আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ২২, ২০২২

ঋণখেলাপি না করতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও বিশেষ ছাড়

ঋণখেলাপি থেকে মুক্তির জন্য ব্যাংকের পর এবার আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে (এনবিএফআই) বিশেষ সুবিধা দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি বছরের তিন মাস (অক্টোবর-ডিসেম্বর) পর্যন্ত ঋণের কিস্তির অর্ধেক টাকা ডিসেম্বরের মধ্যে পরিশোধ করলে খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত করা হবে না। এ সুযোগ পাবেন গত অক্টোবর থেকে চলতি ডিসেম্বরের মধ্যে যাদের কিস্তি দেয়ার সূচি আছে, কেবল তারাই।বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘ঋণ শ্রেণিকরণ’সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে। সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এটি পাঠানো হয়েছে।সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, বিদ্যমান ঋণের পূর্বনির্ধারিত মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী এক বছরের মধ্যে সমকিস্তিতে প্রদেয় হবে।তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে অবশিষ্ট মেয়াদকালের সঙ্গে এক বছর সময়কে বিবেচনায় নিয়ে কিস্তি সূচি অনুযায়ী আদায় করা যাবে। এ ক্ষেত্রে ইসলামী শরিয়াভিত্তিক মেয়াদি বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও এ নীতিমালা প্রযোজ্য হবে।উল্লেখিত নির্দেশনা মোতাবেক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে ঋণ যথানিয়মে শ্রেণিকরণের আওতাভুক্ত হবে। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।রিহ্যাবের মেলায় এবার ২৩টি প্রকল্প নিয়ে হাজির হয়েছে ১৯৮৮ সালে যাত্রা শুরু করা আবাসন প্রতিষ্ঠান শেলটেক লিমিটেড। মেলায় মোট ৩০০টি অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শন করছে প্রতিষ্ঠানটি।শেলটেকের জ্যেষ্ঠ সহকারী মহাব্যবস্থাপক এ কে এম রাফিউল ইসলাম বলেন, ‘অ্যাপার্টমেন্ট, অফিস স্পেস কিংবা জমি বুকিং দিলেই সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা ছাড় দিচ্ছে দেশের আবাসন খাতের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান শেলটেক। প্রতিষ্ঠানটি এবার ৪নং স্টলে তাদের বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে ক্রেতা সাধারণের জন্য বসেছে। রিহ্যাব আবাসন মেলায় ক্রেতারা ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় শেলটেকের ৪০টির বেশি প্রকল্পে নির্মাণাধীন অ্যাপার্টমেন্ট ও অফিস স্পেস ক্রয় করার জন্য বুকিং দিলেই পাচ্ছেন এই সুবিধা।’ সূত্র: দৈনিক বাংলা ।

সাত পণ্যের নিশ্চয়তা চাইবে ঢাকা
নিত্যপণ্যের প্রস্তাব নিয়ে দিল্লি যাচ্ছেন বাণিজ্যমন্ত্রী

ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে যখন খাদ্যপণ্যের সংকট দেখা দিয়েছে, তখন পাশের দেশ ভারতের কাছে সাত পণ্যের কোটা নির্ধারণ করে সেই কোটা অনুযায়ী পণ্য আমদানির নিশ্চয়তা চাইছে বাংলাদেশ। পণ্যগুলো হচ্ছে চাল, গম, চিনি, পিঁয়াজ, আদা, রসুন ও মসুর ডাল। এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে দিল্লির উদ্দেশে আজ সকালে ঢাকা ছাড়ছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।সূত্র জানান, বাংলাদেশের প্রস্তাবে প্রতিটি পণ্যের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কোটা উল্লেখ করা আছে। দুই পক্ষের আলোচনায় তা কমবেশি হতে পারে। তবে পরিমাণ যেটিই চূড়ান্ত হোক, বাংলাদেশ চাইবে কোটামাফিক পণ্য বাংলাদেশে রপ্তানি নিশ্চিত করবে ভারত। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, বার্ষিক কোটা অনুযায়ী ৯ লাখ মেট্রিক টন চাল, ৪৫ লাখ মেট্রিক টন গম, ১৫ লাখ মেট্রিক টন চিনি, ৭ লাখ মেট্রিক টন পিঁয়াজ, ১ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন আদা, ৩০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল এবং ১০ হাজার মেট্রিক টন রসুন আমদানির প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন সময় খাদ্যপণ্য রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারত। এতে সমস্যায় পড়ে বাংলাদেশ। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

