আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:১৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৯, ২০২৩

বিটিআরসির নির্দেশনা
বিজয় কি-বোর্ড বাধ্যতামূলক করার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন
সব স্মার্টফোনে টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের প্রতিষ্ঠানের বিজয় কি-বোর্ড ব্যবহারের নির্দেশ।

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কি-বোর্ড স্মার্টফোনে বাধ্যতামূলকভাবে ব্যবহারের নির্দেশের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কি–বোর্ড বা অ্যাপ বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) বাধ্যতামূলক তালিকার কোনো পণ্য নয়। তাই এটি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার সুযোগ নেই। কোনো নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবার নাম উল্লেখ করে কোনো সরকারি সংস্থা বাধ্যতামূলকভাবে ব্যবহারের নির্দেশ দিতে পারে না। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ১৩ জানুয়ারি মুঠোফোন উৎপাদনকারী ও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিঠি দিয়ে বলেছে, আমদানি করা ও স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা সব অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে বিজয় কি–বোর্ড ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ জন্য সংস্থাটির কাছ থেকে বিনা মূল্যে বিজয় কি-বোর্ডের অ্যান্ড্রয়েড প্যাকেজ কিট (এপিকে) ফাইল নিয়ে মুঠোফোনে স্থাপন করতে হবে। নইলে মুঠোফোন বিক্রির অনাপত্তি দেওয়া হবে না। সূত্র: প্রতিদিনের বাংলাদেশ

শিল্প,বিদ্যুৎও বাণিজ্যিক খাত
গ্যাসের দামে বড় লাফ

শিল্প-কারখানা, বাণিজ্যিক ও বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে সর্বোচ্চ ১৭৯ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। নতুন দাম আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। তবে গৃহস্থালিতে রান্নার গ্যাস, গাড়ি চালাতে ব্যবহৃত সিএনজি, সার উৎপাদন ও চা-শিল্পে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ায়নি সরকার। গতকাল বুধবার নির্বাহী আদেশে গ্যাসের এই দাম বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। এতে দেখা যায়, সরকারি-বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য প্রতি ঘনমিটারে ১৭৮.৮৮ শতাংশ দাম বাড়িয়ে নতুন দাম ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আগে ছিল পাঁচ টাকা দুই পয়সা। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যয় বেড়ে যাবে। ফলে আবার বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হতে পারে সরকারকে।শিল্পে উৎপাদিত নিজস্ব বিদ্যুৎকেন্দ্রের (ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ) জন্য প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ৮৭.৫০ শতাংশ বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে। আগে ছিল ১৬ টাকা। সূত্র: কালের কণ্ঠ

চ্যালেঞ্জ অর্থনৈতিক ঝুঁকি মোকাবিলা
শক্ত অবস্থানে সরকার, তিন ঝুঁকি চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক

বৈশ্বিক অথনৈতিক ঝুঁকি মোকাবিলায় শক্ত অবস্থানে রয়েছে সরকার। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার জন্য তিনটি ভবিষ্যৎ ঝুঁকি চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গর্ভনর বলেছেন, এ ধরনের কোনো একটা ধাক্কায় বাংলাদেশের অর্থনীতি পড়ে যাবে না। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতিতে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য তিনটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ তুলে ধরা হয়েছে। চ্যালেঞ্জগুলো হলো- রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের স্থায়িত্ব ও ব্যাপ্তি, ফেডারেল রিজার্ভের পলিসি ইন্টারেস্ট রেট বাড়ানোর আগ্রাসী কার্যক্রম এবং চীনের কভিড পরিস্থিতি। এই তিনটি সূচক ভালো হলে বাংলাদেশের অর্থনীতি যথেষ্ট ভালো অবস্থানে থাকবে। আর যদি খারাপ হয় সেটাও মোকাবিলা করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। জানতে চাইলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের ধারেকাছে ধরে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান যে বিবৃতি দিয়েছে, সেদিক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের বক্তব্য ঠিক আছে। যেখানে উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে মন্দা চলছে, নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হচ্ছে, কাজেই এক দিক থেকে ঠিক আছে। কিন্তু কথা হচ্ছে, মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ে কয়েক ধরনের হার, ধারাবাহিকভাবে রিজার্ভ কমে যাওয়ার মতো বিষয়গুলোর দিকে বেশি দৃষ্টি দিতে হবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

