আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:১০ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২৪, ২০২২

ইসলামী ব্যাংকে ‘ভয়ংকর নভেম্বর’
ইসলামী ব্যাংক থেকে নভেম্বরে তুলে নেওয়া হয়েছে ২,৪৬০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে তিন ব্যাংকে সন্দেহজনক ঋণ ৯,৫০০ কোটি টাকা।

ব্যাংকের নথিপত্রে নাবিল গ্রেইন ক্রপস লিমিটেডের অফিসের ঠিকানা বনানীর বি ব্লকের ২৩ নম্বর সড়কের ৯ নম্বর বাড়ি। সেখানে গিয়ে দেখা গেল, এটি একটি পূর্ণাঙ্গ আবাসিক ভবন। ঋণ পাওয়া মার্টস বিজনেস লিমিটেডের ঠিকানা বনানীর ডি ব্লকের ১৭ নম্বর সড়কের ১৩ নম্বর বাড়ি। সেখানে গিয়ে মিলল রাজশাহীর নাবিল গ্রুপের অফিস। তবে মার্টস বিজনেস লাইন নামে তাদের কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। এভাবেই ভুয়া ঠিকানা ও কাগুজে দুই কোম্পানি খুলে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (আইবিবিএল) থেকে দুই হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছে একটি অসাধু চক্র।সব মিলিয়ে নানা উপায়ে ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। আটটি প্রতিষ্ঠানের নামে চলতি বছরেই এ অর্থ নেওয়া হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থ তুলে নেওয়া হয় চলতি মাসের ১ থেকে ১৭ নভেম্বর। যার পরিমাণ ২ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা। এ জন্যই ব্যাংকটির কর্মকর্তারা চলতি মাসকে ‘ভয়ংকর নভেম্বর’ বলে অভিহিত করছেন। একইভাবে বেসরকারি খাতের সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল) ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকেও ২ হাজার ৩২০ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে এ কোম্পানিগুলো। ফলে এ তিন ব্যাংকের কাছে প্রতিষ্ঠানগুলোর সুদসহ দেনা বেড়ে হয়েছে সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা। এমন সময়ে এসব অর্থ তুলে নেওয়া হয়, যখন ব্যাংক খাতে ডলার–সংকটের পর টাকার সংকট বড় আলোচনার বিষয়। ব্যাংক তিনটির নথিপত্র পর্যালোচনা করে এ সব তথ্য মিলেছে। সূত্র: প্রথম আলো

এক কম্পানিরই ২৩ ওষুধের দাম বাড়ল

প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য তালিকাভুক্ত ২০টি জেনেরিকের ৫৩টি ব্র্যান্ডের ওষুধের দাম শতভাগ পর্যন্ত বাড়ানো হয় গত ৩০ জুন। এর সাড়ে চার মাস পরই গত রবিবার লিবরা ইনফিউশন লিমিটেডের ছয়টি জেনেরিকের ২৩টি ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছে। সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর সূত্র বলছে, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি এবং ওষুধ উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামাল, প্যাকেজিং সরঞ্জাম ও পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়াসহ নানা কারণে ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছে। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও পরিচালক আইয়ুব হোসেন বলেন, গত রবিবার যে ২৩টি ওষুধের দাম পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে, ২০১৩ সালের পর এই প্রথম সেই ওষুধগুলোর দাম বাড়ানো হলো। সূত্র: কালের কণ্ঠ

