটি খোলা ম্যানহোল দেখতে পান। রাতেই ডিএনসিসি কর্মীরা সেটি মেরামত করে দেন। পরে গুলশান এলাকায় আরও এ রকম সাতটি ঢাকনাহীন ম্যানহোলের খোঁজ মেলে। সেগুলোও মেরামত করে লোহার খাঁচার বদলে স্লাব লাগিয়ে দেওয়া হয়। সংশ্নিষ্টরা বলছেন, এমন দুর্ঘটনা নতুন নয়। ২০১৪ সালে ঢাকনাহীন ম্যানহোলে পড়ে রাজধানীর শাহজাহানপুরে শিশু জিহাদ মারা যায়। ২০১৫ সালে শ্যামপুরে খোলা নর্দমায় পড়ে মারা যায় আরেক শিশু নীরব। এ ছাড়া ঝুমবৃষ্টি হলেই ম্যানহোলে পড়ে আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে অহরহ। মাঝেমধ্যেই নগরবাসী ম্যানহোলে পড়ে আহত হন। তবে সেগুলো আসে না আলোচনায়। এবার জার্মান দূতাবাসের উপরাষ্ট্রদূতের আহত হওয়ার পর বিষয়টি বড় নাড়া দিয়েছে। এ ব্যাপারে ডিএনসিসির ৩ নম্বর অঞ্চলের (গুলশান এলাকা) নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহিল বাকি সমকালের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। সূত্র: সমকাল

এক যুগে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ক্ষত ৫৯ হাজার কোটি টাকা

প্রায় তিন যুগ ধরে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোয় সংস্কার ও কার্যকর সুশাসন প্রতিষ্ঠার তাগিদ দিয়ে আসছে বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ (আইএমএফ) দাতা সংস্থাগুলো। সংস্থাগুলোর চাপের মুখে ২০০৭ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রধান চার ব্যাংককে কোম্পানিতে রূপান্তরও করা হয়। ওই সময় একটি ব্যাংক সরকারি খাতে রেখে বাকিগুলোকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়ার বিষয়েও আলোচনায় হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত কোম্পানিতে রূপান্তর ছাড়া আর কোনো সংস্কার রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয় আসেনি। দীর্ঘ বিরতির পর এবার আইএমএফের কাছে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণসহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ। এ ঋণপ্রাপ্তির শর্ত হিসেবে আবারো রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর দুর্দশার বিষয়টি আলোচনায় এনেছে আইএমএফ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, কিছু সংস্কার ও সুশাসনের তাগিদের ফলে ২০০০ সাল-পরবর্তী দশকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর আর্থিক শৃঙ্খলায় উন্নতি হয়েছিল। ১৯৯৯ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার ছিল ৪৬ শতাংশ। ধারাবাহিকভাবে কমে ২০১০ সালে তা ১১ শতাংশে নেমে এসেছিল। কিন্তু এরপর আবারো পথ হারিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক।গত এক যুগে সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতির শিকার হয়ে প্রায় দেউলিয়া হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংক। হলমার্কের মতো বৃহৎ কেলেঙ্কারির জন্ম দিয়েছে সোনালী ব্যাংক। জনতা ব্যাংকে সংঘটিত হয়েছে ক্রিসেন্ট, এননটেক্সের মতো বৃহৎ ঋণ জালিয়াতি। অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকেও ঘটেছে একের পর এক আর্থিক অপরাধ। সব মিলিয়ে গত এক যুগে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর আর্থিক ভিত দুর্বল হয়েছে। এ সময়ে রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ বাণিজ্যিক ব্যাংকে আর্থিক ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে ৫৯ হাজার কোটি টাকার বেশি। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হারও ২৩ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে। সূত্র: বণিক বার্তা।

কারখানানির্ভর কাজে আগ্রহ হারাচ্ছে চীনের তরুণরা
চীনকে বলা হয় বিশ্বের অন্যতম উৎপাদন কেন্দ্র। বিভিন্ন ধরনের পণ্য থেকে খুচরা যন্ত্রাংশ উৎপাদনের জন্য বিশ্বের অনেক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির ওপর নির্ভর করে। তাই উৎপাদন খাত চীনা অর্থনীতির অন্যতম শক্তিও। কিন্তু চীনের আগের প্রজন্ম যেমন দিনের পর দিন যন্ত্রাংশ উৎপাদন কারখানা কিংবা টেক্সটাইল মিলে চাকরি করেই জীবনজীবিকা নির্বাহ করেছে, বর্তমান তরুণ প্রজন্ম ঠিক এ ধরনের কাজ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, চীনের কর্মশক্তিতে যুক্ত হতে যাওয়া তরুণেরা কম বেতন, দীর্ঘ সময় ধরে কঠোর পরিশ্রম এবং আঘাতের ঝুঁকি আছে, এমন কাজগুলোকে প্রত্যাখ্যান করছে রীতিমতো। ক্লান্তিকর এসব কাজের বিপরীতে দোকানে দোকানে পণ্য বিক্রি কিংবা সুপারমার্কেটের জন্য সরবরাহকারকের কাজের প্রতি তারা বেশি আগ্রহী।২০-৩০ বছর বয়সী তরুণরা কারখানানির্ভর কঠোর পরিশ্রমের কাজের ওপর থেকে আগ্রহ হারিয়ে ফেলার কারণে বড় ধরনের শ্রম ঘাটতি তৈরি হচ্ছে দেশটিতে। কেননা বিশ্বব্যাপী ব্যবহূত পণ্যের এক-তৃতীয়াংশ উৎপাদন হয় চীনে। কিন্তু তরুণ শ্রমশক্তির মুখ ফিরিয়ে নেয়া উৎপাদনশিল্পের জন্য বড় ধরনের শ্রমসংকট তৈরি করছে।বিশ্লেষকরা বলছেন, কারখানার মালিকেরা আরো বেশি ও দ্রুত উৎপাদনের দিকে জোর দিচ্ছে। পাশাপাশি কারখানায় বয়স্ক কর্মীর স্থলে তারা তরুণ প্রজন্মকে নিয়োগ দিতে বেশি আগ্রহী। এক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই তাদের উচ্চ বেতন ও উন্নত কর্মপরিবেশের দিকে জোর দিতে হবে। সূত্র: বণিক বার্তা।

