আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৫, ২০২২

এডিবির প্রতিবেদন
বাংলাদেশে পাঁচ কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে
এডিবি এশিয়ান ডেভেলপ

বাংলাদেশে চলতি ২০২২–২৩ অর্থবছরে পাঁচ কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। কারণগুলো হচ্ছে—আকস্মিক বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে কৃষিজাত ফলন হ্রাস; ডলারের মূল্যবৃদ্ধিতে আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়া; বিশ্ববাজারে ভোগ্যপণ্য, জ্বালানি, সার ও অন্যান্য পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি; স্থানীয় বাজারে তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সম্ভাবনা। গতকাল বুধবার এডিবি এশিয়ান ডেভেলপেমন্ট আউটলুক প্রতিবেদনের সম্পূরক অংশ প্রকাশ করেছে। তাতে বাংলাদেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তবে গড় মূল্যস্ফীতি কত হতে পারে, তা নিয়ে কিছু বলেনি এডিবি। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) কয়েক মাস আগে পূর্বাভাস দিয়ে বলেছিল, আগামী ২০২৩ সালে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ১ শতাংশ হতে পারে। সূত্র: প্রথম আলো

নির্মাণসামগ্রীর দাম আরো বেড়েছে

খুচরা বাজারে রডের দাম ৮-৯ মাসের মধ্যে প্রতি টনে ১০-১১ হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সিমেন্টের দামও প্রতি ব্যাগে বেড়েছে ৪০ থেকে ৫৫ টাকা। বাংলাদেশে এই দুই পণ্য এর আগে কখনোই এত বেশি দামে বিক্রি হয়নি। উৎপাদনকারী কম্পানিগুলো জানিয়েছে, ডলার সংকটের কারণে বিদেশ থেকে কাঁচামাল না আনতে পারা এবং জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় তারা রড-সিমেন্টের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে।

সরবরাহব্যবস্থায়ও বিঘ্ন ঘটেছে।

রাজধানীর আশপাশে বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে ইট ও বালু। ইটের দাম প্রতি হাজারে বেড়েছে চার হাজার ৫০০ টাকা, লাল বালুর দাম প্রতি ট্রাকে বেড়েছে এক হাজার ৫০০ থেকে দুই হাজার টাকা। সাদা বালুর দাম প্রতি ট্রাকে বেড়েছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা। রড : খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বছরের শুরুতে বিএসআরএম কম্পানির ৭২ গ্রেডের ৫০০ ডাব্লিউ রড বিক্রি হতো প্রতি টন ৮৬-৮৭ হাজার টাকায়, যা এখন দোকানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৯৩ হাজার ৫০০ টাকায়। একইভাবে কেএসআরএম রড প্রতি টন ছিল ৮৪ হাজার টাকা, যা এখন ৯০ হাজার ৫০০ টাকা, আনোয়ার ইস্পাত ছিল ৮৩ হাজার ৫০০ টাকা, এখন বিক্রি হচ্ছে ৯১ হাজার টাকা, এসএএস ছিল ৭০ থেকে ৭২ হাজার টাকা, যা এখন বিক্রি হচ্ছে ৮৭ হাজারে। এ ক্ষেত্রে ৬০ ও ৭০ গ্রেডের রড একই দামে বিক্রি হচ্ছে। দোকানভেদে এই দাম ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা কমবেশি হতে পারে। গ্রামাঞ্চলে শহরের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