খুচরায় বিদ্যুতের দাম ১৫-২০% বাড়াতে চায় বিতরণ কোম্পানিগুলো
বিইআরসিতে প্রস্তাব তিন কোম্পানির, প্রস্তুতি নিচ্ছে আরো তিনটি
পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়ানোর পর দুদিনের মধ্যেই গ্রাহক পর্যায়ে ১৫-২০ শতাংশ হারে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির তোড়জোড় শুরু করেছে বিতরণ কোম্পানিগুলো। এরই মধ্যে বিদ্যুতের তিন বিতরণ কোম্পানি ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো), ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) মূল্যবৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) বরাবর প্রস্তাব পাঠিয়েছে। একই উদ্দেশ্যে প্রস্তাব তৈরি করছে নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো), ঢাকা ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) ও বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি)। আজ-কালের মধ্যেই এ তিন কোম্পানি বিইআরসি বরাবর তাদের প্রস্তাব জমা দেবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে। চলতি সপ্তাহেই পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে বিইআরসি। কমিশনের গত সোমবার ঘোষিত নতুন সিদ্ধান্তে পাইকারিতে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয় ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৩ পয়সা বাড়ানোর ঘোষণার পর বিপিডিবির প্রতি কিলোওয়াট/ঘণ্টা বিদ্যুতের দাম ৫ টাকা ১৭ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ২০ পয়সা। বিতরণ কোম্পানিগুলোকে ডিসেম্বর থেকে এ মূল্য পরিশোধ করতে হবে। ওই ঘোষণার দুদিনের মধ্যেই খুচরায়ও দাম বাড়াতে তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে বিতরণ কোম্পানিগুলো।বিতরণ কোম্পানিগুলোর ভাষ্যমতে, পাইকারিতে দাম বাড়ানোয় বিদ্যুতের মূল্য বাবদ প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যয় বেড়েছে। এজন্যই খুচরা বা গ্রাহক পর্যায়ে দাম বাড়ানোর জন্য প্রক্রিয়া শুরু করতে চাইছে কোম্পানিগুলো। বিতরণ কোম্পানিগুলো প্রস্তাব পাঠানো বা তৈরির কথা স্বীকার করলেও বিইআরসি বলছে, এখনো এ ধরনের কোনো প্রস্তাব পায়নি কমিশন। সূত্র: বণিক বার্তা।

ফুটবল বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে যেভাবে বৈশ্বিক জুয়ার প্রসার ঘটতে চলেছে
কাতারে অনুষ্ঠিত ফুটবল বিশ্বকাপে বিয়ার পানে নিষেধাজ্ঞা, লিঙ্গ বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তির সমর্থনে আর্মব্যান্ড পরলে খেলোয়াড়দের ব্যানের হুমকি– সবমিলিয়ে এই আয়োজনের নানান নিয়মকানুন নিয়ে সমালোচনা করছে পশ্চিমা বিশ্ব। অথচ, অশনির মেঘ ঘনিয়ে আসছে পশ্চিমাদের সমর্থিত এক ব্যবসা- জুয়াকে ঘিরে। পুরো বিশ্বের আর্থ-সামাজিক ও ক্রীড়াঙ্গনে পড়তে চলেছে যার গভীর প্রভাব। খবর ব্লুমবার্গের -ফুটবল বিশ্বকাপ ঘিরে জুয়া শিল্পের রয়েছে ১৬০ বিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যবসার সম্ভাবনা। সঙ্গে বিকাশ ও উন্নতির লক্ষ্য তো আছেই। তাদের নিজস্ব সংকট থেকেও বাঁচাবে ফুটবলে সংশ্লিষ্টতা। যেমন আমেরিকার একটি বৃহৎ জুয়া-ভিত্তিক কোম্পানি ড্রাফটকিংস। সম্প্রতি তাদের বিপুল সংখ্যক জুয়ারি গ্রাহকের একাউন্টের তথ্য ফাঁস হয়, উত্তোলন করা হয় নগদ অর্থ। কোম্পানিটি জানায়, তাদের অন্তত ৩ লাখ ভোক্তার তহবিল এভাবে ক্ষতির শিকার হয়েছে। গ্রাহকদের এই লোকসান তারা পুষিয়ে দেবে। কিন্তু, এ ঘটনায় পুঁজিবাজারে তাদের শেয়ারমূল্যে পতন ঘটেছে রাতারাতি। মহামারি পরবর্তী সময়ে জুয়ার প্রসার সমাজে কোন ধরনের নেতিবাচক পরিণতি আসতে পারে, এটি তার সামান্যতম উদাহরণ মাত্র। ক্রীড়া-নির্ভর জুয়ার লেনদেন রমরমা হলে সমাজে আসক্তি, দুর্নীতি, অর্থপাচার বৃদ্ধির ঝুঁকি নতুনমাত্রা লাভ করবে। অথচ, অর্থসংকটে অনেক দেশের সরকার ও ক্রীড়া সংগঠন উদারীকরণ ও সংস্কারের মাধ্যমে বহুল সমালোচিত এই ব্যবসাকে জোরালো করার উদ্যোগ নিচ্ছে। অবৈধ দিকগুলিকে করতে চাইছে বৈধ। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

