স্ত্রীকে প্রেমিকের হাতেই তুলে দিলেন স্বামী শ্রীমন্ত

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩:৪৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৩, ২০২২

ছবি- সংগৃহীত

বিয়ের পর অন্য পুরুষের সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন স্ত্রী ববিতা। একসাথে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে পালিয়ে গিয়ে প্রেমিকের সাথেই থাকছিলেন। শেষমেশ ঘরছাড়া স্ত্রীকে প্রেমিক পরীক্ষিত দেবনাথের হাতেই তুলে দিলেন স্বামী শ্রীমন্ত বর্মন। সালিশি সভায় দাঁড়িয়ে প্রেমিকের সাথেই স্ত্রীর বিয়ে দিলেন তিনি।

এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটে। শ্রীমন্ত বর্মন বালুরঘাটের চকদুর্গার বাসিন্দা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন জানিয়েছে, ববিতার সাথে তার বিয়ে হয়েছিল। সব কিছু ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু আচমকা স্ত্রীর ব্যবহারে পরিবর্তন লক্ষ করেন শ্রীমন্ত। তার কথাবার্তায় অসংগতিও দেখা যায়। ফোনে প্রচুর কথা বলতেন ববিতা। নানা বিষয়ে অশান্তি লেগে থাকত। তা থেকেই স্ত্রীর প্রেমের বিষয়টি আঁচ করেছিলেন বলে জানান শ্রীমন্ত।

পরে জানা যায়, মাঝিগ্রামের বাসিন্দা পরীক্ষিত দেবনাথের প্রেমে পড়েছেন ববিতা। তার সাথে পালিয়েই মাঝিগ্রামে চলে আসেন তিনি। সেখানে পরীক্ষিতের সাথে থাকতে শুরু করেন। তা নিয়েই শুরু হয় ঝগড়া। শেষে মাঝিগ্রাম নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের মাঠে সালিশি সভা বসে। শুরু হয় বিচার। অনেক তর্কবিতর্ক, অলোচনা-পর্যালোচনা, উত্তপ্ত বাক্য বিনিমিয়ের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান নতুন বর্মন জানান, প্রেমিকের সাথেই সংসার করতে চাইছিলেন ববিতা। আর স্বামী শ্রীমন্ত স্পষ্ট জানিয়ে দেন ববিতার সাথে তিনি আর থাকতে চান না। সুতরাং প্রেমিক যুগলের বিয়েতে তার কোনও আপত্তি নেই। একপ্রকার নিজে হাতে ববিতাকে পরীক্ষিতের হাতে তুলে দেন শ্রীমন্ত। লিখিতভাবে স্ত্রীর বিয়েতে সায় দেন তিনি।

তবে সরকারিভাবে এখনই শ্রীমন্তকে ডিভোর্স দিতে রাজি হননি ববিতা। তাই আপাতত সামাজিকভাবেই তার ও পরীক্ষিতের বিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে জানান পঞ্চায়েত প্রধান নতুন বর্মন।

Nagad

সারাদিন/১৩ ডিসেম্বর/এমবি