কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেলো বুয়েট শিক্ষার্থী বুশরা
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তার বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরা কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি জামিনে মুক্তি পান।
কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার ফারহানা আক্তার গণমাধ্যমকে বুয়েট শিক্ষার্থী বুশরার মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলার ফারহানা আক্তার বলেন, দুপুরের দিকে আদালতের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছালে তা যাচাই-বাছাই করে আমাতুল্লাহ বুশরাকে ২টার দিকে মুক্তি দেওয়া হয়। এ সময় বুশরা বাবা মঞ্জুরুল ইসলাম এসে তাকে নিয়ে যায়।
এর আগে রোববার (০৮ জানুয়ারি) ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার বুয়েট শিক্ষার্থী আমাতুল্লাহ বুশরার জামিন মঞ্জুর করেন। এদিন ফারদিনের বাবা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
তার আগে গত বৃহস্পতিবার (০৫ জানুয়ারি) ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে শুনানির জন্য আনা হয়েছিল বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তার বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরাকে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ওইদিন আদালত আদেশের জন্য রোববার (০৮ জানুয়ারি) দিন ধার্য করেন।
আদালতে বুশরার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোখলেসুর রহমান বাদল। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করা হয়।
এর আগে গত ৩১ নভেম্বর বুশরার আইনজীবী ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বুশরার জামিনের আবেদন করলে আদালত শুনানির জন্য ০৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।
উল্লেখ্য, গত ০৪ নভেম্বর রাজধানীর ডেমরা থেকে নিখোঁজ হন বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ। পরে ০৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ সদরের সিদ্ধিরগঞ্জ বনানী ঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের লাশ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ।
এরপর ১০ নভেম্বর রামপুরা থানায় দায়ের করা মামলায় ‘হত্যার পর লাশ গুম’ করার অভিযোগ আনেন ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন। ওই মামলায় ফারদিনের বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরাকে এক নম্বর আসামি করা হয়। একই দিনে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৫ দিন রিমান্ডের পর এখন তিনি কারাগারে আছেন।
সারাদিন/১০ জানুয়ারি/এমবি