পঞ্চগড়ে পাঁচ মামলায় ১২০০ বিএনপি কর্মী আসামি
পঞ্চগড়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় সদর থানায় পাঁচটি মামলা হয়েছে। রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) মামলাগুলো করে পুলিশ। চারটি মামলায় সরকারি কাজে বাধা প্রদান, পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুর এবং একটি মামলায় ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলাগুলোয় বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীর ৮১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা এক হাজার ১০০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এরই মধ্যে বিএনপি-জামায়াতের আট নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন জেলার ছাত্রদল নেতা মোস্তফা কানন, আটোয়ারী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আকতারুজ্জামান আতা, বিএনপির সমর্থক সিদ্দিকুল ইসলাম, দেবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব মেহেদি হাসান তুহিন, বিএনপির নেতা রেজাউল ইসলাম, বোদা উপজেলার যুবদল নেতা রাজু আহমেদ এবং তেঁতুলিয়া উপজেলার জামায়াতের কর্মী জয়নাল আবেদিন ও সাইফুল ইসলাম।
বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য চলছে পুলিশের অভিযান। গ্রেপ্তার আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন দল দুটির নেতাকর্মীরা। পুরো জেলায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। পুলিশের পাশাপাশি র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে ময়নাতদন্তের পর গতকাল দুপুরে বিএনপি নেতা আব্দুর রশিদ আরেফিনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিকেল সাড়ে ৪টায় বোদা উপজেলার ময়দানদীঘি ইউনিয়নের হরিপুর জোতদেবীকান্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। বিএনপির কেন্দ্রীয়সহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা জানাজায় অংশ নেন। তাঁর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
আব্দুর রশিদ আরেফিনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মাহি বলেন, ‘এদের কাছে বিচার চেয়ে লাভ নেই। এ দেশে মানুষ মরছে, আরো মারা যাবে। আমার বাবাকে যারা হত্যা করেছে, আমি তাদের বিচার চাই। ’সূত্র: কালের কণ্ঠ