নিবন্ধনে প্রাথমিক বাছাই সম্পন্ন
টিকল জামায়াত সমর্থিত বিডিপি ও নুরুর দল
৭৭টি দলকে সম্পূরক কাগজপত্র জমা দিতে চিঠি দেবে ইসি * বাসদসহ বাদ পড়েছে ১৪টি দল
নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকে গেছে জামায়াতে ইসলামী সমর্থিত রাজনৈতিক দল ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি’ (বিডিপি) ও ‘এ বি পার্টি’ (আমার বাংলাদেশ পার্টি)। এ দুটিসহ মোট ৭৭টি রাজনৈতিক দল প্রথম বাছাইয়ে টিকেছে। এ তালিকায় ড. রেজা কিবরিয়া ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন ‘গণঅধিকার পরিষদ’ এবং মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্যও রয়েছে।এসব দলকে সম্পূরক বা যেসব কাগজপত্রের ঘাটতি রয়েছে তা জমা দিতে সময় বেঁধে দিয়ে চিঠি দিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে প্রাথমিক বাছাইয়ে বাদ পড়েছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদসহ ১৪টি রাজনৈতিক দল।এর বাইরে আরও দুটি দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেও তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। ইসি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, হঠাৎ আত্মপ্রকাশ করা বিডিপির চেয়ারম্যান একেএম আনোয়ারুল ইসলাম চান ও সেক্রেটারি জেনারেল নিজামুল হক (নাঈম)। এরা দুজনেই জামায়াতের রুকন (শপথধারী সদস্য) এবং ঢাকা মহানগরীর মজলিশে শূরা সদস্য ছিলেন। সূত্র; যুগান্তর

বছরের সবচেয়ে ছোট দিন আজ

Nagad

বছরের সবচেয়ে ছোট দিন আজ বৃহস্পতিবার। এদিন রাত থাকবে ১৩ ঘণ্টা ১৯ মিনিট এবং আজকের দিনের ব্যাপ্তি থাকবে মাত্র ১০ ঘণ্টা ৪১ মিনিট। মূলত পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধের দেশগুলো দিন ও রাতের এ পার্থক্য লক্ষ করতে পারবে। ২২ ডিসেম্বর সূর্যের চারদিকে পৃথিবী ঘোরার সময় সূর্য মকর রাশির ক্রান্তীয় অঞ্চলে উল্লম্ব হবে। এ কারণে পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে সবচেয়ে ছোট দিন ও রাত দীর্ঘতম হবে। যদিও আলো ও অন্ধকারের সময় আপনার অবস্থানের ওপর নির্ভর করে।এদিন সূর্যের আলোর কোণ হবে ২৩ ডিগ্রি ২৬ মিনিট ১৭ সেকেন্ড দক্ষিণ দিকে। পরের বছর ২১ মার্চ সূর্য নিরক্ষরেখায় থাকবে, তারপর দিন ও রাত সমান সময় হবে। একে ইংরেজিতে উইন্টার সোলসটাইস বলে। লাতিন শব্দ সল মানে সূর্য, আর সেস্টায়ার মানে দাঁড়ানো। এ দুটি শব্দের সমন্বয়ে অয়নায়ন শব্দটি তৈরি হয়েছে, যার অর্থ সূর্যের দাঁড়ানো। এই প্রাকৃতিক পরিবর্তনের কারণে ২২ ডিসেম্বর সবচেয়ে ছোট দিন এবং রাত সবচেয়ে দীর্ঘ হয়। সূত্র: কাল বেলা।

সাধারণ সম্পাদকের পদ
আওয়ামী লীগে কাদেরের ‘হ্যাটট্রিক’, না অন্য কেউ
আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন ২৪ ডিসেম্বর। দলের সাধারণ সম্পাদক পদে আগ্রহী নেতারা দলীয় প্রধানের ‘সবুজ সংকেতের’ অপেক্ষায় রয়েছেন। আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের আর মাত্র দুই দিন বাকি থাকলেও এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে কেউ নিজেকে সাধারণ সম্পাদক পদের দাবিদার হিসেবে ঘোষণা দেননি। নিজের অনুসারী–শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে এই পদ পেতে আগ্রহের কথা জানাচ্ছেন নেতাদের অনেকে। তবে প্রকাশ্যে তাঁরা এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চান না, নীরব থাকেন। দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে সাধারণ সম্পাদকের পদ সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত। কর্মী-সমর্থকেরাও এই পদে কে আসছেন, তা জানতে বেশি আগ্রহী, এই পদ নিয়ে আলোচনাও বেশি। কিন্তু বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের টানা তিন মেয়াদে এই পদে থেকে ‘হ্যাটট্রিক’ করতে যাচ্ছেন, নাকি নতুন কেউ আসছেন—এই প্রশ্নের উত্তর এখন পর্যন্ত অজানা। সূত্র: প্রথম আলো

