‘সম্পদ ও ক্ষমতার’ জন্য মানুষের লোভের সমালোচনা পোপের
বড়দিন উপলক্ষে বিশ্ববাসীকে বার্তা দিতে গিয়ে ক্ষমতা ও সম্পদলোভীদের তীব্র সমালোচনা করেছেন পোপ ফ্রান্সিস। ইউক্রেন যুদ্ধ ও বিশ্বে চলমান অন্যান্য সংঘাতের দিকে ইংগিত করে ‘সম্পদ ও ক্ষমতার’ জন্য মানুষের লোভের সমালোচনা করেছেন তিনি ।
গতকাল শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) ভ্যাটিকানে এক প্রার্থনাসভায় ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বিশ্বে চলমান অন্যান্য সংঘাতের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি এ সমালোচনা করেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বড়দিনের প্রাক্কালে ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় জড়ো হওয়া পূর্ণার্থীদের উদ্দেশে বক্তৃতা দেন পোপ।
পোপ বলেন, ‘কত শত যুদ্ধ আমাদের দেখতে হয়েছে! আর সেসব সংঘাতের শিকার হয়েছে দুর্বল আর অরক্ষিত মানুষ। আমি সবার আগে সেই সব শিশুর কথা মনে করতে চাই, যারা যুদ্ধ, দারিদ্র্য আর অবিচারের শিকার।’
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় জড়ো হওয়া পূর্ণার্থীদের উদ্দেশে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন পোপ। ৮৬ বছর বয়সি এই ক্যাথলিক ধর্মগুরু গির্জায় প্রবেশ করেন হুইলচেয়ারে চড়ে। শনিবার সন্ধ্যার বেশিরভাগ সময় তিনি বেদীর কাছেই বসেছিলেন।
পোপ ফ্রান্সিস বলেন, ‘যখন প্রাণীদেরও তাদের খোয়াড়ে খাবার দেওয়া হচ্ছে, সেই একই পৃথিবীতে সম্পদ আর ক্ষমতার ক্ষুধায় উন্মত্ত নারী আর পুরুষেরা গ্রাস করছে তাদের প্রতিবেশী, এমনকি মা আর বোনদেরও।’
প্রসঙ্গত, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া যখন ইউক্রেনে পুরাদমে সামরিক অভিযান শুরু করে তখন ‘সরাসরি রাশিয়ার নিন্দা না করায়’ পোপের সমালোচনা করেছিলেন ইউক্রেনের অনেকে। তাদের অভিযোগ ছিল, সরাসরি রাশিয়াকে দোষী না করে তিনি যুদ্ধ নিয়ে ‘গা বাঁচানো’ মন্তব্য করেছেন। গত জুন মাসে এক বক্তব্যে পোপ বলেছিলেন, এই যুদ্ধে হয়ত কোনোভাবে উসকানি ছিল কিংবা ঠেকানোর চেষ্টা হয়নি। তবে পরে রুশ সৈন্যদের কর্মকাণ্ডকে ‘নৃশংসতা’ হিসেবে বর্ণনা করে এর নিন্দা জানিয়েছিলেন তিনি।
রোববার বড় দিনের আনুষ্ঠানিকতায় বরাবরের মতই সেন্ট পিটারস ব্যাসিলিকার বারান্দা থেকে পোপ ফ্রান্সিস চত্বরে সমবেত ক্যাথলিকদের আশীর্বাদ করবেন, উরবি এট অরবি (শহর ও বিশ্বের প্রতি) ভাষণ দিবেন।
