‘ভোটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের নীতিমালা প্রয়োজন’

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৯:২৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩, ২০২২

জাতীয় নির্বাচন বা স্থানীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের প্রচারণা ও নির্বাচন কমিশনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের একটি নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

শনিবার (৩ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ এই দাবি জানান।

সভাপতি বলেন, গত জুন এবং সেপ্টেম্বরে নির্বাচন কমিশন সকল রাজনৈতিক দলের সাথে প্রথম দফায় ইভিএম ও পরবর্তীতে নির্বাচন পরিচালনা নিয়ে ২৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপ করে। বাকি নয়টি দল সংলাপে অংশগ্রহণ করেনি। এই দুটি সংলাপেই নির্বাচন এবং রাজনীতিকে প্রভাবিত করা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ে নির্বাচন কমিশন বা ২৯টি রাজনৈতিক দলের কেউ কোনো কথা বলেনি। কিন্তু দেশের রাজনীতি ও নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারসহ প্রায় সবকিছুই হয়ে থাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকেন্দ্রিক।

মহিউদ্দিন বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের নীতিমালা রয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক দল বা নির্বাচন কমিশনের বর্তমান সময়ের গুরুত্বপূর্ণ এ প্লাটফর্ম ব্যবহারের কোনো নীতিমালা নেই। একজন প্রার্থীর পোস্টার রঙিন করা যাবে না বা প্রচার মাধ্যম কী হবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট একটি নির্দেশনা কমিশনের রয়েছে। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কী ধরনের পোস্টার ব্যবহার বা ভিডিও প্রচারের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনো নির্দেশনা নেই। একইসঙ্গে নেতিবাচক স্লোগান প্রচার না করা, বুস্টিংয়ে ব্যয় করা সম্পর্কে কোনো সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা বা নীতিমালা নেই।

এই অবস্থা আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন এবং রাজনৈতিক উত্তাপে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা গ্রাহক স্বার্থ নিয়ে কাজ করা সংগঠনটির।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও রাজনীতিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করা গেলে দুর্বল এবং সবল প্রার্থীদের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা যাবে পাশাপাশি সমাজে বিশৃঙ্খলা রোধ করা সম্ভব হবে জানিয়ে নির্বাচন কমিশন চাইলে সংগঠনটি এ বিষয়ে কমিশনের সাথে বসে বা লিখিত পরামর্শ দিতে চায় বলে জানিয়েছেন মহিউদ্দিন আহমেদ।

Nagad

সারাদিন. ৩ ডিসেম্বর.