আজকের দিনের আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:২৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩

ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক-সিরিয়ায় নিহত বেড়ে ১৭৬
তুরস্কের মধ্যাঞ্চলে সোমবার ভোরে আঘাত হানা ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ১০০ জনেরই প্রাণহানি হয়েছে সিরিয়ায়, আর ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে তুরস্কে।তুরস্ক সরকারের তথ্যমতে, ভূমিকম্পে দেশটির অন্তত ১০টি শহর মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধসে পড়েছে শত শত ভবন। এ পর্যন্ত অন্তত ৭২ জনের প্রাণহানির খবর মিলেছে, আহত হয়েছেন কয়েক শ মানুষ। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমান সোয়লু জানান, ভূমিকম্পে কাহরামানমারাস, হাতায়, গাজিয়ানতেপ, ওসমানীয়ে, আদিয়ামান, মালাত্যা, সানলুরফা, আদানা, দিয়ারবাকির ও কিলিস শহর বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশের অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী সব সংস্থাকে ভূমিকম্পকবলিত এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে এবং সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

বর্ষপূর্তিতে বাড়ছে উদ্বেগ

ইউক্রেন যুদ্ধের নিয়ন্ত্রণ যেন নিয়ম করে হাতবদল হচ্ছে, একবার ক্রেমলিনের হাতে তো আরেকবার কিয়েভের হাতে। গত বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধের শুরুতে নিয়ন্ত্রণ ছিল রাশিয়ার হাতে। কিন্তু সে বছরের মাঝামাঝিতে পশ্চিমা সামরিক সহায়তায় ঘুরে দাঁড়ায় ইউক্রেন, একের পর এক এলাকা পুনর্দখল করতে থাকে। তবে এ গতি আবার কমে আসে সদ্য বিদায় নেওয়া বছরের শেষ তিন মাসে। বিশেষ করে রুশ ভাড়াটে সেনাগ্রুপ ওয়াগনারদের ক্ষিপ্রতার কাছে কিছুটা স্তিমিত হয়েছে ইউক্রেনীয়দের প্রতিরোধ। এদিকে পূর্ব ইউক্রেনে রণক্ষেত্রের পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। কিছুদিন ধরে ইউক্রেনের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ শহর বাখমুত দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী। ইতিমধ্যে পার্শ্ববর্তী এলাকা দখল নিতে শুরু করেছে তারা। আসছে বসন্তে এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানের এক বছর পূর্তিতে রুশ হামলার মাত্রা বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এমনকি ২৩ অথবা ২৪ ফেব্রুয়ারিতেই বড় যুদ্ধের আশঙ্কাও প্রকাশ করেছে পশ্চিমা ও ইউক্রেনীয়রা। সূত্র: দেশ রুপান্তর

তিউনিসিয়ায় আরেকটি অভ্যুত্থানের প্রস্তুতি

তিউনিসিয়ার প্রায় সবাই একটি বিষয়ে একমত সেটি হলো, দুর্বল অর্থনীতিই তাদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা। বিপ্লবের ১২ বছর পরেও দেশটিতে চলছে ব্যাপক অর্থনৈতিক অসন্তোষ। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) দ্বারা নির্ধারিত কঠোর শর্ত অন্ধভাবে মেনে চলার কারণে দেশটিতে একটি স্থিতিস্থাপক এবং প্রগতিশীল গণতন্ত্র গড়ে তোলাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অর্থনৈতিক অসন্তোষের কারণে ২০১১ সালের বিপ্লবের পর থেকে ক্ষমতায় আসা শাসকদের কেউই দেশটির দীর্ঘস্থায়ী অর্থনৈতিক দুর্দশা মোকাবিলায় দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে সক্ষম হননি। ফলে সেই অর্থনৈতিক সংকট চিরস্থায়ী হয়ে গেছে, যা থেকে দেখা দিয়েছে গণতন্ত্রের সংকট। সাম্প্রতিক মতামত জরিপে দেখা গেছে, দেশটির ভঙ্গুর গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়ার প্রতি তিউনিসিয়ার জনগণের বিশ্বাস এবং সমর্থনকে উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল।অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় দেশটির অনেক নাগরিক মনে করেন, রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কোনো গোষ্ঠী এমন নীতি প্রণয়ন করতে সক্ষম নয়, যা দেশের মূল অর্থনৈতিক সংগ্রামের সমাধান করবে। এই অবিশ্বাস গড়ে উঠেছে মূলত উন্নয়নবিমুখ প্রেসিডেন্ট কাইস সাইয়েদের কারণে। তিউনিসিয়ার জনগণ তাকে ত্রাণকর্তা হিসেবে ভেবে কোভিড-১৯ মহামারির প্রথম দিকে নির্বাচিত করেছিল। সূত্র: প্রতিদিনের বাংলাদেশ