Nagad

ফল নির্ধারণ করবেন তরুণ ভোটাররা

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মূল প্রভাব ফেলবে তরুণ ভোটাররাই। ২০০৯ সালে যে শিশুর বয়স ছিল আট বছর, এখন তার বয়স ২১ বছর। এ ভোটাররাই আগামী নির্বাচনে ফলাফল নির্ধারণে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবেন বলে মনে করছেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা। নির্বাচন কমিশনের হিসাবমতে, দেশের প্রায় ২৪ শতাংশ ভোটারের বয়স ১৮ থেকে ২৯ বছরের মধ্যে। যার সংখ্যা ২ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৯৬১। এর মধ্যে প্রায় ১ কোটি ৪১ লাখ তরুণ এবারই প্রথম সংসদ নির্বাচনে ভোট দেবেন। যারা দেশের মোট ভোটারের ৪ ভাগের ১ ভাগ। এ কারণে তারাই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। এ ছাড়া ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচনের পর থেকে গত ১৪ বছরে ভোটার তালিকায় যুক্ত হয়েছেন ৩ কোটি ৭২ লাখ ৫২ হাজার ৮১৫ জন তথা ৩২.৭৭ শতাংশ; তাদের বয়স এখন ১৮ থেকে ৩৩ বছরের মধ্যে। নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, গত ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত খসড়া হিসাবে দেশে ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৮৩ লাখ ৩৯ হাজার ৮১৮। এর মধ্যে ১৮ থেকে ২১ বছর বয়সী ৬৬,৩৮,৫৬৬ জন। ২২ থেকে ২৫ বছর বয়সী ১,০৮,০৭,৮৬১ জন। ২৬ থেকে ২৯ বছর বয়সী ১,০৭,০৭,৫৩৪ জন। এ ছাড়া ৩০ থেকে ৩৩ বছর বয়সী ভোটার ১,০৬,৩৪,৮৮১ জন। ৩৪ থেকে ৩৭ বছর বয়সী ভোটার ১,৪২,১৮,২৩২ জন। ৩৮ থেকে ৪১ বছর বয়সী ভোটার ১,১৮,৬৮,৩১৯ জন। ৪২ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ভোটার ১,০৬,৭৬,২৭২ জন। ৪৬ থেকে ৪৯ বছর বয়সী ভোটার ৬২,৬১,০৬৫ জন। ৫০ থেকে ৫৩ বছর বয়সী ভোটার ৭৯,৭২,৯২৭ জন। ৫৪ থেকে ৫৭ বছর বয়সী ভোটার ৬৭,২৯,৬১৪ জন। ৫৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী ভোটার ৪১,০৯,৫০৮ জন এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী ভোটারের সংখ্যা ১,৭৭,১৫,০৩৯। ইতোমধ্যে সারা দেশে ভোটার তালিকা হালনাগাদ শেষ হয়েছে। সূত্র; বিডি প্রতিদিন।

বায়ুদূষণে বিশ্বে শীর্ষে ঢাকা

শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গেই ঢাকার বায়ুর মান দ্রুত খারাপ হচ্ছিল। শীতের আমেজের সঙ্গে বাতাসে বিপদ আরও বাড়ছে। এরই মধ্যে রাজধানীর বাতাসে দূষিত বস্তুকণার পরিমাণ এতই বেড়ে গেছে যে তা বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ঢাকার বাতাস ছিল বিশ্বের প্রধান শহরগুলোর মধ্যে দূষণের দিক থেকে শীর্ষে।বিশ্বের বায়ুদূষণ পর্যবেক্ষণকারী যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা এয়ার ভিজ্যুয়ালের পর্যবেক্ষণ (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১০টায় রাজধানীর বায়ুর মান ছিল ৩৩৭, যাকে বায়ুমান সূচকে অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। বায়ুদূষণের দিক থেকে এ সময় বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল পাকিস্তানের লাহোর, বায়ুর মান ছিল ২২৬। বায়ুর মান ২০৬ নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে ছিল পাকিস্তানের করাচি। আর চতুর্থ অবস্থানে কলকাতা, সেখানে বায়ুর মান ১৯৮।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে ২.৫ মাইক্রোমিটার ব্যাসের বস্তুকণার পরিমাণ (পিপিএম) যদি শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকে, তাহলে ওই বাতাসকে বায়ু মানের সূচকে (একিউআই) ‘ভালো’ বলা যায়। সূত্র; সমকাল

গ্যাস, বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় আগামী গ্রীষ্মের অর্ডার পূরণের আশা করছে পোশাক খাত

