যশোর সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী: রিজার্ভ কিংবা ব্যাংকে টাকার সমস্যা নেই
যশোরের শামস্-উল হুদা স্টেডিয়ামের জনসভাবেশে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রিজার্ভ নিয়ে তো নেই; ব্যাংকেও টাকা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। আমাদের রেমিটেন্স এসেছে। রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ এখনও অর্থনৈতিকভাবে যথেষ্ঠ শক্তিশালী আছে। কৃষি ও ফুল উৎপাদনে এক নম্বরে আছে যশোর।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে যশোর জেলা স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় এ তথ্য জানান সরকার প্রধান।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়েছি। কর্মসংস্থান করেছি। আর বিএনপি মানুষ হত্যা করেছে। মানুষকে হত্যা আর লুটপাট ছাড়া কিছুই দিতে পারেনি তারা।
সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে তিনি বলেন, মানুষের খাবার ছিল না, মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিল না। আমরা চিকিৎসা, ওষুধের ব্যবস্থা করেছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। সবার হাতে এখন মোবাইল ফোন। এটা মানুষের হাতে তুলে দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার।
সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে আসতে শুরু করেন নেতাকর্মী। জনসভায় দুপুরের আগেই জনসমুদ্রে রূপ নেয়। বৃহত্তর যশোরসহ আশপাশের জেলাগুলোতে মানুষের স্রোত এসে গন্তব্য পায় শামস্-উল হুদা স্টেডিয়ামে।
এর আগে, পবিত্র কোরআন তেলায়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। সভায় সূচনা বক্তব্য দেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম মিলন।
দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যশোর আসাকে কেন্দ্র করে পুরো সমাবেশস্থল উৎসবে রূপ নেয়। রং-বেরঙের পোশাক, ক্যাপ, গেঞ্জি পরে ব্যান্ডপার্টির তালে তালে মিছিল নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন স্টেডিয়ামে।
মঞ্চে আছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। আরও আছেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পীযুষ ভট্টাচার্য, আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়াসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।