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে নিজেদের ট্যাংক ও সময়ের অপচয়ই করছে ন্যাটো
প্রায় এক বছর ধরে ন্যাটোর কাছে অনুনয়-বিনয়ের পর পশ্চিমা নিরাপত্তা জোটটি তাদের মিত্রদেশ ইউক্রেনকে অগ্রসর প্রযুক্তির মেইন ব্যাটল ট্যাংকস (এমবিটিএস) দিতে সম্মত হয়েছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রেক্ষাপটে এ পদক্ষেপ নিয়েছে তারা। কিন্তু এমন এক সময়ে এ সিদ্ধান্ত এসেছে, যখন কিয়েভ দখলে নেওয়ার প্রচেষ্টা অসফল হওয়ায় রুশ বাহিনী পূর্ব ইউক্রেনে নিজেদের অধিকৃত ভূখণ্ড ও ক্রিমিয়া উপদ্বীপে পশ্চাদপসরণ করেছে।কিয়েভ যুদ্ধে বিজয় এবং সেখান থেকে রুশ বাহিনীর পশ্চাৎপদসরণের ঘটনাকে ইউক্রেন মস্কোর সঙ্গে মীমাংসার সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করতে পারত। কিন্তু সেটা না করে বরং উল্টো আক্রমণাত্মক অবস্থানে চলে গেছে। প্রতিরক্ষামূলক যুদ্ধ আক্রমণাত্মক যুদ্ধে মোড় নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইউক্রেনীয়দের দিক থেকে যুদ্ধের হাওয়া বদলে যেতে শুরু করেছে। রিজার্ভ ফোর্স থেকে সাড়ে তিন লাখ সেনা নিয়োগ দিয়ে ইউক্রেনের নড়বড়ে সেনাবাহিনীর ওপর ব্যাপক পাল্টা আঘাতের সক্ষমতা গড়ে তুলেছে রাশিয়া। পুরোপুরি বিপর্যয় যাতে না হয়, সে জন্য ন্যাটো জোট একেবারে শেষ মুহূর্তে তড়িঘড়ি করে এমবিটিএস ট্যাংক পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সূত্র: প্রথম আলো

Nagad

কর্মজীবী মহিলা হোস্টেল
নতুন ভবনে ভাড়া তিন গুণ
ভবনটি উদ্বোধন করা হয়েছে গত আগস্টে। এখনো চালু হয়নি সব সুবিধা। বাড়তি ভাড়ার কারণে অনেকে পুরোনো ভবনে যেতে চাইছেন।

রাজধানীর নীলক্ষেতে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কর্মজীবী মহিলা হোস্টেলের পুরোনো দুটি ভবনে এক কক্ষে চারজনের একটি আসনের ভাড়া মাসে ১ হাজার ১২০ টাকা। পুরোনো ভবনের পাশেই নতুন একটি ১০ তলা ভবন হয়েছে। সেটিতে এক কক্ষে চারজন থাকতে জনপ্রতি ভাড়া ৩ হাজার ৭৪৬ টাকা। অর্থাৎ নতুন ভবনে ভাড়া তিন গুণের বেশি। নতুন ভবনে কক্ষ পুরোনোটির চেয়ে একটু বড়। বাড়তি সুবিধা হলো, এতে বিউটি পারলার, লন্ড্রি ও ব্যায়ামাগারের জায়গা রয়েছে। সমস্যা হলো, উদ্বোধনের ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও এসব সুবিধা চালু হয়নি। কবে চালু হবে, তা-ও নিশ্চিত নয়। নতুন ভবনের বাসিন্দা কর্মজীবী নারীরা বলছেন, ভবনটিতে ঝাড়বাতি ও এলইডি বাতির নির্দেশকের মতো বিলাসিতা করা হয়েছে। কিন্তু যে সুবিধা খুবই জরুরি, সেই ক্যানটিন সুবিধা নেই। খেতে হয় পুরোনো ভবনে গিয়েই। নারীদের জরুরি পণ্য বিক্রির দোকানও নেই। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি এই দাঁড়িয়েছে যে সাধারণ কর্মজীবী নারীদের অনেকে নতুন ভবনের আসন ছেড়ে দিয়ে পুরোনো ভবনে যাওয়ার আবেদন করেছেন। জানতে চাইলে বিষয়টি স্বীকার করেন সম্প্রতি যোগ দেওয়া হোস্টেল সুপার ছামিনা হাফিজ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নতুন ভবনের নির্ধারিত ভাড়া দিতে কারও কারও কষ্ট হচ্ছে। তাঁরাই পুরোনো ভবনে যাওয়ার আবেদন করছেন। সূত্র: প্রথম আলো

বেলুন ভূপাতিত
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নতুন টানাপড়েন

যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে ওড়া চীনা বেলুনটি ভূপাতিত করা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে নতুন করে টানাপড়েন দেখা দিয়েছে। যুদ্ধবিমান দিয়ে সাউথ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যের উপকূলে বেলনুটি নামানোর খবর মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ নিশ্চিত করার পর চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে তীব্র অসন্তোষ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা বলেছে, বেসামরিক চালকবিহীন বেলুনে হামলা করা হয়েছে। পেন্টাগন বলেছে, সংবেদনশীল তথ্য সুরক্ষায় তারা পদক্ষেপ নিয়েছে।
ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, একটি ছোট বিস্ফোরণের পর বেলুনটি সমুদ্রে পড়ে গেছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, এফ-২২ যুদ্ধবিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। উপকূল থেকে ছয় নটিক্যাল মাইল দূরে বেলুনটি নামে। সামরিক বাহিনী এখন বেলুনের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারের চেষ্টা করছে। উদ্ধারকাজে একটি ভারী ক্রেনসহ নৌবাহিনীর দুটি জাহাজ ব্যবহার করা হচ্ছে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

আমদানি সংকট
নিম্নমুখী দামেও অনিশ্চয়তা কাটছে না কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়ছে কয়লার সরবরাহ। অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্তও নিয়েছে বেশকিছু দেশ। স্পট মার্কেটে তাই প্রতি টন কয়লার দাম এখন ২৩৫ থেকে ২৩৬ ডলারে ওঠানামা করছে। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে টনপ্রতি দাম কমেছে ১৭০ ডলারের মতো। জ্বালানি পণ্যটির অস্বাভাবিক এ মূল্যহ্রাসের পরও দেশের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোয় এর সরবরাহ ঠিক রাখা যাবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। বিদ্যমান ডলার সংকট, বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর নানামুখী জটিলতা এবং কয়লা সরবরাহ চ্যানেল নিয়ে উদ্বেগের কারণেই এ অনিশ্চয়তা। অথচ বিদ্যুৎ চাহিদায় কয়লাভিত্তিক প্রকল্পগুলো উৎপাদনে নিয়ে আসার কথাই বারবার বলা হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। জ্বালানিসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্ববাজারে বর্তমানে কয়লার সংকট না থাকলেও দেশের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর জন্য জ্বালানি আমদানির আর্থিক সংকট রয়েছে। ফলে আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেটে পণ্যটির নিম্নমুখী দরকেও কাজে লাগাতে পারছে না। হাতে থাকা জ্বালানি দিয়ে গ্রীষ্ম মৌসুমে উৎপাদনে গেলেও মাঝপথে বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মূলত ডলার সংক্রান্ত জটিলতায় ঋণপত্র খুলতে না পারার কারণেই এ সংকট। এ জটিলতা আগামীতে না কাটলে হুমকির মুখে পড়বে পুরো খাতটিই। তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে জ্বালানি সরবরাহের পথও আগে থেকে নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে দেশের বৃহৎ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোর জন্য দীর্ঘমেয়াদি সুযোগ কাজে লাগানো যেতে পারে। এতে আমদানিতে মূল্যছাড় পাওয়া যায়। তাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচও কম হয়। বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির ক্ষেত্রেও এ ধরনের সুযোগ ও নানা দিক প্রসারিত করা যেতে পারে। সূত্র: বণিক বার্তা।

মোদি-ভারতের উত্থানের সঙ্গেই উত্থান আদানির, এখন হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ছে

গৌতম আদানির বছরের শুরুটা হয়েছিল বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী হিসেবে। বছরের শুরুতে তার শিল্পগোষ্ঠীর বাজারমূল্য মাত্র পাঁচ বছরে ২,৫০০ শতাংশ বেড়ে যায়। খবর দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর। আদানি তখন বলেছিলেন, তার এই উত্থান ভারতের ‘প্রবৃদ্ধির গল্প’ থেকে অবিচ্ছেদ্য। আদানি নিয়মিতই দাবি করতেন, তার প্রতিষ্ঠানগুলোর লক্ষ্য আর দেশের চাহিদা একই। ভারতের প্রভাবশালী নেতা নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে আদানি তার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিদ্যুৎ, বন্দর, খাদ্যসহ অন্যান্য শিল্পে নিয়োজিত করেন। একজন রাজনীতিবিদের সঙ্গে তার চেয়ে বেশি ঘনিষ্ঠতা আর কোনো ধনকুবের বজায় রাখেননি।
এখন যেরকম উল্কার বেগে উত্থান ঘটেছিল, তারচেয়েও দ্রুত গতিতে নিচে নামছে আদানি গ্রুপ। আর এ গোষ্ঠীর পতন ঘটলে তার প্রভাব টের পাবে গোটা দেশ। টালমাটাল হয়ে যাবে ভারতের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিমণ্ডল।
মাত্র এক সপ্তাহে আদানি গ্রুপের বাজারমূল্য কমেছে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি—যা গোষ্ঠীটির মোট মূল্যের প্রায় অর্ধেক। ঠিক যেন বেলুন ফাটল। আর এই বেলুন ফাটার সূচটি এসেছে নিউ ইয়র্কের ছোট্ট একটি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান থেকে—হিনডেনবার্গ রিসার্চ। হিনডেনবার্গ এক প্রতিবেদনে বলেছে, আদানি গ্রুপ স্টক ও হিসাবের বিষয়ে জালিয়াতি করেছে। ভুল তথ্য দিয়ে বাজারকে প্রভাবিত করেছে। এর মাধ্যমে তারা বাজারে নিজেদের শেয়ারের দাম বাড়িয়েছে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

