আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৪৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৩

মাস পেরোলেও সব বই পায়নি শিক্ষার্থীরা
রাজধানীর নামকরা বিদ্যালয়গুলোর একটি খিলগাঁও সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এই প্রতিষ্ঠানের পঞ্চম শ্রেণির প্রভাতী শাখার শিক্ষার্থীরা পেয়েছে মাত্র একটি করে বই। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই শাখার এক শিক্ষার্থীর মা শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ক্ষোভের সঙ্গে বললেন, ‘বছরের এক মাস চলে গেল। অথচ আমার ছেলে ইংরেজি ছাড়া আর কোনো বই পায়নি। বাকি বইগুলো কবে পাবে আর সিলেবাসইবা কবে শেষ করবে! বিষয়টি বুঝতে পারছি না।’বিষয়টি নিশ্চিত করে ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দুটি, পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা একটি আর বাকিরা তিন-চারটি করে বই পেয়েছে। আমরা থানা শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছি।তারা জানিয়েছেন, এখনও বই পাননি। বই এলে বাকিগুলোও দেওয়া হবে।’মতিঝিল থানা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোস্তাক আহমদও স্বীকার করলেন বিষয়টি। তিনি বলেন, ‘আমাদের কিছু বই এখনও শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতে পারি নাই।’ সূত্র: প্রতিদিনের বাংলাদেশ

হয়রানির বিষয়ে নিশ্চুপ ৮৫% নারী

ফেসবুক, টিকটক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারীর হয়রানি বেড়েছে। ভুক্তভোগী ৮৫ শতাংশ নারী এসব বিষয়ে নীরব থাকেন। ৯০ শতাংশের বেশি নারী মামলা করতে চান না।পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন, ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ, বেসরকারি সংস্থা অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ এবং বিভিন্ন সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেনের তথ্য অনুযায়ী, এই বিভাগ প্রতিষ্ঠার পর গত দুই বছরে ২২ হাজার ৭৩২ জন নারী সাইবার স্পেসে হয়রানির বিষয়ে যোগাযোগ করেছেন। এর মধ্যে সাত হাজার ৫২৪ জন সব তথ্য জানাতে চাননি। সব ধরনের তথ্য দিয়ে সহায়তা করায় পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ১৪ হাজার ৫৫৭ জনের অভিযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। এখন ৬৫১ জনের অভিযোগ নিয়ে কাজ চলছে। সাইবার অপরাধের কারণে সব বয়সী নারীর নিরাপত্তা কমে যাওয়ায় ২০২০ সালের নভেম্বর মাস থেকে পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন কাজ শুরু করে। তখন থেকে ফেসবুক পেজ, হটলাইন নম্বর ও ই-মেইলে অভিযোগ আসতে শুরু করে। শুরু থেকে ২০২২ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত পুলিশ সাইবার সাপোর্টের ফেসবুক পেজে মোট ২৯ হাজার ৭৮০টি মেসেজ, হটলাইন নম্বরে ৫৬ হাজার ২৬০টি ফোনকল এবং ই-মেইলে ৬৩৫টি অভিযোগ এসেছে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

রিজার্ভ চুরির সাত বছর
তদন্ত শেষ, অপেক্ষা ‘সরকারি সিদ্ধান্তের’
পাঁচ দেশ থেকে পূর্ণাঙ্গ তথ্য এসেছে। তিন দেশের আংশিক বাকি।

সিআইডি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের চার কর্মকর্তা সাক্ষ্য দিতে ফিলিপাইনে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় মতিঝিল থানায় করা মামলার অভিযোগপত্র এখনো জমা হয়নি। ঘটনার সাত বছর পরও ‘সরকারের সিদ্ধান্তের’ অপেক্ষায় এটি আটকে আছে।মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) বলেছে, মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে। তিন দেশ থেকে তথ্য পাওয়ার অপেক্ষায় আছে তারা। এসব দেশের তথ্য পেলে সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে। সিআইডির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেন, রিজার্ভ চুরিতে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, চীন, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, জাপান, শ্রীলঙ্কা ও হংকং—এই আট দেশের অন্তত ৭৬ ব্যক্তির জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। সুইফট সিস্টেমের নিরাপত্তাব্যবস্থা সংরক্ষণে গাফিলতি ছিল—বাংলাদেশ ব্যাংকের এমন ১৩ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে শনাক্ত করেছে তারা। এঁদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন এক শীর্ষ কর্মকর্তা, একজন নির্বাহী পরিচালক (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত), একজন মহাব্যবস্থাপক (জিএম—বর্তমানে ডেপুটি গভর্নর), চারজন যুগ্ম পরিচালক (এঁদের দুজন বর্তমানে উপমহাব্যবস্থাপক), তিনজন উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম—দুজন বর্তমানে জিএম) ও তিনজন উপপরিচালক। ওই কর্মকর্তারা মূলত রিজার্ভ চুরির সুযোগ করে দিয়েছেন। এঁদের কেউ সার্ভার কক্ষ খোলা রেখে, কেউ ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে, কেউবা অনুপস্থিত থেকে হ্যাকারদের সুযোগ করে দিয়েছেন। এসব কর্মকর্তা তখন ফরেক্স রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং, আইটি অপারেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগ, পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগ এবং ব্যাক অফিস অব দ্য ডিলিংস রুমের কর্মকর্তা ছিলেন। সূত্র: প্রথম আলো

যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিবেদন
জানুয়ারিতে সড়ক, রেল ও নৌপথে দুর্ঘটনায় নিহত ৬৪২

Nagad

সারাদেশে গত জানুয়ারিতে সড়ক, রেল ও নৌপথে সর্বমোট ৬৫০টি দুর্ঘটনায় ৬৪২ জন নিহত ও ৯৭৮ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে ৫৯৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮৫ জন নিহত ও ৮৯৯ জন আহত হয়েছে। একই সময়ে রেলপথে ৪৪টি দুর্ঘটনায় ৪৬ জন নিহত ও ৭৮ জন আহত হয়েছে। এ ছাড়া নৌপথে ১৩টি দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত, ১ জন আহত ও ৬ জন নিখোঁজ হয়েছে। এ মাসে ২১৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২০৫ জন নিহত ও ১১৪ জন আহত হয়েছে।আজ শনিবার সকালে প্রকাশিত বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌপথে দুর্ঘটনার সংবাদ পর্যালোচনা করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, ২০২২ সালের জানুয়ারির চেয়ে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে সড়কে দুর্ঘটনা ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়লেও প্রাণহানি ৪ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। তবে আহতের সংখ্যা ১০ দশমিক ০৪ শতাংশ বেড়েছে। সূত্র: সমকাল

দক্ষিণ চট্টগ্রামের উন্নয়নে লাখ কোটি টাকার প্রকল্প সুফল পাবে কি
গোটা দক্ষিণ চট্টগ্রাম অঞ্চলকে (কক্সবাজারসহ) বিদ্যুৎ-জ্বালানি এবং লজিস্টিক হাবের পাশাপাশি সমুদ্র তীরবর্তী শিল্পাঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলতে চাইছে সরকার। হাতে নেয়া হয়েছে একাধিক মেগা প্রকল্প। পরিকল্পনায় রয়েছে আরো কয়েকটি। নির্মাণ হচ্ছে গভীর সমুদ্রবন্দর, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, এলএনজি টার্মিনালসহ একাধিক অর্থনৈতিক অঞ্চল। যদিও এসব এলাকায় সহায়ক অবকাঠামোসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পর্যাপ্ত মাত্রায় নিশ্চিত করা যায়নি। প্রস্তুতিমূলক এক সমীক্ষার ভিত্তিতে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) এক পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, যথাযথ মাত্রায় নগর উন্নয়ন ও অবকাঠামো সুবিধা বাড়ানো না গেলে প্রকল্পগুলো থেকে কাক্ষিত সুফল পাওয়া যাবে না। উল্টো কয়েক লাখ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত প্রকল্পগুলো নিয়ে নতুন করে সংকট দেখা দিতে পারে। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলগুলোর বিভিন্ন উপজেলা, পৌরসভার বর্তমান সক্ষমতা, উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় নাগরিক সুবিধার পর্যাপ্ততা বিশ্লেষণের ভিত্তিতে সমীক্ষাটি চালানো হয়। সূত্র বণিক বার্তা।

এখনও টিয়াপাখি যেখানে ভাগ্য বলে দেয়!

চার বছর আগে পাখিটা কিনেছিলেন সলিম মিয়া। তখন এর বয়স ছিল ১ বছর। তারপর একে শিখিয়ে-পড়িয়ে ভাগ্য গণনার কাজে লাগিয়েছেন। ‘ইন্টেলিজেন্ট পাখি এই টিয়া। দ্রুতই সব শিখে নেয়। অন্য পাখি দিয়ে কাজটা হয় না।’ বলতে বলতে সলিম মিয়া একবার উঠে দাঁড়িয়ে আবার বসলেন। বুঝলাম দীর্ঘসময় বসে থেকে কোমর ধরে গেছে।

