আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৩৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৯, ২০২৩

সারদায় প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহীতে পৌঁছেছেন। রবিবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ১১টা ১৭ মিনিটে তিনি রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে প্রবেশ করেন। প্রধানমন্ত্রী সেখানে শুরু হওয়া ৩৮তম বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।এরপর দুপুরে ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে প্রধান অতিথি হিসেবে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখবেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজশাহী নগরী ও জেলা ইউনিট এ জনসভার আয়োজন করেছে।পাঁচ বছর পর রাজশাহীতে জনসভায় অংশ নেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল মাদ্রাসা মাঠে ইতিমধ্যে দলে দলে সর্বস্তরের লোকজন আসতে শুরু করেছে। সূত্র: প্রতিদিনের বাংলাদেশ

‘আয়ের সঙ্গে পেরে উঠছি না, নিজের এলাকায় চলে যাব’
‘বেচবেন চুল? অই, চুল বেচবেন, চুল?’ ভেঁপু বাঁশিতে আওয়াজ তুলে খুলনা শহরের পথে পথে হেঁকে যান চুলের ফেরিওয়ালা শারিফুল। তবে ‘চুলওয়ালা’ শারিফুলের সকালটা কাটে খেজুর গুড় বিক্রি করে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে গল্লামারী লিনিয়ার পার্ক এলাকায় হল রোড বাজারে প্রতিদিন ভোর থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত খেজুর গুড় বিক্রি করেন তিনি।সেখানেই কথা হয় শারিফুলের সঙ্গে। তাঁর বয়স এখন ৩৭ বছর। বাড়ি চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামে। গ্রামে মানুষ তাঁকে চেনে ‘সার্থক’ নামে। ছোট থেকেই অভাবের সঙ্গে সংগ্রাম তাঁর। ছয় ভাইবোনের বড় সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হতো তাঁর কৃষক বাবাকে। বাবাকে সহযোগিতা করতে গিয়ে কখনোই স্কুলে যাওয়া হয়ে ওঠেনি তাঁর। শারিফুল বলেন, ‘আর্থিক অবস্থায় কুলায়নি, তাই পড়ালেখা হয়নি। খাইটে খাওয়া লাগিছে। ছোটবেলা থেকে গরুর দেখাশুনা করতাম। মোট কথা মাঠে রাখালের কাজ করতাম। বয়স যখন ১৩-১৪, তখন চুয়াডাঙ্গা শহরে রিকশা চালানো শুরু করছি। পাঁচ বছর ধরে প্রতিদিন সকালে যাইতাম আর সন্ধ্যায় চলে আসতাম।’ সূত: প্রথম আলো

সস্তার বিদ্যুৎ এখন গলার কাঁটা

কয়লার দহন মান বা ক্যালরিফিক মান ৪৬০০ হলে বিশ্ববাজারে প্রতি টনের দাম ১৫০ ডলার। জাহাজ ভাড়া ৫০ ডলার যোগ হলে প্রতি টনের দাম বড়জোর ২০০ ডলার হওয়ার কথা। কিন্তু এই মানের কয়লা আদানি গ্রুপ ভারতের ঝাড়খন্ডের গোড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কিনছে ৩৪৭ ডলারে। এতে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম পড়ছে ২৪ টাকা ২৮ পয়সা।অথচ বাংলাদেশের পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৫০৪০ ক্যালরিফিক মানের কয়লা কেন্দ্র পর্যন্ত পৌঁছাতে খরচ পড়ছে ২৪৭ ডলার এবং কেন্দ্রটির ইউনিটপ্রতি ব্যয় পড়ছে ১৩ টাকার কিছু বেশি। পায়রা ও গোড্ডার দৃষ্টান্ত তুলে ধরে এই খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী ২৫ বছর আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎ কিনতে গিয়ে বড় অর্থঝুঁকির মধ্যে পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

ডলার সংকট প্রকট
রোজার পণ্য আমদানি ‘বড়দের’ কবজায়
ব্যাংক ডলারের জোগান না দেওয়ায় ছোট ব্যবসায়ীরা এলসি খুলতে পারছেন না * আমদানি কমেছে অর্ধেক * এলসির তদারকিতে নেমেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

Nagad

ডলার সংকটের কারণে রোজানির্ভর পণ্য আমদানি করতে ছোট ব্যবসায়ীরা এলসি খুলতে পারছেন না। ডলারের সংস্থান করে কেবল বড় ব্যবসায়ীরা এসব পণ্যের এলসি খুলে আমদানি করছেন। এতে রোজানির্ভর পণ্যসহ প্রায় সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের নিয়ন্ত্রণ চলে যাচ্ছে বড় ব্যবসায়ীদের হাতে।
এ কারণে সিন্ডিকেট করে পণ্যের দাম বাড়ানোর সুযোগও রয়েছে তাদের। স্থলবন্দর ব্যবহার করে ভারত ও মিয়ানমার থেকে মূলত ছোট ব্যবসায়ীরা পণ্য আমদানি করেন। এসব স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি কমে প্রায় অর্ধেকে নেমেছে।চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে সার্বিকভাবে আমদানি বাড়লেও ভোগ্যপণ্য খালাসের পরিমাণ কমে গেছে। এতে বাজারে পণ্যের সরবরাহ কমেছে, বাড়ছে দাম। এদিকে ডলার সংকট ও আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বেশি হওয়ায় আমদানি অর্ধেকে নেমেছে। রোজার পণ্যের আমদানি বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংক ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করে ডলারের জোগান বৃদ্ধির পরামর্শ দিলেও এলসি খোলা বাড়েনি।এ পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এলসি খোলার সার্বিক পরিস্থিতি জানতে তদারকি শুরু করেছে। গত ছয় মাসের ব্যবধানে বিভিন্ন পণ্যের মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারে কমলেও ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে পণ্যের আমদানি খরচ বেড়ে গেছে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমার সুফল ভোক্তারা পাচ্ছেন না ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে। সূত্র: যুগান্তর

নদী গিলে খাচ্ছে বেপরোয়া দখলদার

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে দেশের নদ-নদী-জলাশয় উদ্ধারে অধিক গুরুত্ব দিলেও দায়িত্বশীল সংস্থাগুলোর ‘ধীরে চল’ নীতির কারণে নদীর বোবাকান্না থামছেই না। নদী রক্ষায় একের পর এক প্রকল্প এলেও থামছে না দখল, ফিরছে না নদীর প্রবাহ। উল্টো খননের অভাবে নাব্য হারাচ্ছে নদী, অন্যদিকে প্রতিদিনই প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় ভরাট হচ্ছে বিভিন্ন নদীর নতুন নতুন এলাকা। অনেক স্থানে নদী ভরাট করে গড়ে উঠেছে সরকারি স্থাপনাও। বছরের পর বছর গড়ালেও হচ্ছে না নদী দখলদারদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা। ২০১৮ ও ২০১৯ সালের দিকে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের উদ্যোগে ৬৪ জেলায় ৫৭ হাজার ৩৯০ অবৈধ দখলদারের তালিকা করা হলেও অর্ধেকের বেশি নদীখেকোর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নিতে পারেনি দায়িত্বশীল সংস্থাগুলো। উল্টো করোনায় উচ্ছেদ কার্যক্রমে ভাটা পড়ায় ফের শুরু হয়েছে নদী দখলের মহোৎসব। এদিকে বর্তমান সরকার দেশের নদ-নদীগুলো রক্ষা করতে মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় ১৭৮টি নদী খনন ও পুনরুদ্ধার করে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ সচল করার কার্যক্রম শুরু করেছে। এতে খরচ হবে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। একদিকে বিপুল অর্থ ব্যয়ে চলছে নদী রক্ষা প্রকল্প, অন্যদিকে সমানতালে চলছে নদী দখল। সবচেয়ে বেশি দখল হচ্ছে শিকার শিল্প ও বাণিজ্যিক এলাকার নদী। ক্রমেই লম্বা হচ্ছে দখলদারের তালিকা। ২০১৯ সাল নাগাদ নদী রক্ষা কমিশন ৫৭ হাজার ৩৯০ অবৈধ দখলদারের তালিকা দেয়। ২০২১ সালের নভেম্বরে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সংসদে জানান, সারা দেশে নদীর দখলদারের সংখ্যা ৬৫ হাজার ১২৭ জন, যার মধ্যে ১৯ হাজার ৮৭৪ জনকে (৩০.৫২ শতাংশ) উচ্ছেদ করা হয়েছে। সম্প্রতি সরেজমিন ঢাকার আশপাশের নদী পরিদর্শন ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে সারা দেশে নতুন করে নদী দখলের বিস্তর প্রমাণ পাওয়া গেছে। প্রতিদিনই দখল হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। নদীর তলদেশে পাইলিং করে নির্মাণ হচ্ছে মার্কেট। নদীর তীর ভরাট করে প্লট আকারে বিক্রিও হচ্ছে চড়া দামে। নদী ও খাল ভরাট হওয়ায় প্রতি বছর দীর্ঘ বন্যা ও জলাবদ্ধতার কবলে পড়ছে দেশের বিস্তীর্ণ এলাকা। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

প্রধানমন্ত্রীর জনসভা: মিছিল-স্লোগানে মুখর রাজশাহী নগরী

দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আজ রোববার রাজশাহী সফর করছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এদিন দুপুরে নগরীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি। এই জনসভায় যোগ দিতে নেতাকর্মীরা ছোট ছোট মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে সমবেত হচ্ছেন। তাদের স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছে রাজশাহী মহানগরী।আজ সকাল থেকেই রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে মাদ্রাসা মাঠে প্রবেশের মূল গেইটে হাজার হাজার নেতাকর্মীর জটলা দেখা গেছে। সর্বসাধারণের জন্য জনসভাস্থল সকাল ৮টার পর খুলে দেওয়া হয়। একেক নেতার অনুসারীরা নিজেদের পরিচয় জানান দিতে পরিধান করেছেন নানা রঙের টি-শার্ট, গেঞ্জি, টুপি। স্লোগান, বাদ্যযন্ত্রে জনসভাস্থলে সৃষ্টি হয়েছে উৎসবের আমেজ।রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু সাংবাদিকদের বলেন, রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে নেতাকর্মীরা মাঠে আসছেন। বিভাগের আট জেলা থেকে দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী এতে যোগ দিচ্ছেন। সূত্র: সমকাল

২০২২ সালের প্রথম ছয় মাসে পুঞ্জীভূত এফডিআই কমেছে ৫%
বাংলাদেশ থেকে বিদেশী বিনিয়োগ সরে যাচ্ছে?

উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনৈতিক রূপান্তরে সরাসরি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ (এফডিআই)। আশির দশকের পরবর্তী সময়ে ভিয়েতনাম, চীন, মেক্সিকো ও ভারতের মতো দেশগুলোর অর্থনৈতিক সম্প্রসারণে অবদান রেখেছে এফডিআই। বিশেষ করে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, প্রযুক্তি স্থানান্তর ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখার ক্ষেত্রে প্রভাবক হিসেবে কাজ করে থাকে এফডিআই। এক যুগের বেশি সময় আগে ২০০৯-এর শুরুতে আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের সময় দেশে মোট পুঞ্জীভূত এফডিআই (এফডিআই স্টক) ছিল প্রায় ৪৮২ কোটি ডলার। সেখান থেকে বাড়তে বাড়তে ২০২১ সালের শেষে তা প্রথমবারের মতো ২১ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক পেরিয়ে যায়। ওই সময় এফডিআই স্টক পরিমাণ দাঁড়ায় ২ হাজার ১৫৮ কোটি ১৯ লাখ ডলারে। সেখান থেকে প্রায় ৫ শতাংশ বা ১০৭ কোটি ৮৩ লাখ ডলার কমে ২০২২ সালের প্রথমার্ধ শেষে দেশে এফডিআইয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় ২ হাজার ৫০ কোটি ৩৫ লাখ ডলারে। বৈশ্বিক অর্থনীতির দুর্বিপাকে ২০২২ সালের প্রথমার্ধেই সংকটের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। এফডিআই প্রবাহও এ সময় হয়ে ওঠে নিম্নমুখী। পাশাপাশি ঘটতে থাকে বাংলাদেশ থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহারের ঘটনাও। কমে যায় বিদেশী বিনিয়োগের পুঞ্জীভূত পরিমাণ। এর আগে গত দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত দেশে এফডিআই স্টক ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। বর্তমানে ওই ধারাবাহিকতা হারিয়ে এফডিআই প্রবাহে দেখা যাচ্ছে ছন্দপতন। সূত্র: বণিক বার্তা

