পেলেকে দেখতে মরিয়া দূর-দূরান্তের হাজারো সমর্থক

খেলাধুলা ডেস্কখেলাধুলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ৬:৪৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২, ২০২৩

ছবি- সংগৃহীত

ক্যান্সারের সাথে দীর্ঘ লড়াই শেষে গত ২৯ ডিসেম্বর পৃথিবী থেকে বিদায় নেন ফুটবল সম্রাট এডসন অরান্তেস দো নসিমন্ত পেলে। এই কিংবদন্তির মৃত্যুতে শোকাহত গোটা ফুটবল বিশ্ব। একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটেছে। এবার তার পার্থিব শরীরটাকে শান্তিতে চিরতরে ঘুমাতে দেওয়ার পালা।

সোমবার (০২ জানুয়ারি) তার প্রাণহীন শরীরটাকে রাখা হবে স্যান্টোসের বেলমিরো স্টেডিয়ামে। পেলেকে শেষ বারের মতো জনসাধারণ দেখতে পারবেন সমর্থকরা।

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সোমবার সকালে সাও পাওলো থেকে শোভাযাত্রা করে ফুটবল সম্রাটকে নিয়ে যাওয়া হবে তার ক্লাব স্যান্টোস এফসি-তে। ঘরের মাঠ ভিলা বেলভিরোতে সোমবার সকাল ১০টা থেকে ২৪ ঘণ্টা অর্থাৎ মঙ্গলবার (০৩ জানুয়ারি) সকাল ১০টা পর্যন্ত রাখা হবে ফুটবল সম্রাটের নিথর দেহ। স্টেডিয়ামের ২ ও ৩ নম্বর গেট দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন অনুরাগীরা।

সকাল ১০টার সময় গেট খোলা হলেও, তার আগে থেকেই প্রচুর সংখ্যায় পেলের ভক্তরা জমা হতে থাকেন গেটের সামনে। ভিড়ের মধ্যে সবার আগে ছিলেন ৩৬ বছর বয়সী সাওলো ডুয়ার্তে সোয়ারেস। পেলেকে দেখতে মরিয়া তিনি। চলে এসেছেন অনেক আগেই। বেলভিরোর সামনে রাত কাটিয়েছেন। লাইনে দাঁড়িয়েছেন সবার আগে।

সাওলো ডুয়ার্তে সোয়ারেস বলেন, “সম্রাটকে যে শেষবার দেখতেই হবে। তাই চলে এসেছি। আর কোনও দিন তাকে দেখতে পাব না। তাই অপেক্ষা করছি শেষবারের জন্য তাকে দেখার।”

ওই ভিড়ের মধ্যেই ৫৮ বছর বয়সী এমিলিও কারমো ডি লিমা। ফুটবল সম্রাট পেলের মৃত্যুতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। কারমো ডি লিমা বলেন, “তার কেরিয়ারের শেষের দিকে আমি একবার পেলেকে স্টেডিয়ামে দেখেছিলাম। স্যান্টোস এবং পালমেইরাসের খেলা ছিল। ম্যাচটি ১-১ ড্র হয়।” এক নাগাড়ে বলে যাচ্ছিলেন কথাগুলো।

Nagad

স্থানীয় এক চিত্রশিল্পী পেলের শেষ যাত্রার শুরুর কুড়ি ঘন্টা আগেই পৌঁছে গিয়েছেন বেলমিরো স্টেডিয়ামে। তিনি বলেন, “আমি রুটি নিয়ে এসেছি। এখানেই রাত কাটাবো। পেলেকে দেখতেই হবে। নইলে আমার বড় আক্ষেপ থেকে যাবে। আমি পেলের বিশাল বড় ভক্ত।”

সারাদিন/০২ জানুয়ারি/এমবি