তারপর আবার বললেন, ‘দ্যাখেন, মানুষ বিপদগ্রস্ত প্রাণী। সমস্যা সব মানুষের আছে, তা সে রাজা হোক আর প্রজা। কারুর টাকা আছে কিন্তু সন্তান নেই, কারুর সন্তান আছে কিন্তু স্ত্রীর সঙ্গে মিল নেই। বনিবনা বলতে নাই। অনেকে আছে ঘুমের মধ্যে হাসে, কারুর আবার পানি আটকে যায় গলায়। এমনও মানুষ আছে যারা বিয়ে করতে পারছে না। খালি প্যাঁচ লাগে! আমাদের কাছে এরা আসে নিদানের জন্য।’ সলিম মিয়ার কথার মাঝেই আমার চোখ বারবার পাখিটার দিকে চলে যাচ্ছে। বেশ ভালো স্বাস্থ্যের অধিকারী পাখিটি। ঘুরে ঘুরে পেয়ারা আর মটরশুঁটি খাচ্ছে।পাখি দিয়ে ভাগ্য গোনাতে ১০ টাকা লাগে। সলিম মিয়া পাখিটার নাম রেখেছেন মানিক চান। আমি আর কৌতূহল চেপে রাখতে পারলাম না, জিজ্ঞেস করে ফেললাম, পাখি কীভাবে মানুষের ভাগ্য গুনতে পারে?
সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

ঢাকায় জমির দাম আকাশছোঁয়া
♦ আবাসিকে বারিধারা বাণিজ্যিকে মতিঝিলে সর্বোচ্চ ♦ বারিধারায় ৭ কোটি ৭৫ লাখ ♦ মতিঝিলে ২ কোটি ৭৯ লাখ ♦ সরকারিভাবে মূল্য নির্ধারণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে

রাজধানী ঢাকার বারিধারা এলাকাটি ‘কূটনৈতিক পাড়া’ নামে খ্যাত। কূটনীতিকদের বসবাসের সুবিধার্থে নির্মিত এ এলাকায় অনেক দেশের দূতাবাসও রয়েছে। শুধু কূটনৈতিকদের জন্য নয়, সাধারণ ও ডিফেন্স অফিসার্স হাউজিং সোসাইটির (ডিওএইচএস) সদস্যদের আবাসিক এলাকাও এখানে। ‘বসবাসের নিরাপদ জায়গা’ হিসেবে খ্যাত এলাকাটির জমির দাম ঢাকার অন্যান্য এলাকাকে টেক্কা দিয়ে এখন আকাশ ছুঁইছুঁই করছে। আবাসন ব্যবসায়ীদের ২০২১ সালের দাম অনুযায়ী বারিধারা আবাসিক এলাকায় কাঠাপ্রতি জায়গার দাম সবচেয়ে বেশি। এখানে প্রতি কাঠা জায়গার মূল্য গড়ে ধরা হয়েছে ৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। আর বাণিজ্যিক এলাকায় জায়গার দাম বেশি মতিঝিলের। সাব-রেজিস্ট্রারের সবশেষ ঘোষিত মূল্য অনুযায়ী মতিঝিলের জমি কাঠাপ্রতি ২ কোটি ৭৯ লাখ ৪৫ হাজার ৮৮৫ টাকা। তবে সাব-রেজিস্ট্রারের মূল্য এবং বর্তমান বাজারমূল্যের মধ্যে বিস্তর ফারাক। প্রসঙ্গত, সরকারিভাবে জমি এবং আবাসিক ও বাণিজ্যিক প্লটের রেট শিডিউল (মূল্য তালিকা) হালনাগাদের কাজটি করে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। ঢাকার জমি ও প্লটের রেট শিডিউল সবশেষ হালনাগাদ করা হয়েছিল ২০১১ সালে। এর এক যুগ পর তা আবার হালনাগাদের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য এলাকাভেদে গণপূর্ত অধিদফতরের আওতাভুক্ত জমির নতুন বাজারমূল্য নির্ধারণ করার কার্যক্রম চলছে। জমির পাশাপাশি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) আওতাধীন আবাসিক ও বাণিজ্যিক প্লটের দামও ঠিক করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের আওতায় ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য এলাকার জমির বাজারমূল্যও পুনর্নির্ধারণ করা হবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