ব্যয়ে গতি না থাকায় ঢাকার ফাস্ট-ট্র্যাক ট্রানজিট প্রকল্পগুলোর তহবিল কমলো

২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথমার্ধে বাস্তবায়ন কাজে মাত্র ২০ শতাংশেরও কম অগ্রগতি হওয়ায় – ঢাকায় সমন্বিতভাবে দ্রুত রেল পরিবহন সেবাদানের লক্ষ্যে নেওয়া এয়ারপোর্ট – কমলাপুর পাতাল মেট্রোরেল প্রকল্পসহ পাঁচ প্রকল্পের বরাদ্দ – চলতি বছর ৫০ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।সরকারি ও বিদেশি অর্থায়নের অংশসহ ২০২২-২৩ অর্থবছরে এ পাঁচ প্রকল্পে বরাদ্দ ছিল প্রায় ৮ হাজার ২৬৯ কোটি টাকা। এরমধ্যে চার হাজার ১০৫ কোটি টাকা তহবিল কর্তনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সরকারি অর্থায়নের এক হাজার ৫৮৩ কোটি টাকা এবং বিদেশি অর্থায়নের অংশ দুই হাজার ৫২১ কোটি টাকা কমানোর প্রস্তাব রয়েছে। বাস্তবায়ন কাজে ধীর গতি এবং তার ফলে বাজেট হ্রাসের কারণ হিসেবে ভূমি অধিগ্রহণে জটিলতা, দরপত্র আহ্বানে সমস্যা এবং ঢাকার গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ ইত্যাদি ইউটিলিটি লাইনের জটপাকানো দশাকে দায়ী করেছে বাস্তবায়নকারী সংস্থা– ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।তবে সড়ক পরিবহন ও জনপথ বিভাগের বাজেট ব্যবস্থাপনা কমিটি সরকারের ফাস্ট ট্র্যাক এই প্রকল্পগুলোর বরাদ্দ হ্রাসের প্রস্তাবকে ‘হতাশাজনক’ উল্লেখ করে এজন্য ডিএমটিসিএল এর ‘অদক্ষতাকে’ দায়ী করেছে। কমিটির সভা বিবরণী অনুসারে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

গলাকাটা অবস্থায় উদ্ধার নারীর মৃত্যু হাসপাতালে, পুলিশের সন্দেহে স্বামী

গাজীপুরের কোনাবাড়িতে এক নারী শ্রমিককে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে; এ ঘটনায় তার স্বামী জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।রোববার ভোর ৪টায় নগরীর বাইমাইল এলাকার আলাউদ্দিন মিয়ার ভাড়া বাড়ি থেকে ওই নারীকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধারের পর হাসপাতালে মৃত্যু হয়।নিহত ৩০ বছর বয়সী আরজিনা এলাইচ লিজা টাঙ্গাইলের গোপালপুর থানার আলমনগর এলাকার মো. মাসুদ রানার স্ত্রী এবং একই এলাকার আনছার আলীর মেয়ে।গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের কোনাবাড়ি থানার এসআই শাখাওয়াত ইমতিয়াজ জানান, মাসুদ রঙ মিস্ত্রী ও লিজা স্থানীয় তুষুকা নামের পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। মাসুদ পেশায় রঙ মিস্ত্রী হলেও বেশিরভাগ সময়ই তিনি বেকার থাকতেন। নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিভিন্ন সময় ঝগড়া হতো। রোববার রাতেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে তারা একই ঘরে ঘুমাতে যান। ভোর ৪ টার দিকে মাসুদের ঘর থেকে চিৎকার ও গোঙানির শব্দ শুনে বাড়িওয়ালা ও আশপাশের লোকজন সেখানে ছুটে গিয়ে ঘরের মধ্যে লিজাকে ছটফট করতে দেখেন। সূত্র: বিডি নিউজ।

যেসব কারণে বাংলাদেশে গ্যাস অনুসন্ধানে অগ্রগতি নেই

জ্বালানি গ্যাসের দাম বাড়ানোর পরেও বাংলাদেশে শিল্পকারখানা ও ভোক্তা পর্যায়ে গ্যাসের সরবরাহ পুরোপুরি নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। ডলার ও বিশ্ববাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণে একদিকে যেমন এলএনজি আমদানি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে, তেমনি দেশীয় উৎসগুলো থেকেও গ্যাসের উৎপাদন বাড়াতে পারছে না সরকার।দিও প্রাকৃতিক গ্যাস বাংলাদেশের প্রধান খনিজ সম্পদগুলোর অন্যতম।ফলে গ্যাস-নির্ভর বিদ্যুৎ ও শিল্পখাতগুলো নতুন সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। এমনকি গ্যাসের সংকটের কারণে সার কারখানা এবং অনেক শিল্প কারখানাও বন্ধ রাখতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা।বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদনের চিত্রটি এখন কেমন? কেন দেশীয় উৎস থেকে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা যাচ্ছে না? বাংলাদেশে জ্বালানি গ্যাসের মজুদ কতটা আছে?বাংলাদেশে বর্তমানে মোট গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে ২৮টি, যার মধ্যে ২০টি থেকে উৎপাদন করা হচ্ছে। প্রতিবছর এক টিসিএফ করে গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে।পেট্রোবাংলার হিসাব অনুযায়ী, এসব গ্যাস ক্ষেত্রে মোট মজুদ ছিল ২৮ টিসিএফ গ্যাস। সেখান থেকে ১৯ টিসিএফ গ্যাস উত্তোলনের পর বর্তমানে মজুদ রয়েছে ৯.০৬ টিসিএফ ।নতুন গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কার না হলে এই মজুদ দিয়ে আগামী আট থেকে নয় বছর পর্যন্ত উত্তোলন করা যাবে। সূত: বিবিসি বাংলা