অর্থনীতিতে যোগ ৩৮০০০ কোটি টাকা

মানুষের চাহিদার কারণে দেশে প্রতিনিয়তই বাড়ছে হোটেল-রেস্তোরাঁর ব্যবসা। গত বছর (২০২১) এই খাত দেশের অর্থনীতিতে যুক্ত করেছে ৩৮ হাজার ৭০৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এক দশক আগে ২০০৯-১০ অর্থবছরে এই খাত থেকে অর্থনীতিতে যুক্ত হয়েছিল মাত্র ১১ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা। সেই অর্থে ১০ বছরে যুক্ত তিন গুণেরও বেশি অর্থ।এই সময়ে নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে ১১ লাখের বেশি।বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) করা ‘হোটেল ও রেস্টুরেন্ট জরিপ ২০২১’-এ উঠে এসেছে এসব তথ্য। জরিপকৃত হোটেল-রেস্তোরাঁর বার্ষিক গড় কর্মসংস্থান ব্যয় (বেতন-ভাতা-মজুরি) সাত লাখ ২০ হাজার ৪০০ টাকা। আর এসব প্রতিষ্ঠানে গড়ে একজন কর্মীর পেছনে ব্যয় এক লাখ ৫১ হাজার ৭১০ টাকা। চলতি বছরের ২৭ মার্চ থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত দৈবচয়নের ভিত্তিতে ছয় হাজার ৪০৪টি হোটেল-রেস্টুরেন্টের ওপর জরিপটি পরিচালনা করে বিবিএস। বিবিএসের ১৫১ জন গণনাকারী ও ৮০ জন সুপারভাইজার মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন। ২০১৩ সালের অর্থনৈতিক শুমারি এবং ২০১৯ সালের বিজনেস ডিরেক্টরি থেকে তথ্য নিয়ে জরিপটি করা হয়েছে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

বেসরকারি বিদেশী ঋণের প্রায় ৭০ শতাংশেরই মেয়াদ মাত্র এক বছর

দেশের বেসরকারি খাতে গত দেড় বছরে বিদেশী ঋণ প্রায় ৭৬ শতাংশ বেড়েছে। চলতি বছরের জুন শেষে এ ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৫৯৫ কোটি ডলার। বিপুল এ বিদেশী ঋণের ৬৮ দশমিক ৪ শতাংশের মেয়াদই সর্বোচ্চ এক বছর, ডলারের হিসাবে যার পরিমাণ ১৭ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৭৭৫ কোটি। স্বল্পমেয়াদি বিদেশী এ ঋণ বেসরকারি খাতের পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্যও এখন বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, বেসরকারি খাতে স্বল্প মেয়াদে নেয়া বিদেশী ঋণের মধ্যে ১১ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার ট্রেড ক্রেডিট বা বাণিজ্যভিত্তিক ঋণ। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার হলো বায়ার্স ক্রেডিট। মূলধনি পণ্য ও সেবা আমদানির জন্য ব্যবসায়ীরা বিদেশী ব্যাংক থেকে এ ঋণ নিয়েছেন। বাকি ঋণের ১ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার বিদেশী ব্যাক-টু-ব্যাক এলসি এবং ১ বিলিয়ন ডলার ডেফার্ড পেমেন্ট বা বিলম্বিত দায়। সরাসরি স্বল্পমেয়াদি ঋণ ও দায় হিসেবে বিদেশী উৎস থেকে এসেছে ৫ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার। সব মিলিয়ে বিদেশী উৎস থেকে নেয়া ১৭ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার ঋণের মেয়াদ সর্বোচ্চ এক বছর, যা বেসরকারি খাতের মোট বিদেশী ঋণের ৬৮ দশমিক ৪ শতাংশ। বাকি ৩১ দশমিক ৬ শতাংশের মেয়াদ এক বছরের বেশি। ডলারের হিসাবে এ ঋণের পরিমাণ ৮ দশমিক ১৯ বিলিয়ন। তবে বেসরকারি খাতের দীর্ঘমেয়াদি ঋণের মধ্যেও ১৩৩ কোটি ডলারের মেয়াদ এক থেকে তিন বছর। তিন থেকে পাঁচ বছর মেয়াদি বিদেশী ঋণ রয়েছে ৭৪ কোটি ডলার। পাঁচ থেকে সাত বছর মেয়াদি বিদেশী ঋণের পরিমাণ ৪৭ কোটি ডলার। আর সাত থেকে ১০ বছর মেয়াদি ৫৪ কোটি, ১০ থেকে ১২ বছর মেয়াদি ৫৩ কোটি ও ১২ বছরের বেশি মেয়াদি ৪৫৭ কোটি ডলার বিদেশী ঋণ রয়েছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড এক্সটারনাল ডেট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। সূত্র: বণিক বার্তা।

মোবাইল যেভাবে ‘ধ্বংস করল’ বোর্ড গেমের কারিগরদের

কাদের লুডু ফ্যাক্টরির চার কর্মী পুরান ঢাকার ছোট কাটরার একটা শতবর্ষী ভবনের তিন তলায় বসে নিঃশব্দে কাজ করছিলেন।
ছোট কাটরার গোলকধাঁধার মতো রাস্তাঘাট পেরিয়ে এ লুডু ফ্যাক্টরিটি খুঁজে বের করতে আমাদের অনেক সময় লেগেছে। গলির ভেতরের এ পুরোনো ভবনে একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে চলছে দোকানটি।ভবনের সিঁড়িগুলো কাঠের। জীর্ণদশা দেখেই বয়স নিয়ে একটা ধারণা পাওয়া যায়। ওঠার সময় একবার মনে হলো, আমাদের ভর নিতে পারবে তো। আশপাশ থেকে নাকে আসা গন্ধে বোঝা গেল, ইঁদুরের দিব্যি আশ্রয়স্থল এ ভবন।গত ২৫ বছর ধরে এখানে কাজ করছেন কাদের লুডু’র ব্যবস্থাপক রুহুল আমিন। কোম্পানির সোনালি দিনগুলো নিজের চোখে দেখা তার। এখন কোনোক্রমে ক্ষয়ে আসা ব্যবসায়টাকে ধরে রেখেছেন। ‘কোনো এককালে এখানে দিন-রাত মিলিয়ে ২৫ জনের বেশি মানুষ কাজ করত। এখন আমিসহ কেবল চারজন আছি। আজ থেকে পাঁচ বছর আগেও আমরা দিনে ২,৫০০’র বেশি লুডু বোর্ড সরবরাহ করতাম। এখন দৈনিক ৫০০টাও বানাই না,’ লুডু বোর্ডে মাখানোর জন্য আঠা বানাতে বানাতে বললেন রুহুল। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

বাংলাদেশকে নিয়ে প্রকাশ্য বিরোধে ঢাকায় রুশ এবং মার্কিন দূতাবাস?

সম্প্রতি বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে নিয়ে যে বিতর্ক চলছে, সেই ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করে ঢাকার রুশ দূতাবাস এক বিবৃতি দিয়েছে, যাতে পরোক্ষভাবে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘ব্ল্যাকমেইল এবং আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টার’ অভিযোগ তোলা হয়েছে।
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটি প্রভাবশালী দেশের কূটনীতিককে ইঙ্গিত করে রাশিয়ার মতো আরেকটি দেশের দূতাবাস থেকে এধরণের বিবৃতি এক নজিরবিহীন ঘটনা।রুশ দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়, “কিছু দেশ, যারা নিজেদের ‘উন্নত গণতন্ত্র’ বলে দাবি করে, তারা অন্য সাবভৌম দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে শুধু হস্তক্ষেপই করেনা, এমনকি ব্ল্যাকমেইলও করে।”রুশ দূতাবাস থেকে এই বিবৃতিটি মঙ্গলবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। এতে বলা হয়, তারা কোন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

গোপীবাগের ৬ খুন: বিচার পাওয়ার আশাও ছেড়ে দিয়েছে পরিবার
হত্যাকাণ্ডের কোনো কূল-কিনারা নেই; তদন্ত শেষ হয়নি ৯ বছরেও।

ঢাকার গোপীবাগে মুরিদ সেজে বাসায় ঢুকে কথিত পীর লুৎফর রহমান ফারুকসহ ছয়জনকে হত্যার পর নয় বছর পেরিয়ে গেলেও খুনিদের বিচারের মুখোমুখি করতে পারেনি তদন্তকারী সংস্থা।মামলা তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক মো. সোহরাব হোসেন বলছেন, এখনও কোনো ‘ক্লু’ তারা পাননি, তদন্তে তেমন কোনো অগ্রগতিও হয়নি। এতদিনেও বিচার না পেয়ে ক্ষুব্ধ, হতাশ, লুৎফর রহমানের ছেলে আবদুল্লাহ আর ফারুক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এ নিয়ে তারা আর গণমাধ্যমে কথা বলতেও চান না।“কথা বলে, অনুযোগ জানিয়ে কী হবে? আমরা বিচার পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছি।” ২০১৩ সালের ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় রামকৃষ্ণ মিশন রোডের ৬৪/৬ নম্বরে চার তলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ঢুকে একদল লোক কথিত পীর লুৎফর রহমান ফারুক, তার ছেলে সারোয়ার ইসলাম ফারুক ওরফে মনির, পীরের খাদেম মঞ্জুর আলম মঞ্জু, মুরিদ মো. শাহিন, রাসেল ও মুজিবুল সরকারকে গলা কেটে হত্যা করে। সূত্র: বিডি নিউজ