আজকের দিনের আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৪৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৩

তুরস্কের ভূমিকম্পের দুই দিন আগেই সতর্ক করেছিলেন গবেষক

তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকপ আঘাত হেনেছে। এরই মধ্যে দেশ দুটিতে মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ৭০০ ছাড়িয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এ সংখ্যা আরও বাড়বে। অথচ একটু সাবধান হলেই ব্যাপক প্রাণহানীর ঘটনা এড়ানো যেত। আর এই সুযোগও ছিল। সোলার সিস্টেম জিওম্যাট্রি সার্ভের (এসএসজিওএস) গবেষক ফ্রাঙ্ক হগারবিটস গত শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এক টুইটবার্তায় বলেছিলেন, আগে হোক বা পরে দক্ষিণ মধ্য তুরস্ক, জর্ডান, সিরিয়া ও লেবাননে রিখটার স্কেলে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানবে। বিশ্লেষণ নির্ভর ভবিষ্যৎবানীর ২ দিন যেতে না যেতেই তুরস্ক ও সিরিয়াতে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানল। আর ঠিক ভূমিকম্পের পরেই হতাহতদের প্রতি শোক জানিয়ে তিনি তার আগের স্টেটমেন্টের কথা স্বরণ করিয়ে দেন।­আর ভূমিকম্পের পূর্বাভাসের বিষয়টি একেবারেই অসম্ভব নয়। নিজের ফেসবুক পেজে এক ভিডিওতে হাশিম আল ঘাইলি জানিয়েছেন, নতুন এক প্রযুক্তি আয়োনস্ফিয়ার যাচাই করে ভূমিকম্পের ৪৮ ঘণ্টা আগে সতর্ক করতে পারে এবং এই অনুমান সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা ৮০ শতাংশের বেশি। আয়োনস্ফিয়ার যাচাইয়ের পাশাপাশি গত ২০ বছরের ভূমিকম্পের ইতিহাসও খতিয়ে দেখা হয়। ফলে আয়োনস্ফিয়ারের পরিবর্তন এ সংক্রান্ত গবেষকরা ধরতে পারে এবং তার আলোকেই ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়া যেতে পারে। সূত্র: প্রতিদিনের বাংলাদেশ

তুরস্ক-সিরিয়ার ভূমিকম্প কেন এত ভয়াবহ

তুরস্ক-সিরিয়ায় আঘাত হানা ভয়াবহ ভূমিকম্পে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিহত মানুষের সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়েছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। এই মাত্রার কোনো ভূমিকম্পকে সরকারিভাবে ‘গুরুতর’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। ভূমিকম্পের ভয়াবহতার ক্ষেত্রে ফল্ট লাইনের বড় ভূমিকার কথা বলা হচ্ছে।
কোনো স্থানে ভূকম্পনের জন্য ফল্ট লাইনের বড় ভূমিকা রয়েছে। ভূত্বকের উপরিভাগের বিশাল খণ্ডকে টেকটোনিক ফল্ট বলা হয়। আর দুটি টেকটোনিক প্লেটের মাঝে থাকা ফাটলকে ফল্ট লাইন বলা হয়। ভূমিকম্প সাধারণত এই ফল্ট লাইনের আশপাশে হয়ে থাকে। গতকালের ভূমিকম্পে তুরস্কের প্রায় ১০০ কিলোমিটার ফল্ট লাইন ভেঙে গেছে। এ কারণেই সৃষ্ট ভূমিকম্পটি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। আর এই ফল্টের কাছাকাছি থাকা ভবনগুলো বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ইনস্টিটিউট ফর রিস্ক অ্যান্ড ডিজাস্টার রিডাকশনের প্রধান অধ্যাপক জোয়ানা ফউর ওয়াকার বলেন, ‘এ রকম প্রাণঘাতী ভূমিকম্প গত ১০ বছরে দুটি ও তার আগের ১০ বছরে চারটি হয়েছে।’ সূত্র: প্রথম আলো

এমন ভোর আসবে কেউ ভাবেনি

‘হঠাৎ খাট কেঁপে উঠল। ঘুম ভেঙে দেখি, আমার রুমমেটও জেগে গেছে। কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না। অনেকের চিৎকার কানে আসছিল। নিজেরা কী করব, ভেবে পাচ্ছিলাম না। আড়াই থেকে তিন মিনিট খাটের ওপরই বসে ছিলাম। পরে শীতের কাপড় পরে রুমমেটকে নিয়ে নিচে নামি। তখন সিঁড়িতে দেখি, ভবনের পলেস্তারা খসে পড়েছে, সিঁড়িও ফাটা, ভবনের অন্তত ছয় জায়গায় ফাটল। এর মধ্যেই বাইরে গিয়ে প্রচণ্ড শীতে কাঁপছিলাম। এমন একটি ভোর তুরস্কের কেউ আশা করেনি হয়তো।’ কথাগুলো বলছিলেন তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পকবলিত প্রদেশ গাজিয়ান্তেপে অবস্থান করা বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ফয়সাল মাহমুদ। তিনি তুরস্কের ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট কমিউনিটি অব গাজিয়ান্তেপ ইউনিভার্সিটির সভাপতি।ফয়সাল গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমি গাজিয়ান্তেপ ইউনিভার্সিটির উম্মে কুলসুম স্টুডেন্ট ডরমিটরিতে থাকি। ১২ তলা ভবনটির পঞ্চম তলার একটি কক্ষে রুমমেট ও আমি ঘুমাচ্ছিলাম। ঘুম ভাঙার পরে আসলে কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না, বাইরে কী হচ্ছে না হচ্ছে। পরে বুঝলাম ভূমিকম্প হচ্ছে। বের হওয়া জরুরি মনে হলেও বাইরে প্রচণ্ড শীতের কথা ভেবে অপেক্ষা করছিলাম। পরে ঝুঁকি নিয়েই বের হই।’ সূত্র: কালের কণ্ঠ

Nagad

অতিরিক্ত অনুরক্ত

বেশি অনুরক্ত হওয়াই কাল হলো জেরির জন্য। অতিরিক্ত ভালোবাসত সে তার মালিককে। সারাক্ষণ তার সঙ্গে সঙ্গে থাকতে চাইত, সুযোগ পেলেই গায়ে গা ঘষত। এমনকি মালিকের ফেরার আশায় দরজায় দাঁড়িয়ে থাকত চার বছর বয়সী মিষ্টি বিড়াল জেরি। আর এই ‘অতিরিক্ত’ বিষয়টিই ভালো লাগেনি তার মালিকের। তাই তো তাকে ছেড়ে দিয়ে গেছেন এক মানবিক সংস্থার কাছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার এই সংস্থাটি সম্প্রতি জেরির একটি ভিডিও পোস্ট করে ইন্টারনেটে। সেখানে জেরির হয়ে একটি চিঠি লিখে দেয় কর্তৃপক্ষ, যার শিরোনাম ছিল ‘অতিরিক্ত অনুরক্ত’। আরও লেখা ছিল, ‘জ্বি, আমি নাকি বেশি অনুরক্ত ছিলাম। আর সে জন্যই আমার মালিকের ভালো লাগেনি আমাকে। আমি তাকে ভীষণ ভালোবাসতাম আর তার কাছে কাছে থাকতে চাইতাম। এটিই আমার অপরাধ। তাই তিনি আমাকে ভালোবাসেননি।’ সূত্র: দৈনিক বাংলা।

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২০,০০০ ছাড়াতে পারে: জাতিসংঘ

তুরস্কের মধ্যাঞ্চল ও উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভয়াবহ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ৪৩০০ জনের বেশি মানুষ নিহতের খবর পাওয়া গেছে, খবর বিবিসির।সোমবার দিনের শুরুতে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের গাজিয়ানতেপে সিরিয়া সীমান্তের কাছে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এরপর একই দিনে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে।
সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপ অঞ্চলের সিনিয়র ইমার্জেন্সি অফিসার ক্যাথেরিন স্মলউড বলেছেন, ভয়াবহ এ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২০,০০০ ছাড়াতে পারে। মৃতের সংখ্যা যখন আনুমানিক ২৬০০ এর মতো ছিল, তখন সংবাদ সংস্থা এএফপিকে ক্যাথেরিন বলেছিলেন, “ভূমিকম্পের ফলে আরও ধসের সম্ভাবনা রয়েছে, তাই প্রাথমিকভাবে হতাহতের যা হিসাব পাওয়া যায়, সত্যিকারে তার চেয়ে প্রায় আটগুণ বেশি থাকে।” “ভূমিকম্পে আমরা সবসময় এটাই দেখি; দুর্ভাগ্যবশত, ভূমিকম্পের পরবর্তী সপ্তাহের মধ্যেই হতাহতের সংখ্যা প্রাথমিক অনুমানের চেয়ে উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে”, আরও যোগ করেন ক্যাথেরিন। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

