সশরীরে হাজির হয়ে বইমেলা উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৪:৪১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩

আজ বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) উদ্বোধন হতে যাচ্ছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০২৩। তিন বছর পর এবার সশরীরে হাজির হয়ে রাজধানীর বাংলা একাডেমি এবং ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধনী করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে শুরু হবে ফেব্রুয়ারিজুড়ে মাসব্যাপী এই প্রাণের আসর।

বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় বাংলা একাডেমির অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান তিনি। তার সঙ্গে রয়েছেন জাতির পিতার আরেক কন্যা শেখ রেহানা।

বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে এবং রূপা চক্রবর্তী ও শাহাদাত হোসেন নিপুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহাম্মদ নূরুল হুদা।

তিন বছর পর এবার সশরীরে হাজির হয়ে বইমেলার উদ্বোধন করতে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এলেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধনের পর তিনি সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেবেন। উদ্বোধন শেষে বইমেলা ঘুরে দেখার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।

এর আগে ২০২০ সালে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কারণে ঐতিহ্যবাহী বইমেলা শুরু হয় ২ ফেব্রুয়ারি। বৈশ্বিক করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ২০২১ সালে ১৮ মার্চ এবং ২০২২ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বইমেলা শুরু হতে বিলম্ব হয়।

এবার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট জায়গায় বইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১১২টি প্রতিষ্ঠানকে ১৬৫টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৮৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৩৬টি ইউনিট অর্থাৎ মোট ৬০১টি প্রতিষ্ঠানকে ৯০১টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলায় ৩৮টি প্যাভিলিয়ন থাকবে।

Nagad

বইমেলার আঙ্গিকগত ও বিন্যাসে পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিশেষ করে মেট্রোরেল স্টেশনের অবস্থানগত কারণে গতবারের মূল প্রবেশপথ এবার একটু সরিয়ে বাংলা একাডেমির মূল প্রবেশপথের উল্টো দিকে অর্থাৎ মন্দিরগেটটি মূল প্রবেশপথ হিসেবে ব্যবহৃত হবে। গতবারের প্রবেশপথটি বাহির পথ হিসেবে চিহ্নিত থাকবে। এছাড়া টিএসসি, দোয়েল চত্বর এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন অংশে আরো ৩টি প্রবেশ ও বাহিরপথ থাকবে।

এবারের মেলায় ৬০১টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৯০১টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাংলা একাডেমি মাঠে ১১২টি প্রতিষ্ঠানকে ১৬৫টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৪৮৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৩৬টি স্টল বরাদ্দ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তা ছাড়া এ বছর মোট ৩৮টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গত বছর ৫৩৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৭৪টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।

এ ছাড়া লিটলম্যাগাজিন চত্বরে ১৫৩টি স্টল থাকবে, যা ২০২২ সালে ছিল ১২৭টি, ২০২১ সালে ১৪০টি এবং ২০২০ সালে ১৫৫টি। অন্যদিকে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বইমেলা ভেন্যু ও এর আশপাশে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে এবং মেলার ১১ লাখ বর্গফুট জায়গার প্রতিটি স্থান সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে।