২৭ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৮ হাজার কোটি টাকা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৩:৩৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩০, ২০২৩

সরকারের নেওয়া নানান পদক্ষেপের কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে। গত ডিসেম্বরের চেয়ে চলতি জানুয়ারি মাসে প্রবাসী আয় বেশি হওয়ার প্রত্যাশা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন বছরের শুরুতেই রেমিট্যান্সের পালে হাওয়া লেগেছে। চলতি জানুয়ারি মাসের প্রথম ২৭ দিনে ১৬৭ কোটি ৬ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। দেশীয় মুদ্রায় (প্র‌তি ডলার ১০৭ টাকা ধ‌রে) যার পরিমাণ প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা।

গত ডিসেম্বরে মাসের পুরো সময়জুড়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৬৯ কোটি ৯৭ লাখ ডলার। সেই হিসেবে দেশে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৬ কোটি ২০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসছে। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের রেমিট্যান্স আহরণ নিয়ে প্রকাশ করা সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে।

তবে ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ১৭০ কোটি ডলার ছড়িয়ে যাবে।

তথ্য অনুযায়ী, চলতি জানুয়ারি মাসের প্রথম ২৭ দিনে প্রবাসীরা সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে। আলোচ্য এই সময়ে বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৪০ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ২২ কোটি ৬ লাখ মার্কিন ডলার, বিশেষায়িত এক ব্যাংকের মাধ্যমে ৩ কোটি ৮৯ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৫৮ লাখ মার্কিন ডলার।

তথ্য বলছে, সদ্য সমাপ্ত ডিসেম্বর মাসে ১৬৯ কোটি ৯৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। এই পরিমাণ ২০২১ সালের ডিসেম্বরের চেয়ে প্রায় ৭ কোটি ডলার বেশি। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৬৩ কোটি ডলার।

একক ব্যাংক হিসাবে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছে বেসরকারি ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। ব্যাংকটির মাধ্যমে ২৭ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ৩০ কোটি ৮৪ লাখ ডলার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় আসা ব্যাংকটি হলো আল আরাফা ইসলামী ব্যাংক। ব্যাংকটির মাধ্যমে ২৭দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ১০ কোটি ৯৪ লাখ ডলার। আর অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৯ কোটি ১১ লাখ ডলার; রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মধ্যে অগ্রণী সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় সংগ্রহ করা ব্যাংক।

Nagad

এ সময়ে সাত ব্যাংকে কোনো রেমিট্যান্স সংগ্রহ করতে পারেনি। ব্যাংকগুলো হলো – বিডিবিএল, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, বিদেশি খা‌তের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি।