মতিঝিলে নগদ টাকার ব্যবহার কমানোর উদ্যোগ, পেমেন্ট ক্যাশলেসে

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৪:১৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৮, ২০২৩

ক্যাশলেস বা নগদ টাকার ব্যবহার কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অ্যাপে বাংলা কিউআর কোডের মাধ্যমে সব ব্যাংকের গ্রাহক পণ্যের মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে যে কোনো ব্যাংকের অ্যাপ থাকলেই চলবে। গ্রাহকের ব্যাংকের অ্যাপ বা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের অ্যাপ দিয়ে পণ্য কেনাবেচায় উদ্বুদ্ধ করতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়।

‘সর্বজনীন পরিশোধ সেবায় নিশ্চিত হবে স্মার্ট বাংলাদেশ’ স্লোগান সামনে রেখে আজ বুধবার (১৮ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে ক্যাশলেস বা নগদবিহীন বাংলাদেশ প্রচারণা। ব্যাংকপাড়া হিসেবে পরিচিত মতিঝিল এলাকা দিয়েই এই প্রচারণার শুরু হয়। ব্যাংকের অ্যাপস বা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের অ্যাপস দিয়ে পণ্য কেনাবেচায় উদ্বুদ্ধ করতেই এমন প্রচারণা। বাংলা কিউআর কোডভিত্তিক লেনদেনকে উৎসাহিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সমন্বয়ে এ উদ্যোগে যুক্ত হয়েছে বিভিন্ন ব্যাংক, এমএফএস ও কার্ড সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান।

‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ উদ্যোগের আওতায় শ্রমনির্ভর অতিক্ষুদ্র ভাসমান উদ্যোক্তা (সবজি বিক্রেতা, মাছ বিক্রেতা, চা বিক্রেতা, ঝালমুড়ি বিক্রেতা), বিভিন্ন প্রান্তিক পেশায় (মুচি, নাপিত, হকার) নিয়োজিত সেবা প্রদানকারীদের বিল গ্রহণ পদ্ধতিকে ডিজিটাল ও প্রাতিষ্ঠানিক করার উদ্দেশ্যে এ পদ্ধতি করা হয়। এ হিসাবের মাধ্যমে লেনদেন সম্পন্ন করা ব্যবসায়ীরা মাইক্রো-মার্চেন্ট হিসেবে গণ্য হচ্ছেন।

এ উদ্যোগে যুক্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে-দি সিটি ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, পূবালী ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, এ বি ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক ও ওয়ান ব্যাংক।

এছাড়া রয়েছে এমএফএস প্রতিষ্ঠান বিকাশ, এম ক্যাশ, রকেট ও কার্ড সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান মাস্টারকার্ড, ভিসা ও অ্যামেক্স।

এই উদ্যোগের অন্যতম অংশীদার মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নগদ অর্থের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আনতে প্রথমবারের মতো সর্বজনীন বাংলা কিউআর, হোয়াইট লেবেল কিউআর চালুসহ বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে বিভিন্ন যুগান্তকারী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। “ক্যাশলেস বাংলাদেশ” উদ্যোগটি সে প্রেক্ষাপটে আরও একটি মাইলফলক, যার মাধ্যমে আমরা লক্ষ্য অর্জন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি, মাইক্রো-মার্চেন্টদের (ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের) জন্য সহজ, নিরাপদ ও সমন্বিত পেমেন্ট সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে ক্যাশলেস বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। এরই অংশ হিসেবে প্রথমে মতিঝিলে এ ধরনের সেবা চালু করা হয়েছে। ধীরে ধীরে দেশজুড়ে এ ধরনের সুবিধা চালু করা হবে।’

Nagad