চিত্তচাঞ্চল্য নাফাখুম, এতো নায়গ্রা : আসাদ পলাশ

আসদ পলাশ:আসদ পলাশ:
প্রকাশিত: ৩:০৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৫, ২০২২

ছোটবোন ঋভু ফোনে ন্যাকা কান্না জুড়ে দিল, ভাইয়া তুমি কেমনে পারলা? তোমার কি একটুও আমার কথা মনে হয়না। বলে রাখি শিশু কালে এই বোনটা ঘরে ঢুকার সাথে সাথে পিছনে ঘুর ঘুর করতো কোলে উঠার জন্য, আমরা ভাই বোনরাই ওর দুনিয়া, বুবুনি, ছোটপা, মেজ ভাইয়া, ছোট ভাইয়া আর আব্বা ঘরে ফিরা পর্যন্ত জেগে থাকলে ওর আহ্লাদ বেড়ে যেত আকাশ ছোঁয়া। সময় স্রোতে বোনটা আমার বড় হয়ে গেল, লেখা পড়া, চাকুরী, বিয়ে। আমি বলি তোর জামাইর সাথে বেড়াতে যা, অভিমানে ঠোঁট ফুলায়। বেশি রাগানো ঠিক না। সর্বশেষে প্রতিজ্ঞায় প্রতিশ্রুতি “তোকে অনেক সুন্দর জায়গায় বেড়াতে নিয়ে যাবো।“

মামুন, চাকুরীর পাশাপাশি ট্যুর অপারেটর, আমার সফর সঙ্গী, আমি শুধু জায়গার নাম বলি, মামুন সব জোগাড় করে, বাসের টিকেট, হোটেল বুকিং, লোকাল গাড়ী, ডে প্ল্যান, স্পট সব। ভ্রমণ প্রিয় সুমন আর ৬৪ জেলা ঘুরে দেখা মঞ্জু আমার স্কুল বন্ধু, ক্লাস থ্রি থেকে বন্ধুত্ব, মাঝে ৩০ বছর বিচ্ছেদের অনলে পুড়ে অঙ্গার হয়ে আবারও একসাথে পথ চলা। সাথে দুই ভাবি, ঋভুর কলিগ জাকিয়া, আমি, আমার স্ত্রী, ছোট ছেলে সামিন, সুমনের অফিস কলিগ অত্যন্ত অমায়িক স্বভাবের মাহবুব ভাই, ধর্ম ভীরু আশরাফুল ভাই, মৃদুল ভাই , খুব কেয়ারিং রিপন ও প্রাক্তন সহ কর্মী মালেক । মালেক আর আমার ছোট ছেলে পাহাড় টপকান জুটি, টপকে টপকে কেউক্রাডং সহ আরও কিছু পাহাড় বিজয় করেছে এক সাথে, ইতোমধ্যে মালেক হয়ে উঠেছে সামিনের প্রিয় মালেক চাচ্চু। আমি কউকে না করতে পারিনা, আমার দয়ার শরীর বরফেই গলে আগুনেতো কথা নাই। খুব গোপনে চান্দের গাড়ীর সীট অনুযায়ী ট্রিপ সাইজ ১৪তে সাজাই।

নিয়ম অনুযায়ী এক গাড়িতে ১৩ জন টুরিস্ট ট্র্যাভেল করতে পারে, আমরা ১৪ জন হওয়াতে মিলন ছড়ি চেক পোস্টে আমাদের আটকে দেয়, এদিকে মৃদুল ভাই আমাদের সাথে আর অন্য দিকে ভাবী চিটাগং থেকে বান্দরবন চলে আসে, ভাবির ইচ্ছা শহর ঘুরে দেখা আর আমরা যাচ্ছি গহীনে, অতঃপর মৃদুল ভাইর বিদায়, ১৩/১৪ সমস্যা সমাধান হলে আমরা যাত্রা শুরু করি। চিম্বুক আর্মি ক্যান্টিনে বিখ্যাত খিচুড়ি দিয়ে সকালের নাস্তা তারপর নীলগিরি হয়ে থানচি। বলিপাড়া বিজিবি ক্যাম্পে নাম এন্ট্রি, গাইড উসাই মারমা সহ থানচি থানায় সংগ্রহে রাখার জন্য গ্রুপ ছবি তোলা।

দু’পাড়ে খরস্রোতা সাঙ্গু পাহারায় পাহাড়, মনোরম দৃশ্য, সবুজের মেলা, সবুজ যে কত রঙের তা পাহাড়ে না আসলে বুঝা যায়না, সাঙ্গু এতোটা সুন্দর, দর্শনে মনে খুশবু ছড়ায়, সচ্ছল জল যেন কাঁচ, মনে হচ্ছে কাঁচ কেটে নৌকা এগুচ্ছে, প্রকৃতি যেন ঝুঁকে পড়ে নিজের চেহারা দেখছে জলে, প্রতিবিম্বে, টুকরো টুকরো কাঁচ স্রোত বয়ে চলে গন্তব্যে। দিশেহারা হবার জন্য এইটুকুই যথেষ্ট তার উপর মিহি বাতাস যেন মন হরণের জোয়ার। অন্যদিকে পাহারগুলো সূর্য রশ্মিতে উজ্জ্বল আর ছায়ায় গারো সবুজ, আলোছায়া সবুজকে করে তুলে আরও মুহ্যমান, বড় গাছগুলো স্নেহর ছোট ছোট গাছ গুলিকে নিয়ে আপন মনে হেলে দুলে তৈরি করেছে গাছোয়া পরিবেশ, চিরল চিরল সবুজ পাতা চেয়ে আছে আকাশ পানে, লতাগুল্ম ভরে আছে সুঠাম পাহাড়ের সারা দেহে, মাঝে মাঝে চোখে পড়ে খাঁজ কাটা শৈল্পিক নিদর্শন, পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে রূপের পসরা। পাহাড় একটা আসক্তি, কি অদ্ভুত মায়ায় টানে, গভীর অনুরাগে বেড়ে চলে অভিনিবেশ, মন চায় বদলে ফেলি সাকিন, পাহাড় নিবাস ঠিকানা আমার: আসাদ পলাশ, মৌজাঃ বড় পাহাড়, সাফা হাফাং, বাংলাদেশ, একটা পোষ্ট বক্স থাকবে ঘরের সামনে, তবুও রূপকথার বিহংগমা আসবে পায়ে সুতা বাঁধা চিরকুট নিয়ে, লিখা থাকবে: ওহে পহাড়িকা, দিনেরে আধার করে, নিকষ কালো মেঘে ধেয়ে আসবো, বাদল ধারায় নামবো, তুমি মাচাংয়ে থেকো দাঁড়িয়ে, বজ্রপাতে দেখবো, ইতি পাহাড় সাংসক্তি।