Nagad

পাঁচ বছর পর আজ যাচ্ছেন
প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে যশোরবাসী

পাঁচ বছর পর আজ বৃহস্পতিবার যশোর আসছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত যশোরের মানুষ। সকালে বিমানবাহিনীর যশোর মতিউর রহমান ঘাঁটিতে শীতকালীন কুচকাওয়াজে যোগ দেওয়ার পর দুপুরে তিনি স্থানীয় শামস্‌-উল হুদা স্টেডিয়ামে আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে উৎসবের শহরে পরিণত হয়েছে যশোর। শহরের অলিগলি থেকে গ্রামের রাস্তাঘাট ছেয়ে গেছে ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড আর তোরণে। চলছে মাইকিং। প্রধানমন্ত্রীর আগমনে আশায় বুক বেঁধেছেন যশোরবাসী। মেডিকেল কলেজ ৫০০ শয্যা, বিমানবন্দর আধুনিকীকরণ, ভবদহের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, যশোরকে সিটি করপোরেশন ঘোষণাসহ নানা দাবিতে মুখর স্থানীয়রা।গত কয়েক বছরে স্বপ্নের পদ্মা, মধুমতী সেতুসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। ফলে যশোরসহ এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং মানুষের জীবনযাত্রায় উন্নয়ন ঘটেছে। এ উন্নয়ন ও দিনবদলের নেতৃত্ব দেওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বরণ করতে এবং তাঁর মুখে আগামীর বার্তা শুনতে আগ্রহভরে অপেক্ষা করছেন যশোরের মানুষ। আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, ৫০ বছর আগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যশোরের যে স্থানে জনসমুদ্রে ভাষণ দিয়েছিলেন, সেখানেই ভাষণ দেবেন তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা। করোনাকালের তিন বছর পর আওয়ামী লীগের জনসভায় প্রথমবারের মতো সশরীরে অংশ নিচ্ছেন তিনি। এই সমাবেশ থেকেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাজনৈতিক বার্তা দেবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। অন্য নির্বাচনের আগে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকে শুরু হতো প্রচারণা, এবার যশোর থেকে সূচনা হচ্ছে নির্বাচনী তৎপরতা। সূত্র: সমকাল

গরমে স্বস্তি দিতে উৎপাদনে আসছে ৬ বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র

আগামী গ্রীষ্মে বিদ্যুতের চাহিদা সামাল দিতে সরকার প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার ছয়টি বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে তিনটি গ্যাস ও তিনটি কয়লাভিত্তিক কেন্দ্র। এসব কেন্দ্র উৎপাদনে এলে বন্ধ রাখা হবে ডিজেল ও ফারনেস তেলভিত্তিক এবং ছোট গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো। এতে বিপুল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় হবে। পাশাপাশি ২০২৩ সালের গ্রীষ্মে বিদ্যুতের লোডশেডিং নিয়ে সরকারকে চিন্তায় পড়তে হবে না। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ বেধে যাওয়ার ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম বেড়ে যায়। এ কারণে সরকার তেলভিত্তিক কেন্দ্রগুলো বন্ধ রেখে লোডশেডিং করে। চাহিদার অন্তত ২৫ শতাংশ লোডশেড বা কম বিদ্যুৎ উৎপাদন করায় তীব্র ভোগান্তিতে পড়ে জনজীবন। এই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি বন্ধে এবারই বড় পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে সরকার।বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘২০২৩ সালের গ্রীষ্মে লোডশেডিং না করার জন্য বেশ কিছু পরিকল্পনা আমরা হাতে নিয়েছি। ইউনিক মেঘনাঘাট, সামিট মেঘনাঘাট, রিলায়েন্স মেঘনাঘাট, রামপাল, আদানি এবং এস আলমের বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে আনা হচ্ছে। এসব কেন্দ্র নির্মাণ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সরকারের পরিকল্পনা আছে এসব কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আনা। সেটি করা গেলে আগামী গ্রীষ্মে লোডশেডিং থাকবে না।’ সূত্র: দৈনিক বাংলা।

