কড়া জবাব দিলেন কাতার বিশ্বকাপের সেই রেফারি

খেলাধুলা ডেস্কখেলাধুলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ১:৩২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৬, ২০২২

ছবি- সংগৃহীত

কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্স দু’টি গোলই করেছে পেনাল্টি থেকে। আর আর্জেন্টিনার ৩ গোলের মধ্যে একটি ছিল পেনাল্টি থেকে। অথচ সেই একটি পেনাল্টি নিয়ে ফরাসীদের ক্ষোভের অন্ত নেই। ফ্রান্সের সমর্থকেরা একেবারে বিক্ষোভের ঝড় তুলে দিয়েছেন। তাদের দাবি, আর্জেন্টিনার পেনাল্টিটা মোটেও ছিল না। অনৈতিক ভাবে আর্জেন্টিনাকে প্রথম গোলটি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আর্জেন্তিনার তৃতীয় গোলটিও বাতিল করা উচিত ছিল রেফারির।

এবার এসব বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচের রেফারি সিমন মার্চিনিয়াক। তিনি ছবি দেখিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন ফ্রান্সের গোল নিয়েও। আর তাতেই গুটিয়ে গিয়েছেন ফরাসী সমর্থকেরা।

ফাইনাল ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের খেলা ২-২ শেষ হওয়ার পর, অতিরিক্ত সময়ে গড়ায়। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে গোল করে আর্জেন্টিনাকে ৩-২ এগিয়ে দিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। এই গোলটিই রেফারির বাতিল করা উচিত ছিল বলে দাবি তুলেছেন ফ্রান্সের বিশেষজ্ঞরা।

তাদের যুক্তি, মেসির দ্বিতীয় গোলের সময়ে মাঠে আর্জেন্টিনার ১১ জনের বেশি ফুটবলার ছিল। আর্জেন্টিনার একজন ফুটবলার পরিবর্তন হিসেবে নামার জন্য সাইড লাইনের ধারে অপেক্ষা করছিলেন। গোলের সময় তিনি নিয়ম ভেঙে মাঠের ভিতর চলে আসেন। তাদের স্পষ্ট দাবি, নিয়ম অনুযায়ী কোনও গোল করার সময়ে রেফারি যদি বুঝতে পারেন সেই দলের অতিরিক্ত ফুটবলার, পরিবর্তন ফুটবলার, সাপোর্ট স্টাফ মাঠের মধ্যে উপস্থিত রয়েছে, তাহলে রেফারিকে গোল বাতিল করতে হবে। অতিরিক্ত সেই ব্যক্তিকে মাঠ ছাড়ার নির্দেশ দিতে হবে। খেলা শুরু করতে হবে ফ্রিকিক থেকে। তাই ফরাসীদের দাবি, রেফারির উচিত ছিল, আর্জেন্টিনার তৃতীয় গোলটি বাতিল করা।

এই অভিযোগের কড়া জবাব দিয়েছেন পোল্যান্ডের রেফারি সিমন মার্চিনিয়াক। একটি ছবি দেখিয়ে রেফারি সিমন বলেন, “ফরাসিরা এই ছবিটার কথা বলেননি। এমবাপ্পে গোল করার সময়ে মাঠের ভিতর ফ্রান্সের বাড়তি ৭ জন ফুটবলার কী করছিল?”

রেফারি সিমনের ফোনে রেখে দেওয়া ছবিতে দেখা গেছে, অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে এমবাপ্পে পেনাল্টি মারার সময় ফ্রান্সের রিজার্ভ বেঞ্চের ৭ জন ফুটবলার উত্তেজনায় মাঠের ভিতরে চলে যান।

Nagad

এই ছবি দেখিয়ে পোল্যান্ডের রেফারি বলেন, “২টি গোলের সময়ই সব কিছু ভালো ভাবে খতিয়ে দেখে, ২টি গোলই বাতিল করে দেওয়া উচিত ছিল।”

তার এই জবাবের পর ফ্রান্সের সমালোচকরা অবশ্য আর কথা বাড়াননি।

সারাদিন/২৬ ডিসেম্বর/এমবি