সেপ্টেম্বরে চাল-গমসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যে এলসি ওপেনিং বেড়েছে

দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেপ্টেম্বরে চাল, গম, চিনির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের এলসি খোলা বেড়েছে আগের মাসের তুলনায়। তবে ক্যাপিটাল মেশিনারিজ, বিভিন্ন শিল্পে ব্যবহৃত মেশিনারিজ বা স্ক্র্যাপ ভ্যাসেলের মতো পণ্য আমদানিও বেড়েছে সেইসঙ্গে।বিশ্বের অনেক দেশ যেখানে খাদ্যাভাবের আশঙ্কার কথা বলছে, সেখানে দেশে খাদ্যপণ্যের আমদানি এলসি খোলাকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন অর্থনীতিবিদেরা। তবে এসবের আড়ালে যেন টাকা পাচার না হয়, সেদিকেও নজর রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, আগস্ট মাসে চাল, গম, চিনি, কয়লা, স্ক্র্যাপ ভ্যাসেল, র’ কটন, ব্যাক টু ব্যাক এলসি, সার, জ্বালানী তেল, ক্যাপিটাল মেশিনারিজ ও বিভিন্ন শিল্পে ব্যবহৃত মেশিনারিজ আমদানি করার জন্য ১.৭৩ বিলিয়ন ডলারের এলসি খোলা হয়েছিল।সেপ্টেম্বরে এসে এই ১১ পণ্যের জন্য এলসি খোলা হয়েছে ৩.১৫ বিলিয়ন ডলারের। অর্থাৎ এসব পণ্যে আমদানি এলসি খোলা আগের মাসের তুলনায় ১.৪২ বিলিয়ন ডলার বেড়ে গেছে। স্ক্র্যাপ ভ্যাসেল ও জ্বালানী তেল বাদে বাকি পণ্যগুলোর এলসি সেটেলমেন্টও আগের মাসের তুলনায় বেড়েছে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

যুদ্ধের ধাক্কা এডিপি বাস্তবায়নেও

সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কা লেগেছে। যুদ্ধের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিও বেশ চাপের মধ্যে পড়েছে। সেই চাপ সামাল দিতে ব্যয় সংকোচন করছে সরকার। তার প্রভাব বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়নেও পড়েছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) গতকাল মঙ্গলবার এডিপি বাস্তবায়নের হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে (১২ মাস, ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জুন) এডিপির আওতায় উন্নয়ন কার্যক্রমে সরকার যে বরাদ্দ দিয়েছিল, প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) তার মাত্র ১২ দশমিক ৬৪ শতাংশ অর্থ ব্যয় হয়েছে। টাকার অঙ্কে এই ব্যয়ের পরিমাণ ৩২ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা।এর আগে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে এর চেয়ে কম- ১১ দশমিক ৪৮ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছিল। তার মানে গত ৭ বছরের মধ্যে এবারই এ সময়ে সবচেয়ে কম এডিপির অর্থ ব্যয় হয়েছে। সূত্র; দৈনিক বাংলা ।

কাগজের সংকটে ছাপাখানা, নতুন বই আর পড়াশোনা নিয়ে আশঙ্কা

বাংলাদেশে ডলার সংকটের কারণে অন্য অনেক খাতের মতো প্রভাব পড়েছে দেশের মুদ্রণ শিল্পের ওপরেও। ফলে নতুন বই প্রকাশ আর পড়াশোনায় দরকারি সাদা কাগজের সংকট তৈরির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। প্রকাশক ও মুদ্রণ ব্যবসায়ীরা বলছেন, একদিনে বাজারে কাগজের দাম গত এক মাসের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে। আবার আমদানি কম হওয়ায় ভালো মানের পর্যাপ্ত কাগজও বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না।ফলে তারা আশঙ্কা করছেন, এর ফলে একদিনে যেমন বছরের শুরুতে স্কুলগুলোর পাঠ্যপুস্তক হাতে পাওয়া নিয়ে সমস্যা তৈরি হতে পারে, আরেকদিকে বই মেলার অনেক বইয়ের প্রকাশ আটকে যেতে পারে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা।

জঙ্গি ছিনতাই: তিন ডিআইজি প্রিজন্স, দুই জেল সুপার বদলি
ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনার প্রেক্ষাপটে কারাগারের পাঁচ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার কর্মস্থল বদলে দেওয়া হয়েছে। ঢাকা বিভাগের কারা উপ-মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ তৌহিদুর হককে বিভাগে বদলি করা হয়েছে রংপুরে। কারা উপ-মহাপরিদর্শক মো. আলতাব হোসেনকে রংপুর থেকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে। আর চট্টগ্রাম বিভাগের কারা উপ-মহাপরিদর্শক এ কে এম ফজলুল হককে ঢাকা বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।এছাড়া গাজীপুরে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার মো. আব্দুল আজিজকে বদলি করা হয়েছে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে। রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার সামলে আসা জ্যেষ্ঠ জেল সুপার সুব্রত কুমার বালাকে পাঠানো হয়েছে কাশিমপুরে। সূত্র: বিডি নিউজ