বছরজুড়ে হাসপাতালে রোগীর চাপ

করোনা সংক্রমণ কমলে হাসপাতালে বাড়তে থাকে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এর মধ্যে নিউমোনিয়া, টাইফয়েড আক্রান্ত রোগী বাড়ছে হাসপাতালে। কিডনি, লিভার, ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর ভিড় হাসপাতালে। বছরজুড়েই দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর চাপ। সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ সারা বছরই সোনার হরিণ।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, গতকাল সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫১৫ জন। এর মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৬৬ জন, ঢাকার বাইরে ২৪৯ জন। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তিনজন। গতকাল করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ জন। মৌসুমি জ্বর কিংবা সংক্রামক রোগের বাইরে নিউমোনিয়া, টাইফয়েডে আক্রান্ত রোগীতে ভর্তি হাসপাতাল। এর সঙ্গে বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ, করোনা পরবর্তী জটিলতাসহ নানা ধরনের রোগী বাড়ছে হাসপাতালে। রোগ শনাক্ত বাড়ায় এবং নানা রোগের প্রকোপে রোগীর চাপ সবসময়ই থাকছে। দেশের হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডগুলো নিউমোনিয়া ও ব্রংকাইটিস আক্রান্ত শিশু রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। হাসপাতালের মেঝেতে-বারান্দায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে অনেক রোগী। অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে সারা দেশের বেশিরভাগ হাসপাতালে শিশু নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

চিনি নিয়ে নয়-ছয়
খুচরায় এখনো বাড়তি দাম, ভোক্তা অধিকার বলছে ‘সিন্ডিকেট’

কেজি প্যাকেট চিনি সেই অনুযায়ী বিক্রি হওয়ার কথা ১০৮ টাকা। কিন্তু পাইকার ও খুচরা বিক্রেতা এখনো সংকটের অজুহাতে বিক্রি করছেন বাড়তি দামে। তাদের দাবি, মিল থেকে চিনির সরবরাহ নেই। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে অনেকটা নীরব। খুচরা বিক্রেতারাও ক্রয়মূল্যের অধিক দামে পণ্য বিক্রি করে যাচ্ছে। ভোক্তা অধিকার বলছে, চিনি এখনো আটকে আছে সিন্ডিকেটে। বাজার তদারকি করে অবৈধ মজুতও পেয়েছেন তারা।এ অবস্থায় প্রায় নীরব বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে কিছু বাজার তদারকি করলেও মিল মালিকদের বিরুদ্ধে কার্যত কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, ১৭ নভেম্বর একসঙ্গে তারা চিনি ও তেলের দাম বাড়িয়ে নিলো। এরপর বাজারে তেলের সরবরাহ রাতারাতি স্বাভাবিক হয়েছে। কিন্তু এখন চিনি দিচ্ছে না। যদিও তারা (মিল মালিকরা) বলছে, প্রতিদিন আগের মতো চিনি মিলগেট থেকে দেওয়া হচ্ছে। তাহলে সেটা যাচ্ছে কোথায়। সূত্র: জাগো নিউজ

প্রধানমন্ত্রীকে বরণে প্রস্তুত যশোর
পাঁচ বছর পর যশোরে প্রধানমন্ত্রীর আগমণ উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে আওয়ামী লীগ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার যশোর যাচ্ছেন। দুই বছরের বেশি সময় পর রাজধানীর বাইরে তার এই সফর উপলক্ষে যশোর সেজেছে বর্ণাঢ্য সাজে। পাঁচ বছর পর যশোরে প্রধানমন্ত্রীর আগমণ উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে আওয়ামী লীগ। এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর কাছে যশোর উন্নয়নের প্রস্তাবনা থাকবে বলে স্থানীয় নোতারা জানিয়েছেন। যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বরের পর এবার ২৪ নভেম্বর যশোর আসছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় যশোরের শামস-উল-হুদা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে জনসভা। ১৯৭২ সালের ২৬ ডিসেম্বর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একই স্টেডিয়ামে সমাবেশে ভাষণ দিয়েছিলেন। তার প্রায় ৫০ বছর পর তার কন্যা সেখানে ভাষণ দেবেন। এ কারণে এ সমাবেশকে ঐতিহাসিক বলছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। সূত্র: বিডি নিউজ