শিল্পাঞ্চলে গ্যাস ও বিদ্যুত সরবরাহ পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নতির ফলে- আগামী গ্রীষ্ম নাগাদ, গত কয়েক মাসের ধীরগতির প্রভাব থেকে বেরিয়ে আসার আশা করছে পোশাক শিল্প।এ খাতের ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, এরমধ্যেই শীর্ষ বিদেশি বায়াররা অর্ডার দেওয়ার জন্য খোঁজখবর নিতে শুরু করেছে। আর পোশাক প্রস্তুতকারকরাও জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতির ফলে নতুন অর্ডার পূরণের মাধ্যমে গত কয়েক মাসের মন্থর দশার ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারা যাবে বলে মনে করছেন। শীর্ষ একজন পোশাক প্রস্তুতকারক টিবিএসকে বলেন, “বর্তমান ধারায় বিক্রিবাট্টা চললে এবং আমরা যদি কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ পাই– তাহলে আগামী বছরের এপ্রিল নাগাদ পোশাক খাত আবার সন্তোষজনক অবস্থানে ফিরবে।” দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এপ্রসঙ্গে প্রায় এক ডজন পোশাক রপ্তানিকারকের সাথে আলাপ করেছে। তাদের অধিকাংশই বলেছেন, এ বছরের জুলাই বা আগস্টের চেয়ে কারখানা পর্যায়ে গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতির বেশ উন্নতি হয়েছে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

প্রথম ধাপের কোনো প্রকল্পই শেষ হয়নি
পথ হারাচ্ছে রেলের মহাপরিকল্পনা?

রেলকে পরিবহনের প্রধান মাধ্যমে পরিণত করতে চায় সরকার। এজন্য রেল অবকাঠামোর উন্নয়নে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে ৩০ বছর মেয়াদি মহাপরিকল্পনা, যার শুরু ২০১৬ সালে। নতুন রেলপথ নির্মাণ, বিদ্যমান রেলপথের সক্ষমতা বৃদ্ধি, নতুন ইঞ্জিন-কোচ সংগ্রহ, রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থার উন্নয়ন, পরিচালন ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ এবং রেলওয়ের বাণিজ্যিক কার্যক্রমের পরিসর বাড়াতে এ মহাপরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নীতিনির্ধারকরা। মহাপরিকল্পনাটির আওতায় ছয় ধাপে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ কোটি টাকার ২৩০টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ার কথা। এর প্রথম ধাপে ২০১৬-২০ সালের মধ্যে মোট ৮৩টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়েছিল রেলওয়ে। প্রথম ধাপের মেয়াদ পেরিয়ে আরো দুই বছর শেষ হতে চললেও এখন পর্যন্ত এর মধ্যে একটি প্রকল্পও বাস্তবায়ন হয়নি। চলমান রয়েছে হাতে গোনা কয়েকটি প্রকল্প। যদিও মহাপরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপের মেয়াদ এর মধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। ২০২১-২৫ মেয়াদে আরো ৬৭টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্য রয়েছে এতে।মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে এ অচলাবস্থার পেছনে রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের দুর্বলতাকে দায়ী করছেন যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, মহাপরিকল্পনা করা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু সেটি পরিকল্পিতভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এ পরিকল্পনাহীনতার দায় মন্ত্রণালয় ও রেলওয়ে—উভয়ের ওপর কিছুটা হলেও বর্তায়। প্রথম ধাপে ২০১৬-২০ মেয়াদে বাস্তবায়ন পরিকল্পনায় থাকা ৮৩ প্রকল্পের মধ্যে ১৫টিকে রাখা হয়েছিল ‘উচ্চ প্রাধিকার প্রকল্প’ হিসেবে। যদিও এখনো যমুনা নদীতে স্বতন্ত্র রেলসেতু, আখাউড়া-আগরতলা ডুয়াল গেজ রেলপথ আর বগুড়া-মনসুর আলী ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ এবং কিছু ইঞ্জিন (লোকোমোটিভ) ও কোচ-ওয়াগন সংগ্রহ বাদে ‘উচ্চ প্রাধিকার’ পাওয়া আর কোনো প্রকল্পই শুরু করতে পারেনি রেলওয়ে। সূত্র: বণিক বার্তা।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রাজনীতির অন্দরমহলে সরব কূটনীতি
নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ মার্কিন রাষ্ট্রদূতের * পূর্ণ নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী * নয়াপল্টনের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট পরিস্থিতি বিভিন্ন দূতাবাসকে অবহিত করেছে সরকার ও বিএনপি

জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিদেশি কূটনীতিকদের ভূমিকা নিয়ে রাজনীতিতে সরব আলোচনা হচ্ছে।প্রকাশ্যে ও পর্দার আড়ালে চলছে নানা তৎপরতা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশের কূটনীতিক অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সোচ্চার। পাশাপাশি তারা বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগের কথা ব্যক্ত করছেন।অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ দেশের রাজনৈতিক দলগুলোও বিভিন্ন ইস্যুতে বিদেশিদের দ্বারস্থ হচ্ছে।সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির ঢাকার বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট রাজনৈতিক পরিস্থিতি সরকার ও বিএনপির পক্ষ থেকে লিখিতভাবে বিভিন্ন দূতাবাসকে অবহিত করা হয়।যদিও বাংলাদেশ সরকার সংশ্লিষ্ট বিদেশি কূটনীতিকদের প্রকাশ্য তৎপরতাকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বলে বিবেচনা করছে। সূত্র: যুগান্তর

রূপপুরে ৮০ মিলিয়ন ডলারের জট খুলছে
সরকারের অগ্রাধিকার প্রাপ্ত মেঘা প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জরুরি আমদানিতে অনিশ্চয়তায় পড়া ৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণপত্রের (এলসি) জট কাটতে চলেছে। তীব্র ডলার সংকটের অজুহাত দেখিয়ে এত দিন অন্যান্য পণ্যের মতো এ প্রকল্পেরও জরুরি আমদানি ও ঠিকাদারের বিল পরিশোধে এলসি করা যাচ্ছিল না। রাষ্ট্রায়ত্তসহ অন্য সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের অনীহার কারণে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়। এতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদিত বিদ্যুৎ সরবরাহে নেওয়া নদী পারাপারের সঞ্চালন লাইন নির্মাণ শুরুর কাজ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে। অর্থ মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ বিভাগ ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, পারমাণবিক এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইভাকুয়েশন সংশ্লিষ্ট ৪০০ কেভি ও ২৩০ কেভি রিভার ক্রসিং সঞ্চালন লাইন নির্মাণ শীর্ষক এ স্কিমটি চলতি বছরের ১ জুলাই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়নের জন্য অনুমোদন পায়। যমুনা ও পদ্মা নদীতে স্কিমটির বাস্তবায়ন মেয়াদ ধরা হয় ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। সূত্র: কাল বেলা

কূটনীতিকদের তৎপরতা রাজনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে?

বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিদেশি কূটনীতিকদের ভূমিকা নিয়ে সরকার এবং বিরোধী দলের মধ্যে এখন বাদানুবাদ চলছে। সর্বশেষ ১০ই ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশের আগে নয়াপল্টনে পুলিশের সাথে বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষ, পুলিশের গুলিতে বিএনপি কর্মীর মৃত্যু এবং বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশের অভিযানের পর ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস এবং জাতিসংঘ অফিস বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে। বুধবার সকালে ঢাকার শাহীনবাগে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি. হাস নিখোঁজ বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বাড়িতে যাওয়ায় সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।বিদেশি কূটনীতিকদের নানামুখী তৎপরতা এবং মন্তব্যে সরকার কিছুটা ‘অস্বস্তিতে’ পড়েছে বলে মনে হচ্ছে। যদিও সরকার সেটি স্বীকার করছে না। অন্যদিকে বিরোধী দল দেখাতে চায় বিভিন্ন দেশে তাদের পক্ষে আছে।ডিসেম্বর মাসের সাত তারিখ থেকে দশ তারিখের মধ্যে যা ঘটেছে সেগুলো ঢাকাস্থ বিদেশি দূতাবাসগুলোকে জানিয়েছে সরকার। সূত্র: বিবিসি বাংলা।