নিত্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া

রমজানের আগেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। করোনা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ডলার সংকট, ব্যাংকে এলসি খোলা নিয়ে জটিলতা-এ ধরনের নানা অজুহাতে পণ্যের দাম বাড়িয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। এ ধরনের সিন্ডিকেটের হাতেই জিম্মি সাধারণ ক্রেতা। রমজানের পণ্য আনতে যাতে সমস্যা না হয় সেজন্য সরকার বাকিতে পণ্য আমদানির সুযোগ করে দিয়েছে। ব্যাংকগুলোকে এ সংক্রান্ত এলসি খোলার জন্য বিশেষভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর সুফল ব্যবসায়ীরা ভোগ করছেন। কিন্তু বাজারে এর কোনো প্রভাব নেই। নিত্যপণ্যের দাম শুধু বাড়ছেই। মূল্যবৃদ্ধির প্রমাণ দিচ্ছে খোদ সরকারি একাধিক সংস্থা। বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন বলছে, রোজায় আমদানিকৃত পণ্যের দাম বাড়বে ৩০ ভাগ। অপরদিকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের তথ্য হচ্ছে গত বছরের তুলনায় এখনই গড়ে পণ্যের দাম ৫৯ শতাংশ বেশি। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলার পাইকারি ও খুচরা বাজারে দামের প্রভাব আরও প্রকট। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট কৌশল পালটেছে। আগে রোজা শুরু হলে দাম বাড়ত। তখন চারদিক থেকে রব উঠত। সরকারের তৎপরতা আরও বেড়ে যেত। ফলে সিন্ডিকেট বেশিদূর যেতে পারত না। এসব কারণে এখন তারা রোজার দেড়-দুই মাস আগে থেকেই নিত্যপণ্যের দাম বাড়াতে থাকে। প্রথম রোজা পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকে। ব্যবসায়ীদের কৌশলের কারণে ক্রেতাদের সাবধান হতে বলেছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা অনুরোধ জানিয়েছেন, কেউ যেন একসঙ্গে অনেক বেশি পণ্য না কেনে। তাদের মতে, ক্রেতারা সাবধান হলেও এখন থেকেই কঠোরভাবে বাজার তদারকি করতে হবে। অন্যথায় রোজার আগে পণ্যের দাম আরও বাড়বে। ১৫ রমজান পর্যন্ত এটা চলতে থাকবে। সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের রমজান কাটবে অস্বস্তিতে- আমদানি পণ্যের মূল্য ৫৯ শতাংশ বেশি
রোজার বাকি এক মাস ১৭ দিন-সূত্র: যুগান্তর।

বাংলাদেশের সঙ্গেও আদানির কারসাজি
ভারতের ঝাড়খন্ডের গোড্ডায় আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে বাণিজ্যিকভাবে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আসার কথা আগামী ২৬ মার্চ থেকে। শুরুতেই আদানি গ্রুপ শেয়ার কারসাজির মতো গোড্ডা কেন্দ্রের কয়লার দামে কারসাজি শুরু করেছে। জাহাজ ভাড়াসহ গোড্ডায় ব্যবহৃত কয়লার দাম আন্তর্জাতিক বাজারে ২০০ ডলার, আর তারা বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কাছে ৪০০ ডলারে বিক্রির জন্য চিঠি দিয়েছে। প্রকৃত দাম থেকে কারসাজি করে টনপ্রতি ২০০ ডলার বাড়তি নেবে আদানি গ্রুপ। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগ ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র:দৈনিক বাংলা।

অদৃশ্য ‘অনুমোদনে’ ঢাকায় চলছে বাস
রুট পারমিট ছাড়া বাস চালানো অবৈধ। তারপরও রুট পারমিট ছাড়াই রাজধানীতে চলছে দুই সহস্রাধিক বাস। এতে মোটা অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। কোনো অদৃশ্য অনুমোদনে এসব বাস চলছে কি না তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। অন্যদিকে আবার রুট পারমিট না পেয়ে বিভিন্ন কোম্পানি নতুন বাস নামাতে পারছে। এতে গণপরিবহন সংকটও কাটছে না। উল্টো সড়কে বেড়েছে বিশৃঙ্খলা।পরিবহন মালিক সমিতি বলছে, যানজটের কথা বলে প্রায় চার বছর ধরে নতুন বাসকে রুট পারমিট দেওয়া হচ্ছে না। বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটি বলছে, অবৈধভাবে নগরীতে বাস চালানোর সুযোগ নেই। অবৈধ সব যানবাহন বন্ধ করা হবে। বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) বলছে, রুট পারমিট ছাড়া চলাচল নিষিদ্ধ, অভিযানে এসব বাস ডাম্পিং করা হবে। এদিকে রুট পারমিট না থাকায় প্রতিবছর রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বিআরটিএ। নিয়ম অনুযায়ী, এক ও তিন বছরের জন্য রুট পারমিটের ফি নেওয়া হয়ে থাকে। তিন বছরের জন্য বিভিন্ন ভাগে ৫ হাজার ২২৭ থেকে সর্বোচ্চ ১২ হাজার ৪৭২ টাকা ফি নেওয়া হয়। এক বছরের জন্য সর্বনিম্ন ২ হাজার ৭ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৪২২ টাকা ফি নেওয়া হয়। মোটরযানের রুট পারমিটের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিদিন পাঁচ টাকা হারে জরিমানা আদায়ের বিধান রয়েছে। সূত্র: কালবেলা।