মেট্রোরেলে নিরবচ্ছিন্ন নেটওয়ার্ক নিশ্চিতে কাজ চলছে
রাজধানী ঢাকায় প্রথমবারের মতো যুক্ত হতে যাচ্ছে মেট্রোরেল। প্রতিদিন মেট্রোরেলে চার লাখ যাত্রী চলাচল করবেন। ফলে ফোন অপারেটরগুলোর আশঙ্কা, যেহেতু মানুষের চাপ বাড়বে, সেহেতু মেট্রোরেলের স্টেশনে ও চলতি অবস্থায় বারবার কলড্রপ হতে পারে, ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে। স্টেশনে দাঁড়িয়ে কিংবা মেট্রোরেলে চড়ে যেন যাত্রীরা নির্বিঘ্নে মুঠোফোন ব্যবহার করতে পারেন, সেই লক্ষ্যে মোবাইল ফোনের নিরবচ্ছিন্ন নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করার চেষ্টাও চলছে বলে জানা গেছে।
ইতোমধ্যে মেট্রোরেলের ৯টি স্টেশনে প্রযুক্তিগত জরিপ ও মূল্যায়ন করেছে ‘অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ’ (অ্যামটব)। সে অনুযায়ী পরিকল্পনাও করেছে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে, টিকিট কাউন্টার, প্ল্যাটফর্ম, লাউঞ্জ, স্টল অর্থাৎ যেখানে লোকসমাগম বেশি হবে, সেখানে এসব নেটওয়ার্ক সুবিধার জন্য অ্যানটেনা বসানো হবে। এতে স্টেশনে চলাচলকারী যাত্রীরা নির্বিঘ্নে মোবাইল নেটওয়ার্ক পাবেন।
মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মেট্রোরেলের নকশা ও অবকাঠামোর কারণে মোবাইল নেটওয়ার্কের টাওয়ার ও তার বসানোর উপায় নেই। কোম্পানিগুলোকে আশপাশের ভবনে অথবা খালি জায়গায় নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম স্থাপন করতে হবে।
অবশ্য অপারেটরগুলো জানিয়েছে, টাওয়ার বসানোর ক্ষমতা এখন আর তাদের হাতে নেই। টাওয়ার বসানোর কাজ করে টাওয়ার কোম্পানি। আর সরকারি সংস্থা ও ব্যক্তিমালিকানাধীন ভবনে টাওয়ার বসানোর জন্য জায়গা পাওয়া যায় না।
মেট্রোরেলের উত্তরা থেকে আগারগাঁওয়ে এমআরটি লাইন-৬ এ মোবাইল নেটওয়ার্ক সুবিধা চালু করতে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডকে (ডিএমটিসিএল) চিঠি দেয় অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব)।
সারাদিন/২৬ ডিসেম্বর/এমবি