বিলুপ্তির পথে ঠাকুরগাঁওয়ের ঐতিহ্যবাহী দুটি রাজবাড়ী

ঠাকুরগাঁও জেলার ৫ টি উপজেলায় ছড়িয়ে ছিটেয়ে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন। এই ৫ উপজেলার মধ্যে ঐতিহ্যবাহী দুটি নিদর্শন হলো রাণীশংকৈল উপজেলার রাজা টঙ্কুনাথের রাজ বাড়ি ও হরিপুর উপজেলার রাজ বাড়ি।

ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলায় অবস্থিত রাজা টঙ্কুনাথের রাজবাড়ি।

জানা যায়, উনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে এই রাজবাড়িটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেন রাজা টঙ্কুনাথ। তার স্ত্রী রাণী শঙ্করদেবীর নাম অমুসারে এই উপজেলার নামকরণ করা হয় রানীশংকৈল। পূর্বে রাজবাড়ীতে প্রবেশপথে দেখা যেত একটি মনোমুগ্ধকর সেতু। যা এখন আর নেই। সেখান থেকে একটু সামনে গেলেই দেখা মিলবে রাজা টঙ্কুনাথের ঐতিহ্যবাহী রাজবাড়ী। এই রাজবাড়িটির দেওয়ালে রয়েছে অনেক নিদর্শন ও টেরাকোটার কাজ যা এখন কালের বিবর্তনে বিলুপ্তির পথে। রাজবাড়ীর দরজা জানালা ও ছাদসহ বিভিন্ন টেরাকোটা অযত্নে ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। রাজবাড়িটির বিভিন্ন দেওয়ালে জন্ম নিয়েছে নানারকম ছোট বড় বনজ গাছ।

একই জরাজীর্ণ অবস্থা হরিপুর উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত হরিপুর রাজবাড়ী। ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে ঘনশ্যামকুণ্ডের বংশধর এই রাজবাড়িটি নির্মাণ করেন। শতাব্দি ধরে দাড়িয়ে থাকা এই রাজবাড়িটির এখন জরাজীর্ণ অ ভঙ্গুর অবস্থা। যেটি এখন মাদকসবীদের অন্যতম মাদক আখরাতে পরিণত হয়েছে।রাতের আধারে মাদকসেবিরা চালায় তাদের মাদক সেবনের কার্যক্রম। অতি দ্রুত এই রাজবাড়িটিকে মাদকসেবীদের থেকে দূরে না সরানো গেলে এলাকার যুব সমাজ খারাপের দিকে ধাবিত হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

রাজবাড়ীটির নিপুণ নির্মাণকৌশলী দেখতে দূর দূরান্তে থেকে উপস্থিত হয় অনেক দর্শনার্থীরা। কিন্তু রাজবাড়িটির এই ভঙ্গুর অবস্থা দেখে হতাশ হয়ে ফিরছে তারা।

সংস্কার ও যথাযথ সংস্করণ হলে এই দুইটি রাজবাড়ী ঠাকুরগাঁও জেলার অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র হতে পারে বলে দাবি করছে সচেতন মহল।

Nagad

এই বিষটি নিয়ে জানতে চাইলে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন,রাজাটঙ্কু নাথের রাজবাড়ীটি যথাযথ ভাবে সংস্কার ও সংরক্ষিত রয়েছে এবং হরিপুর রাজবাড়িটি সংস্করণ করা হয়নি।আমরা অতি দ্রুত প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের সাথে কথা বলে এটা সংস্কারের মাধ্যমে ঠাকুরগাঁওয়ের যে ঐতহ্য ও পর্যটনকেন্দ্র এর সম্ভাবনা তা সমৃদ্ধি করবো।