প্রতিদিন ৩ হাজার কোয়েলের ডিম, আর্থিকভাবে লাভবান নাঈম

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি :কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি :
প্রকাশিত: ৯:০৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২২, ২০২৩

কলাপাড়া পৌর শহরের ৯নং ওয়ার্ডের যুবক মাহবুবুল আলম নাঈম। ২০২০ সালে সখের বসে ৩০০ কোয়েলের বাচ্চা সংগ্রহ করে গড়ে তুলেন কোয়েল খামার। এ খামারীর সাফলতা দেখে কোয়েল পাখি পালনে আগ্রহী হচ্ছে অনেক যুবক। প্রতিদিন ৩ হাজার ডিম দেয় নাঈমের কোয়েল পাখিগুলো। প্রতি পিস ডিম পাইকারি বিক্রি করছেন ৩ টাকা দরে।

এ ডিম বিক্রি করে নাঈমের মাসে আয় হচ্ছে প্রায় ২ লক্ষ টাকা। লাভ ভালো হওয়ায় ১হাজার কোয়েল দিয়ে বাণিজ্যিক ভাবে শুরু করেন কোয়েল ব্যবসা। বর্তমানে তার খামারের তিনটি শেডে রয়েছে প্রায় ৩হাজার কোয়েল পাখি। শুধু কোয়েল পাখিই নয় এর পাশাপাশি নাঈম পালন করছেন কিছু সংখ্যক সোনালী, লেয়ার ও টারকি মুরগি। এসব মুরগির মাংস ও কোয়েল পাখির ডিম বিক্রি করছেন নিজের খামারে বসেই।

রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সখের বশে ২০২০ সালে কোয়েল পালন শুরু করে খামারী নাইম। ডিমের চাহিদা এবং মাংসের চাহিদা বেশি থাকায় পরিবারের সবার সহায়তায় ধীরে ধীরে বাণিজ্যিক ভাবে কোয়েল খামার গড়ে তোলে লাভবান হচ্ছে। বর্তমানে এ খামারে থাকা ৩হাজার কোয়েল পাখি ডিম দেয়। খামার থেকে প্রচুর
লাভবান হওয়ায় অনেক খুশি কোয়েল খামারী নাঈম, এ সাফল্য দেখে অনেক যুবক আগ্রহী হচ্ছে কোয়েল পাখি পালনে।

মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র জব্বার হোসেন বলেন, নাঈম ভাই একজন সফল কোয়েল খামারী। তার কাছ থেকে ১০০ কোয়েল পাখির বাচ্চা সংগ্রহ করেছি। পড়াশুনার পাশাপাশি কোয়েল পাখি পালন করছি। কলাপাড়া পৌর শহরের মাদ্রাসা শিক্ষক জয়নাল মিয়া জানান, নাঈমের পরামর্শে ২০০ কোয়েল পাখি
সংগ্রহ করেছি। লালন পালনে তেমন বেশি কষ্ট নেই। শিক্ষকতার পাশাপাশি কোয়েল পালন করা যায়। বর্তমানে ৫০ টি কোয়েলে ডিম দেয়।

কলাপাড়া হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জোনায়েদ খান লেলিন জানায়,
প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেড, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম,ফসফরাস, পটাসিয়াম, সোডিয়াম, জিংক, ফলেট, ভিটামিন-এ,ই,ডি ও কোলস্টেরলসমৃদ্ধ কোয়েল পাখির ডিম। মানবদেহের এসব চাহিদা পূরণে কোয়েল পাখির ডিম অপরিহার্য। আমরা বিশেষ করে অপুষ্টিকর শিশুদের বেশি বেশি কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেই।

কলাপাড়া উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা কমল চন্দ্র শীল বলেন, উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিস থেকে নাঈমকে সর ধরনের সুযোগ-সুবিধা এবং সময়োপোযোগী পরামর্শ দেয়া হয়েছে। কোয়েল পালনে ব্যাপক সফল হয়েছেন তিনি। নাইমের মতো আরো অনেক যুবককে সহযোগিতার মাধ্যমে স্বাবলম্বী করে তোলা হচ্ছে।

Nagad