ই-সিগারেট নিষিদ্ধের প্রস্তাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমর্থন

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:০৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৫, ২০২২

ছবি- সংগৃহীত

ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন অধিকতর শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে খসড়া সংশোধনী ও উল্লেখ্য ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম (ই-সিগারেট, ভ্যাপিং), হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ এই ধরনের সব পণ্যের উৎপাদন ও বিপণন নিষিদ্ধের প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের (এনসিডিসি) লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে ২০১৭ অনুযায়ী, বাংলাদেশে ই-সিগারেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা এখনও সীমিত রয়েছে। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ই-কমার্স সাইটের বহুল প্রচার ভবিষ্যতে এই সংখ্যা বহুগুণে বাড়ার, বিশেষ করে শিশু-কিশোরদের মাঝে এর ব্যাপক প্রচলনের আশঙ্কা রয়েছে। বাংলাদেশের ধূমপান ও তামাকজাত পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনীতে ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বাংলাদেশে ই-সিগারেটের উৎপাদন-বিপনন নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছে। মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত সংশোধনীর প্রতি স্বাস্থ্য অধিদফতরের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।

জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশে ই-সিগারেটের বাজার নিয়ন্ত্রণে এর আমদানি, ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবনার পাশাপাশি এর সম্প্রসারণে সহায়ক সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন। সাম্প্রতিক প্রকাশিত সংবাদে দেশে ই-সিগারেট কারখানা স্থাপনে বিদেশী বিনিয়োগের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। একইসাথে জনহিতকর পণ্য উৎপাদনে বিদেশি বিনিয়োগে উৎসাহ প্রদানের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগসহ অন্যান্য অসংক্রামক রোগের জন্য ধূমপান ও তামাকের ব্যবহার অন্যতম প্রধান ঝুঁকির কারণ। এই ঝুঁকি নির্মূলের জন্য বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে তামাক নির্মূলের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সবাই সমন্বিতভাবে সে লক্ষ্য অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে।

সারাদিন/১৫ ডিসেম্বর/এমবি

Nagad