দেশের প্রথম পাতালরেল নির্মাণকাজের উদ্বোধন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ১:০১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩

দেশের প্রথম পাতাল মেট্রো রেলের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পাতাল মেট্রোরেলের ডিপো ও লাইন নির্মাণ কাজ বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার পর রূপগঞ্জের পূর্বাচল সেক্টর ৪ এ প্রধানমন্ত্রী এ প্রকল্পের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেছেন। এরপর সুধী সমাবেশে ভাষণ দেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প, নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জের রাজউক কমার্শিয়াল প্লট মাঠে পাতাল মেট্রো লাইন নির্মাণকাজের উদ্বোধন ঘোষণা ও ফলক উন্মোচন করেন তিনি।

বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার এই পাতাল মেট্রোরেল পথ নির্মিত হবে। এটিই মেট্রোরেলের প্রথম পাতাল যাত্রা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সফর কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে সমাবেশস্থলে যোগ দিয়েছেন। সবমিলিয়ে রূপগঞ্জের পুরো এলাকা জুড়ে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর আগমন কেন্দ্র করে রূপগঞ্জের পূর্বাচলে সেক্টর-৪ এ তৈরি করা হয়েছে বিশাল মঞ্চ। সেইসঙ্গে মঞ্চের চারদিকে কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা।

জানা যায়, সাড়ে ৫২ হাজার কোটি টাকা এই প্রকল্পের প্রায় ৩৯ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা আসবে জাইকার সহায়তা থেকে। ২০২৬ সালে পাতালরেলের কাজ শেষ করতে চায় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা।

Nagad

প্রকল্প সূত্র জানায়, দ্বিতীয় মেট্রোরেল হবে উড়াল ও পাতাল পথের সমন্বয়ে। দুটি রুটে ৩১ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এমআরটি লাইন-১ নির্মাণ হবে। এর মধ্যে উত্তরা ও বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত- এই রুটে মাটির নিচ দিয়ে চলবে মেট্রোরেল। এটি ১৯ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার দীর্ঘ।

এই রুটে স্টেশন হবে মোট ১২টি। এগুলো হলো- বিমানবন্দর, বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩, খিলক্ষেত, যমুনা ফিউচার পার্ক, নতুন বাজার, উত্তর বাড্ডা, বাড্ডা, হাতিরঝিল, রামপুরা, মালিবাগ, রাজারবাগ ও কমলাপুর।

আর পূর্বাচল রুটে নতুন বাজার স্টেশনটি হবে পাতালে। এরপর নতুন বাজার থেকে পূর্বাচলের নারায়ণগঞ্জের পিতলগঞ্জ পর্যন্ত ১১ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার হবে উড়ালপথে। এ রুটে আবার স্টেশন হবে নয়টি।

এগুলো হলো- নতুন বাজার, যমুনা ফিউচার পার্ক, বসুন্ধরা, পুলিশ অফিসার্স হাউজিং সোসাইটি, মাস্তুল, পূর্বাচল পশ্চিম, পূর্বাচল সেন্টার, পূর্বাচল পূর্ব, পূর্বাচল টার্মিনাল ও পিতলগঞ্জ ডিপো।

এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এটি নির্মাণ হলে ২০২৬ সাল থেকে দৈনিক আট লাখ যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।