বিএনপির আমলে দুর্নীতিই নীতি হয়ে যায় : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:২৮ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৩, ২০২২

গণভবনে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির বৈঠকে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : পিএমও প্রেস উইং

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির আমলে দুর্নীতিই নীতি হয়ে যায়। যে দলের নেতারা অস্ত্র চোরাচালান ও মানিলন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত, তারা কীভাবে জনগণের ভোটে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখে। বিএনপি-জামায়াতের শাসনকাল ছিল দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের। সেই সময় দুর্নীতিই ছিল তাদের নীতি। এ ছাড়া জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও লুটপাট মিলে দেশে আরেকটি কালো অধ্যায় শুরু হয়। বিএনপির রাজনৈতিক ধারাবাহিকতাই ছিল অগণতান্ত্রিক ও অবৈধ উপায়ে।’

আজ বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জেনারেলের পকেট থেকে বিএনপির জন্ম। তারা সব সময় মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলে। ২০০১, ২০০৬ সালে প্রতিবার তারা ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে।

তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে কারও কোনো অভিযোগ ছিল না। সে সময় বিএনপির সব পছন্দের লোক ক্ষমতায় থাকার পরও যে দল ৩১টি আসন পায়, সে দল জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসবে- এটা বিএনপির নেতারা কীভাবে মনে করে। যে দলের নেতারা গ্রেনেড হামলায় সাজাপ্রাপ্ত, ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান, মানিলন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত, জনগণের ভোটে তারা ক্ষমতায় যাবে, এমন স্বপ্ন তারা কীভাবে দেখে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আওয়ামী লীগ যখনেই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন করেছে। যাদের চোখ আছে তারা উন্নয়ন দেখবে, আর ‘বুদ্ধিজীবী প্রতিবন্ধীরা’ কোনো উন্নয়ন দেখে না। অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে তাদের মূল্য বাড়ে। তাই গণতান্ত্রিক ধারায় দেশ চললে তাদের হতাশা লাগে। নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে অনির্বাচিত কাউকে ক্ষমতায় আনলে দেশের কোনো ভালো হবে না।
প্রধানমন্ত্রীর সূচনা বক্তব্যের পর তার সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের রুদ্বদ্বার বৈঠক শুরু হয়। আগামী শনিবার অনুষ্ঠেয় দলের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের আগে বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির এটাই শেষ বৈঠক। শনিবার জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশন শেষে কাউন্সিল অধিবেশন শুরুর পূর্বমূহুর্ত পর্যন্ত বর্তমান কার্যনির্বাহী সংসদের এই বৈঠক মূলতবি থাকবে।

বৈঠকে জাতীয় সম্মেলনের শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতি পর্যালোচনা এবং সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত ১১টি উপকমিটির নেতারা তাদের প্রতিবেদন পেশ করার কথা রয়েছে। দলীয় সভাপতির জন্য বরাদ্দ (কো-অপ্ট) ১০০ কাউন্সিলর অনুমোদন করারও কথা রয়েছে বৈঠকে। আগামীকাল শুক্রবার এই তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।

Nagad