Nagad

সম্পদ নয়, বোঝায় রূপ নিতে পারে পায়রাকেন্দ্রিক উন্নয়ন প্রকল্পগুলো

পটুয়াখালীর পায়রাকে দক্ষিণাঞ্চল তথা দেশের বৃহৎ এক লজিস্টিক হাব গড়ে তোলার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিল সরকার। এজন্য সেখানে গভীর সমুদ্রবন্দর, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণসহ নানা উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। এর মধ্যে পায়রাকে গভীর সমুদ্রবন্দরে রূপ দেয়ার পরিকল্পনাটি থেকে ২০২১ সালে সরে আসে সরকার। মূলত অর্থনৈতিক ফলাফল ও বাড়তি রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বিবেচনায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের প্রকল্পটি থেকে সরে এসেছিল সরকার। পায়রা বন্দরটি যেখানে অবস্থিত, সেখান দিয়ে প্রতি বছর উজান থেকে আসা বিপুল পরিমাণ পলি প্রবাহিত হয়। এজন্য নিয়মিত ড্রেজিং ছাড়া বন্দরটি চালু রাখা কঠিন হয়ে পড়বে বলে স্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্টরাও। সরকারের প্রত্যাশা, চালু হওয়ার পর পায়রা বন্দরের আয় দিয়েই ব্যয়বহুল ড্রেজিং কার্যক্রমসহ অন্যান্য রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালন ব্যয় নির্বাহ করা যাবে। যদিও বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, পায়রা বন্দরের অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। সূত্র বণিক বার্তা।

আবার নির্বাহী আদেশ
বিদ্যুতের পর বাড়ল গ্যাসের দাম
শিল্প টিকিয়ে রাখাই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে -মোহাম্মদ আলী খোকন সভাপতি, বিটিএমএ * ভার বহনে নীতিসহায়তা দরকার -মোহাম্মদ হাতেম, নির্বাহী সভাপতি, বিকেএমইএ * গ্যাসের দাম বাড়ানোর এখন উপযুক্ত সময় নয় -শহীদুল্লাহ আজিম সহসভাপতি, বিজিএমইএ * সিএনজি ও আবাসিক গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়নি * গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিতে ফের বাড়বে বিদ্যুতের দাম * ক্যাপটিভ বিদ্যুতে প্রতি ঘনমিটারে বাড়ছে ১৪ টাকা * নিশ্চয়তা নেই শিল্পে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের

আবারও নির্বাহী আদেশ। এই আদেশে বিদ্যুতের পর এবার বাড়ানো হলো গ্যাসের দাম। মাত্র ১ মাসের ব্যবধানে দুটি জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট সেবামূলক পণ্যের দাম বাড়ানো নিয়ে সর্বত্র বইছে আলোচনার ঝড়। এবার শিল্প, বিদ্যুৎ ও বাণিজ্যিক খাতে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। তবে পরিবহণ খাতে ব্যবহৃত সিএনজি এবং বাসায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়নি। নতুন দাম ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। গ্যাসের দাম বাড়িয়ে বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ। তবে দাম বাড়ালেও নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের বিষয়ে কোনো ধরনের নিশ্চয়তা দিতে পারেনি জ্বালানি বিভাগ। ব্যবসায়ীরা বলেছেন, দাম বাড়িয়ে গ্যাস না দিলে শিল্প খাত ধ্বংস হয়ে যাবে। বন্ধ হয়ে যাবে শত শত শিল্পকারখানা। বেকার হবেন হাজার হাজার কর্মী। সরকারি-বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য প্রতি ইউনিট গ্যাসের বর্তমান দাম ৫ টাকা ২ পয়সা। নতুন করে এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ টাকা। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে। এ অবস্থায় ফের বাড়তে পারে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম। এদিকে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিক্রিয়ায় ব্যবসায়ী নেতারা বলেছেন, অর্ডারের অভাবে রপ্তানিমুখী শিল্প কঠিন সময় পার করছে। এ মুহূর্তে বিদ্যুতের পর গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি শিল্পকে আরও নাজুক অবস্থায় ফেলবে। তাই শিল্পের সক্ষমতা বিবেচনায় নিয়ে গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা উচিত। সূত্র: যুগান্তর

চুক্তি ছাড়াই ৩৩২ কোটি টাকা বিনিয়োগ প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের

পরিচালনা পর্ষদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে ৩৩২ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করেছে শেয়ারবাজারে জীবন বিমা খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স। চুক্তি ছাড়াই বিনিয়োগের নামে পরিচালকদের কোম্পানিতে দেয়া হয়েছিল এসব অর্থ। কিন্তু দীর্ঘসময় ধরে তা আদায় হচ্ছে না। সেটা নিয়ে দেখা দিয়েছে বড় শঙ্কা। অন্যদিকে এসব ঋণের বিপরীতে কোনো সঞ্চিতি বা প্রভিশনিং করেনি কোম্পানিটি। এর মাধ্যমে মুনাফা ও সম্পদ বেশি করে দেখিয়েছে। আড়াল করছে কোম্পানির আর্থিক স্বাস্থ্যের প্রকৃত অবস্থা বা দুর্বলতা। কোম্পানিটির ২০২২ সালের ৩০ জুনে শেষ হওয়া অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনে নিরীক্ষকের তথ্যে এমন চিত্র উঠে এসেছে। চুক্তি ছাড়াই কেন বিনিয়োগ করা হয়েছিল সে বিষয়ে কোনো যৌক্তিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি কোম্পানির পক্ষ থেকে। অর্থ ফেরত পেতে পৃথক মামলা করেছে প্রাইম ইসলামী, যা চলমান রয়েছে। অর্থ ফেরত পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী তারা। প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের কোম্পানি সচিব আবুল হাসনাত মোহাম্মাদ শামীম দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘এই টাকা আদায়ের জন্য কোম্পানির পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। হাইকোর্টে মামলা চলমান রয়েছে। মামলার কোনো সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আমরা কিছু বলতে পারছি না।’ সূত্র: দৈনিক বাংলা।

কারখানার বর্জ্যে ধ্বংস হচ্ছে কৃষিজমি

সাভারের অধিকাংশ শিল্পকারখানায় নেই ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (ইটিপি) বা তরল বর্জ্য শোধনাগার। ফলে ডায়িংসহ বিভিন্ন কলকারখানার তরলবর্জ্যে প্রতিদিন দূষিত হচ্ছে নদী-খাল-বিল। চাষের অযোগ্য হয়ে পড়েছে কৃষিজমি। হুমকির মুখে পড়েছে প্রাণ-প্রকৃতি। সরেজমিন দেখা গেছে, সাভার উপজেলার কবিরপুর, জিরানী বাজার, টেঙ্গুরী, শ্রীপুর, চক্রবর্তী, জামগড়া, বেরন, সরকার মার্কেট, বাংলাবাজার, নরসিংহপুর, ঘোষবাগ, নিশ্চিন্তপুর, জিরাবো, কাঠগড়া, আশুলিয়া, নয়ারহাট, নলাম, পলাশবাড়ি, গাজীরচট, সাভার পৌর এলাকা, হেমায়েতপুরসহ বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে শতাধিক শিল্পকারখানা। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি কারখানার বর্জ্য পরিশোধনের জন্য ইটিপি থাকার কথা। কিন্তু অধিকাংশ কারখানায়ই তা নেই। হাতেগোনা যে কয়টিতে আছে, সেগুলো নিয়মিত ব্যবহার করা হয় না। অনেকটা লোকদেখানোর জন্য রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। শুধু কারখানাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, প্রশাসন বা সংস্থার কেউ পরিদর্শনে এলে তা চালু করা হয়। সূত্র: প্রতিদিনের বাংলাদেশ

শিল্পখাতে গ্যাসের দাম বাড়লো আড়াইগুণ, কিন্তু কেন তার ব্যাখ্যা মিলছে না

বাংলাদেশের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ শিল্প ও বাণিজ্যিক খাতে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। তবে পরিবহন খাতে এবং আবাসিক ভোক্তাদের গ্যাসের দাম এ যাত্রায় বাড়ানো হয়নি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, শিল্পখাতের গ্যাসের দাম অতিমাত্রায় বাড়ানো হয়েছে যার ফলে কারখানা সচল রাখাটাই কষ্টকর হয়ে দাঁড়ানোর আশঙ্কা আছে।যদিও গবেষকরা বলছেন, অর্থনৈতিক সংকট সামাল দিতে প্রয়োজনীয় ঋণ সহায়তা পেতে সরকার আইএমএফের সাথে যে সমঝোতা করেছিলো – তারই অংশ হিসেবে ভর্তুকি কমাতে শিল্পখাতের গ্যাসের দাম এভাবে বাড়ানো হয়েছে।অবশ্য পেট্রোবাংলা এবং জ্বালানি বিভাগ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্যাসের দাম এতো বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে কেউ কথা বলতে রাজি হননি। সূত্র; বিবিসি বাংল