জেনারেল থেকে প্রেসিডেন্ট আবার সে দেশেই মৃত্যুদন্ড

পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও সেনাপ্রধান জেনারেল পারভেজ মোশাররফ ৭৯ বছর বয়সে দুবাইয়ের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। সেনাবাহিনী প্রধান থাকা অবস্থায় তিনি ১৯৯৯ সালে নওয়াজ শরিফ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে সিংহাসন দখল করেন। এরপর ২০ জুন ২০০১ থেকে ১৮ আগস্ট ২০০৮ পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। নওয়াজ শরিফ যিনি তাকে সেনাপ্রধান বানিয়েছিলেন, সেই মোশাররফ নওয়াজ সরকারকে বন্দুকের নলে সরিয়ে দিয়েছিলেন। মোশাররফ দীর্ঘদিন বন্দুকের জোরে শাসন করেছেন। কিন্তু তিনি যখন আবার ক্ষমতা থেকে সরে যান এরপর পাকিস্তানেরই আদালত তাকে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় মৃত্যুদন্ড দেন। তারপর তিনি স্বাস্থ্যের অজুহাতে বিদেশে পালিয়ে যান এবং আর কখনো পাকিস্তানে ফিরে আসেননি। পারভেজ মোশাররফের জন্ম ভারতের দিল্লির দরিয়াগঞ্জে ১৯৪৩ সালের ১১ আগস্ট। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দেশভাগ হলে তার পরিবার করাচিতে চলে যান।ক্ষমতার সর্বোচ্চ চূড়ায় : ১৯৯৮ সালের অক্টোবরে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ দেশটির সেনাপ্রধান হিসেবে পারভেজ মোশাররফকে নিয়োগ দেন। তিনি প্রায় নয় বছর পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু সেনাপ্রধান হওয়ার এক বছরের মাথায় ১৯৯৯ সালে এক রক্তপাতহীন সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নওয়াজ শরিফের সরকারকে উৎখাত করে পাকিস্তানের ক্ষমতা দখল করেন মোশাররফ। তিনি দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করেন। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন।

মোশাররফকে আদর করে মা ডাকতেন পাল্লু
চলে গেলেন পাকিস্তানের শেষ সেনাশাসক

স্বাধীনতা আন্দোলনের আগুনে জ্বলতে থাকা ভারত তখনও অবিভক্ত। ১৯৪৩ সালের ১১ আগস্ট। ভারত সরকারের প্রভাবশালী কূটনীতিক সৈয়দ মোশাররফ উদ্দিনের স্ত্রী বেগম জারিন মোশাররফের কোল আলো করে জন্ম নেন পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট জেনারেল পারভেজ মোশাররফ। অ্যামাইলেইডোসিস নামক বিরল এক রোগে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘ অসুস্থতার পর রোববার দুবাইয়ের একটি হাসপাতালে ৭৯ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি প্রায় ৯ বছর ( ১৯৯৯-২০০৮) পর্যন্ত সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০০১ সালের ২০ জুন পাকিস্তানের ১০ম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়ে ২০০৮ সাল পর্যন্ত এই পদে বহাল ছিলেন। পাকিস্তানের স্বৈরশাসকদের মধ্যে তিনিই ছিলেন শেষ স্বৈরশাসক। জীবনের দুই রঙই নিজ চোখে দেখেছেন তিনি। একসময় ছিলেন প্রতাপশালী সেনাপ্রধান। শুধু পাকিস্তান নয়, ভূখণ্ডের বাইরেও মুখে মুখে ছিলেন সবার। ক্ষমতা হারানোর পর সেই মানুষটিই আবার হয়ে যান অচেনা। যেন কেউ চেনে না তাকে। ছেলেবেলা থেকেই আঁচল ধরে থাকা ছেলেটাকে মা আদর করে ডাকতেন পাল্লু। বন্ধুরা মজা করে ডাকত কাউবয়। পরে তার পরিবার চলে আসে পাকিস্তানের করাচিতে। তত দিনে ভারত পাকিস্তান দুটি আলাদা দেশ। সেখানেই তার বেড়ে ওঠা। জীবনের বড় একটি সময় কাটিয়েছেন ইস্তাম্বুলে। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা থেকে রাজনৈতিক জীবনের নানা চড়াই উতরাই পার করেন তিনি। করাচির সেন্ট পাটরিক্স স্কুলে শিক্ষাজীবন শুরু করেন। এরপর লাহোরের ক্রিশ্চিয়ান কলেজ থেকে গণিত নিয়ে পড়াশোনার পর যুক্তরাজ্যের রয়াল কলেজ অব ডিফেন্স স্টাডিসের ছাত্র ছিলেন। সূত্র: যুগান্তর