থানচি থেকে ভাড়া করা নৌকায় রওনা দেই রেমাক্রির উদ্দেশ্যে, সময় সল্পতার কারণে দুপরে নৌকায় খাবার খেয়েছি। বিকাল ৩ টা নাগাদ মারমা ও মুরংদের আবাসস্থল তিন্দু পৌছাই । তিন্দু বিজিবি ক্যাম্পে নাম এন্ট্রি করে পদ্মমুখ এর উদ্দেশ্যে যাত্রা করি। এরপর একে একে রাজা পাথর বড় পাথর হয়ে আমরা বিকালে ৪ টায় রেমাক্রি এসে পৌছাই। পথিমধ্যে পদ্মমুখে পানি প্রবাহ কম থাকায় দুই বার হেঁটে ডাঙ্গা পাড়ি দেই তারপর আবার নৌকায়। সাঙ্গু দিয়ে রেমাক্রি যাওয়ার পথে বিশাল আকৃতির পাথরে ঘেরা বড় পাথর এলাকা। এখানে সাঙ্গুর তলদেশ পাথরে পরিপূর্ণ। এ এক পাথর রাজ্য। নদীর মধ্যে বড় বড় পাথর মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তার মধ্য দিয়ে নৌকায় যাওয়া এক অন্যরকম অনুভূতি। পাথরের ফাঁক দিয়ে এদিক ওদিক কাত হয়ে নৌকা পাড়ি দিতে হয়। ভয়ংকর খরস্রোতা বাঁক আর রহস্যের রাজা পাথর, অসংখ্য মিথ প্রচলিত আছে: “রাজপুত্র খরস্রোতা সাঙ্গুতে ডুবে যান । শোকে রাজা, রানী, মন্ত্রী, সেনাপতি সহ সব প্রজা পাথর হয়ে যান। তারা এখনও সাঙ্গুর বুকে দাঁড়িয়ে আছে।“ আবার অন্য মিথঃ “ যুদ্ধে পরাজিত মগ রাজা, রাণী ও সৈন্যরা সাংগু নদীতে পাতিত হয়, আর তারাই দাঁড়িয়ে আছেন পাথর হয়ে।“ আদিবাসীরা এই রাজা পাথরকে খুব ক্ষমতাবান ভাবে, সন্মান করে। তাদের ধারনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও রাজা পাথর কখনো ডুববে না। এই পাথরকে অসম্মান করলে বিপদ হতে পারে। খরস্রোতা সাঙ্গুতে প্রতিবছর কেউ না কেউ মারা যায়। রাজা পাথরকে খুশি রাখতে আদিবাসীরা নিয়মিত পূজা দেয়। তাই বড় পাথর ধর্মীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ ।

থানচি উপজেলার সর্ব-দক্ষিণে রেমাক্রী ইউনিয়ন। দূরত্ব প্রায় ২২ কিলোমিটার। আমরা ওখানেই গ্রাম প্রধানের বাড়িতে রাত কাটাই। এত সুন্দর পরিষ্কার ছিমছাম গ্রাম, সারা পাড়ায় কোথাও এক টুকরা কাগজও পড়ে থাকতে দেখিনি। নভেম্বরের শীতে আর ঠাণ্ডা পানিতে হাড় কাঁপিয়ে ভিজেছি রেমাক্রি ঝর্নায়। পড়ন্ত বিকাল আর সন্ধ্যার সন্ধিক্ষণ কেটেছে জলকেলি করে। প্রতিবাবের মত ভ্রমণ সঙ্গীদের নিয়ে রাতে জমজমাট আড্ডা। পাটাতনের উপর কম্বল, চাদর বিছিয়ে গায়ে সাদা ধব ধবে মোটা লেপ, সারা রাত ঠাণ্ডার অস্বস্তি নিয়ে ভোরের অপেক্ষা, আসলে যেটা লেপ ভেবেছি সেটা তোষক ছিল, পরের রাতে আমরা ভুল শুধরে নেই, দ্বিতীয় রাতে আর শীত লাগেনি। এখানে লিলির কথা বলতে হয়, আমাদের দেখভালের দায়িত্ব ওর কাঁধে বর্তায়, সদা হাসি খুশী মিষ্টি মেয়ে লিলি, যথেষ্ট করেছে, যখন যা চেয়েছি, শুধু বন মোরগটা একটু শক্ত ছিল, ওর দোষ না, সময়ের অভাবে এমনটা হয়েছে।

Nagad

সকালে ঘুম ভাঙতেই মনে হল বুদ্ধদেব বসুর কবিতাময় সকাল “কী ভালো আমার লাগলো আজ এই সকালবেলায়, কেমন করে বলি? কী নির্মল নীল এই আকাশ, কী অসহ্য সুন্দর, যেন গুণীর কণ্ঠের অবাধ উন্মুক্ত তান দিগন্ত থেকে দিগন্তে; কী ভালো আমার লাগলো এই আকাশের দিকে তাকিয়ে; চারদিক সবুজ পাহাড়ে আঁকাবাঁকা, কুয়াশায় ধোঁয়াটে।“ সকালে নাস্তা সেরে রওনা দেই নাফাখুমের উদ্দেশ্যে, অনিন্দ্যসুন্দর এই জলপ্রপাতটি রেমাক্রি থেকে মাত্র আড়াই ঘণ্টা হাঁটা পথ। থানচি উপজেলার গহীন পার্বত্য এলাকার তলুবং ঝর্ণা থেকে রেমাক্রি খালের উৎপত্তি। আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ ধরে দক্ষিণ, আর একটু এগিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমে অউলাপাড়া পার হয়ে নাফাখুম গ্রামে বিখ্যাত ঝর্ণা নাফাখুমের সৃষ্টি। নাফাখুম শব্দটি মারমা শব্দ “ঙাফা-খোং” থেকে এসেছে। “ঙাফা” অর্থ ‘মাছ’ আর “খোং” অর্থ ‘জলপ্রপাত’। নদীতে স্রোতের ঠিক বিপরীতে চলে নাফা নামে এক ধরনের মাছ, এই মাছ যখন লাফিয়ে ঝর্ণা পার হতে যায় ঠিক তখনই আদিবাসীরা জাল দিয়ে ধরে ফেলে। এ কারণে ঝর্ণার নাম দেওয়া হয়েছে “নাফাখুম।“

আমার স্ত্রীকে বললাম, তুমি পায়ে হেটে কেউক্রাডং উঠেছো, ওটা ছিল পাহাড়, আর এই টিলা, ঝিরি, পারবেনা? ও স্নিগ্ধ চোখে চেয়ে এমন একটা হাসি দিলো, এমন আত্মবিশ্বাস, আমি প্রতিবার ঐ হাসিতে জিতে যাই, এবারও তাই। বহুবার ঝিরি পথ এপার ওপার করতে হয়েছে, স্বচ্ছ পানিতে দুল দুল দুলনি ভাসমান শ্যাওলা হেলে দুলে স্বাগতম জানায়, রকমারি সবুজ মেখে শ্যাওলাও যে রূপসী হতে পারে তা প্রথম জানলাম। চলমান স্রতধারায় তলদেশের নানা রঙের পাথর গুলো আরও মায়াবী করে তুলে ঝিরি পথ, টিলা পথে সবুজ বনানী ছায়াবীথি ছড়ানো, মানুষের হাটা চলায় টিলা পিচ্ছিল, খুব সাবধানে এগুতে হচ্ছিল। এর মধ্যে ফিরে আসা দর্শনার্থীদের থেকে হাতের লাঠি চেয়ে নিয়ে আমার বউ আর সুমনের বউ বিশাল খুশী, সঙ্কীর্ণ, ঠিক মত পা রাখা যায়না এমন পথেও ওদের হরিণ চপল পদচিহ্ন এঁকে দিচ্ছিলো নীরবে, সরবে, আনন্দে। বন্ধু সুমন সঙ্কীর্ণ ও পিচ্ছিল টিলা পথ পাড়ি দিতে গিয়ে স্লিপ করেছিল, ভাগ্যিস কোন অঘটন ঘটেনি। পথি মধ্যে কিছুটা সময় বিশ্রামে বাদাম, চা, পানি পানে শারীরিক শক্তি বর্ধন। পাখির কিচির মিচির, ঝিরির মিহি গুঞ্জন, হাটার শব্দ, গান আর গল্পে গল্পে আমরা পৌঁছে যাই নাফাখুম। ঠিক পৌঁছানর কিছুটা আগে জল গড়ানোর শোঁ শোঁ শব্দে সবাই আনন্দে চিৎকার করে উঠে।

আমিয়াখুম জলপ্রপাতের পরই নাফাখুম বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহৎ জলপ্রপাত। পানি প্রবাহের দিক থেকে সর্ববৃহৎ, এজন্য নাফাখুমকে বাংলার নায়াগ্রা বলা হয়। রেমাক্রি খালের পানি প্রবাহ নাফাখুম গ্রামে এসে হঠাৎ করেই ২৫/৩০ ফুট নীচে আছড়ে পড়ে প্রকৃতির খেয়ালে সৃষ্ট চমৎকার জলপ্রপাত! দীর্ঘ পথ হাঁটার ক্লান্তি দুর হয়ে যায় নিমিষেই যখন নাফাখুমের দেখা মিলে। খুব ভয় হচ্ছিলো যখন মালেক উপর থেকে পানিতে লাফ দিলো, বন্ধু মঞ্জুতো হাঁটু পানিতেই সাতার কাটে আর এখানে ওকে ঠেকায় কে? আমরা পুরুষরা পানিতে, ছবি, আনন্দ সাঁতেরে মশগুল। স্রোতের পিঠে চড়ে সময় পালায়, যদি লাগাম টান যেতো, যদি ব্যাটারি খুলে সময়কে থামিয়ে দেওয়া যেতো, মুগ্ধতায় চেয়ে থাকার আকুল তৃষ্ণা তখনো মিটেনি। তখনো প্রণয় পাখির অপলক নয়নের কৌতূহল মিটেনি, তখনো তো ছিল বাকি ভালবাসার গল্পখানি, হৃদয়ের কথা হৃদমাঝারে বন্ধী রেখে ঋভুকে বললাম যেতে হবে, ও অবাক চেয়ে হতবাকের মতো পিছু ধরলো, আমার ফিরে এলাম।

ঝর্ণার রূপ শুধুমাত্র অপরূপ বললেই বুঝানো যায়না, মুগ্ধতায় চেয়ে থাকা প্রহর গুলো ছোট হয়ে আসে, ধীরে বহ সময়, হৃদয় তৃষ্ণা তখনও হয়নি পূরণ। আছড়ে পড়া জলের মতো স্রোতের পিঠে চড়ে সময় দ্রুত পালিয়ে যাচ্ছিল, চেয়ে দেখার আকুল তৃষ্ণা তখনো মিটেনি, খুব ভয় হচ্ছিলো যখন মালেক উপর থেকে পানিতে লাফ দিলো, বন্ধু মঞ্জুতো হাঁটু পানিতেই সাতার কাটে আর এখানে ওকে ঠেকায় কে? আমরা বাপ বেটা সহ পুরুষরা পানিতে নামি, ছবি, আনন্দ সাঁতেরে পার হয়ে যায় সময়। আহা সময়! কেন ধীরে বহোঁ না? ঋভুকে বললাম যেতে হবে, ও অবাক চেয়ে হতবাকের মতো পিছু ধরলো, আমার ফিরে এলাম।

মেঠোপথ, ক্ষেতের আইল, সুনশান নীরবতায় গম্ভীর পাহাড়ি পথ, চপলমতি খিলখিল ঝিরিপথ নয়তো ঝর্নায় সুখ গুলো ফিরে আসুক বারবার, সুখের পরশে সুখ, চিত্ত হরণের চৌম্বকে চিত্ত, প্রেম জোয়ারের বিড়ম্বনায় আড়ম্বরি জীবন। বছরের হিসাবে না গিয়ে সুখের হাল খাতা খুলি প্রতিদিন। ভালোলাগাটুকু হৃদয়ের পাশে স্থায়ী বসবাসের খুঁটি গেড়েছে, সমান্তরাল রেল লাইনের উপর পাশাপাশি চাকা গুলো ছুটে চলেছে ভালবাসার তেপান্তর যাত্রায়, নাফা তোমার জলের গান, ঝিলকিয়ে উঠা স্রোতধারা, ত্বদীয় উচ্ছ্বাস, গড়ন বধ করেছে আমার প্রাণ।

সারাদিন. ৫ ডিসেম্বর