জেলেনস্কিকে হত্যা না করার প্রতিশ্রুতি পুতিনের

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের শুরুতে নাফতালি বেনেট সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছিলেন। একটি সাক্ষাৎকারে, নাফতালি বেনেট বলেন, ‘আমি জিজ্ঞেস করেছি, এটা কী হচ্ছে? আপনি কি জেলেনস্কিকে হত্যা করার পরিকল্পনা করছেন?’ উত্তরে পুতিন বলেছিলেন, ‘আমি জেলেনস্কিকে হত্যা করব না।’ এরপর বেনেট জেলেনস্কিকে ফোন করে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে জানান। বেনেট বলেন, তিনি ফোনে জেলেনস্কিকে বলি, শুনুন আমি একটা বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসেছি, তিনি (পুতিন) আপনাকে মারবেন না।’ এরপর জেলেনস্কি জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনি কি নিশ্চিত?’ এর উত্তরে বেনেট বলেন, ‘১০০ শতাংশ নিশ্চিত তিনি আপনাকে হত্যা করবেন না।’ বেনেট এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে পুতিনের এই প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়েছেন। শনিবার রাতে একটি ইউটিউব চ্যানেলে তাঁর এই সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয়েছে। মধ্যস্থতা সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে, বেনেট বলেছিলেন তখন পুতিন ইউক্রেনের নিরস্ত্রীকরণের জন্য তাঁর শপথ ত্যাগ করেছিলেন এবং জেলেনস্কি ন্যাটোতে যোগদান না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।বর্ষপূর্তিতে বড় হামলা চালাতে পারে রাশিয়া : ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেস্কি রেজনিকভ বলেছেন, চলতি মাসেই রাশিয়া তাঁর দেশে বড় ধরনের একটি হামলা চালাতে পারে। তবে তিনি মনে করেন, ওই সময়ের মধ্যে পশ্চিমা মিত্রদের প্রতিশ্রুত সামরিক সহায়তা না পৌঁছালেও রুশ বাহিনীকে মোকাবিলার মতো যথেষ্ট সামর্থ্য কিয়েভের আছে। রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ওলেস্কি রেজনিকভ এসব কথা বলেছেন। গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। রাশিয়ার হামলা মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা মিত্ররা ইউক্রেনকে ট্যাংক, পদাতিক যুদ্ধযানসহ কোটি কোটি ডলার মূল্যের নতুন সামরিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে রাশিয়া বড় ধরনের হামলা চালানোর আগে সব সহায়তা না-ও পৌঁছাতে পারে বলে মনে করছে কিয়েভ। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে যে হুশিয়ারি দিলেন জাতিসংঘ মহাসচিব

রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে বিশ্বকে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেছেন, এই সংঘাত আরও জটিলতর হচ্ছে এবং বিশ্ব সম্ভবত একটি বৃহত্তর যুদ্ধের ঝুঁকির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আলজাজিরা জানিয়েছে, ১৯৩ সদস্যবিশিষ্ট জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে সোমবার এমন সতর্কতা উচ্চারণ করেন গুতেরেস। এ সময় ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের নিন্দাও করেন জাতিসংঘপ্রধান। তিনি বলেন, এই যুদ্ধ ইউক্রেনীয় জনগণকে অবর্ণনীয় দুর্দশার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। সেই সঙ্গে বিশ্বব্যাপী গভীর সংকট তৈরি করেছে।
গুতেরেস বলেন, ‘শান্তি প্রক্রিয়ার সম্ভাবনা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে; বিপরীতে আরও উত্তেজনা ও রক্তপাতের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।’জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘আমার আশঙ্কা হচ্ছে— বিশ্ব ঘুমের ঘোরে (স্বপ্ন) একটি বৃহত্তর যুদ্ধের ঝুঁকি দেখছে না; বরং সেটি তাদের চোখের সামনেই তৈরি হচ্ছে।’ সূত্র: যুগান্তর