রূপপুরের সরঞ্জাম নিয়ে ফিরে যাচ্ছে রুশ জাহাজ

ইউক্রেন সংকটের পটভূমিতে রাশিয়ার ওপর দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় থাকা একটি রুশ জাহাজ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সরঞ্জাম নিয়ে নিজ দেশে ফিরে যাচ্ছে। বাংলাদেশের বন্দরে ভিড়তে না পেরে পণ্য ভারতে খালাসের চেষ্টাও সফল হয়নি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র এ তথ্য জানায়।উরসা মেজর নামে রাশিয়ার পতাকাবাহী জাহাজটি ওই পণ্য নিয়ে গত ২৪ ডিসেম্বর মোংলা বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। এর আগেই ২০ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে জানায়, ওই জাহাজটি আসলে ‘উরসা মেজর’ নয়। এটি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা ‘স্পার্টা-৩’ জাহাজ। রং ও নাম বদল করে সেটি রূপপুরের পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে যাচ্ছে। জাহাজটির আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংস্থার (আইএমও) সনদ নম্বর ৯৫৩৮৮৯২, যা প্রকৃতপক্ষে ‘স্পার্টা-৩’-এর সনদ নম্বর। যাচাই করে বাংলাদেশ বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে জাহাজটি বন্দরে ভিড়তে নিষেধ করে দেয়। পরে জাহাজটি পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া বন্দরে গিয়ে পণ্য খালাসের চেষ্টা করে। সংশ্নিষ্ট স্থানীয় এজেন্ট সেখান থেকে পণ্য বাংলাদেশের রূপপুরে পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল বলে জানা যায়। তবে তাও সম্ভব হয়নি।তাৎক্ষণিক জাহাজের অবস্থান শনাক্তকরণ-সংক্রান্ত ওয়েবসাইট গ্লোবাল শিপ ট্র্যাকিং ইন্টেলিজেন্স মেরিন ট্রাফিক ওয়েবসাইটের ১৫ জানুয়ারি সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, জাহাজটি বঙ্গোপসাগরে ভারতের অংশে মাঝসমুদ্রে নোঙর করেছিল। তবে গতকাল বুধবার সর্বশেষ তথ্যে জানা যায়, জাহাজটি ভিড়তে না দেওয়ায় সেটি রাশিয়ার উদ্দেশে ফিরে যাচ্ছে। সূত্র: সমকাল

ভোক্তা অধিদপ্তরের নতুন পোর্টালে অভিযোগ জানাবেন কীভাবে?

প্রশাসনকে ‘জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার’ প্রতিশ্রুতি দিয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চালু করেছে নতুন ওয়েব পোর্টাল; যার মাধ্যমে সহজেই অধিদপ্তরের কাছে অভিযোগ ও সমস্যার কথা তুলে ধরতে পারবেন ভোক্তারা। বুধবার ‘কনজুমার কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিসিএমএস)’ শীর্ষক এই সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, মোবাইলে অ্যাপ থাকলেই মানুষ যে কোনো জায়গা থেকে এখন অভিযোগ জানাতে পারবেন; অধিদপ্তরও বিষয়টি আগের চেয়ে ভালোভাবে মনিটর করতে পারবে।সিসিএমএস দুটি অংশে বিভক্ত। একটি অভিযোগ পোর্টাল, অন্যটি প্রশাসনিক প্যানেলে। এর মধ্যে অভিযোগ পোর্টাল (https://dncrp.com/) সবার জন্য উন্মুক্ত।ভোক্তারা পোর্টালে গিয়ে নিজ নিজ সচল মোবাইল নম্বর ও জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে প্রোফাইল খুলে নিজেদের অভিযোগ জানাতে পারবেন।সফিকুজ্জামান বলেন, “ইদানিং আমরা দেখেছি যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একেকটা ভিডিওর মাধ্যমে আমরা ৪ কোটির বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে পারছি। এই ভোক্তাদের কাছে যদি সরাসরি যেতে হত, তাহলে তা অনেক কঠিন হত। সূত্র; বিডি নিউজ