ভূমিকম্পের পর সিরিয়ায় কারাগার থেকে ২০ কয়েদির পলায়ন

তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি কারাগার থেকে ২০ জন কয়েদি পালিয়ে গেছেন। ধারণা করা হচ্ছে পলাতকরা আইএসআইএল (আইএস) যোদ্ধা। বার্তা সংস্থা এএফপির বরাতে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে আল জাজিরা জানায়, তুরস্কের সীমান্তের কাছে সিরিয়ার রাজো শহরের কারাগার থেকে ২০ জন কয়েদি পালিয়েছেন। এ কারাগারটিতে বন্দি দুই হাজার জনের মধ্যে এক হাজার ৩০০ জন সন্দেহভাজন জঙ্গি সংগঠন আইএসআইএলের (আইএস) যোদ্ধা বলে ধারণা করা হয়। এছাড়া কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীর যোদ্ধাও কারাগারে রয়েছেন। কারাগার কর্মকর্তারা জানান, ভূমিকম্পে রাজো শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সুযোগে বন্দিরা বিদ্রোহ করে কারাগারের কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। এসময় ২০জন কয়েদি পালিয়ে যান। ধারণা করা হচ্ছে পলাতকরা আইএসআইএল (আইএস) যোদ্ধা। সূত্র: সমকাল

মাঝখান থেকে দু’ভাগ হয়ে গেল রানওয়ে

২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে পর পর তিনবার ভূমিকম্পের আঘাত। আর তারই জেরে মাঝখান থেকে দু’ভাগ হয়ে গেল তুরস্কের একটি বিমানবন্দরের রানওয়ে। ফলে বন্ধ হলো বিমান উড্ডয়ন। তুরস্কের হাতাই প্রদেশের বিমানবন্দরে বিপর্যয়ের এই ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ভূমিকম্পের চাপে আড়াআড়িভাবে ওই বিমানবন্দরের রানওয়েতে ফাটল ধরেছে। দু’পাশ থেকে থেকে উঁচু হয়ে ফাটল বরাবর উঠে এসেছে সেই রাস্তা। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষে জানানো হয়, বিমানবন্দরটি বর্তমানে ব্যবহারের অযোগ্য। বিধ্বস্ত বিমানবন্দরের একটি ভিডিও সোশালে পোস্ট করা হয়। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা যায়নি। সোমবার স্থানীয় সময় অনুযায়ী ভোরে ৪টার কিছু পর কেঁপে ওঠে তুরস্ক এবং সিরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। কম্পনের উৎসস্থল ছিল দক্ষিণ তুরস্কে। গাজিয়ানতেপ প্রদেশের পূর্ব দিকে নুরদাগি শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূগর্ভের প্রায় ১৮ কিলোমিটার গভীরে। প্রথম কম্পনের ১১ থেকে ১৫ মিনিটের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার কেঁপে ওঠে লেবানন, সিরিয়া এবং সাইপ্রাসের বিভিন্ন অংশ। সূত্র: দেশ রুপান্তর

চ্যাটজিপিটি কেন সবার আগ্রহের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে?

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই অ্যাপলিকেশনটি আপনার যেকোনো প্রশ্নের উত্তর হাজির করতে পারে। সবচেয়ে অভিনব হলো, প্রচলিত কম্পিউটার সফটওয়্যার বা অ্যাপলিকেশনের বাইরে গিয়ে সেখানে সে নিজের মতো বুদ্ধিমত্তা বা মানবিকতার ছোঁয়াও দিতে পারে।গত বছরের নভেম্বরে তৈরি হওয়ার পর সারা বিশ্বেই এখন চ্যাটজিপিটি নিয়ে একটা আগ্রহ তৈরি হয়েছে। শুধু জানুয়ারি মাসেই বিশ্বের প্রায় ১০ কোটি মানুষ চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করেছে।কিন্তু এটি নিয়ে আগ্রহের পেছনে কারণগুলো কী? কেন চ্যাটজিপিটি অনেকের আশঙ্কার কারণও হয়ে উঠেছে?চ্যাটজিপিটি কী?চ্যাটজিপিটির পুরো নাম চ্যাট জেনারেটিভ প্রি-ট্রেইনড ট্রান্সফর্মার। এটি হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এমন একটি অ্যাপলিকেশন যাকে বলা হয় ‘লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল টুলস’। এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটি চ্যাটবট সিস্টেম বা আলাপচারিতা করার অ্যাপলিকেশন।এটি ইন্টারনেটে থাকা নানা তথ্য-উপাত্ত নিয়ে লিখিত প্রশ্নের জবাব হাজির করে। সে ফরম্যাট বা যেভাবে চাওয়া হয়, অনেকটা সেভাবেই সে এসব উত্তর দেয়। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

‘মনে হচ্ছিল, কেয়ামত শুরু হয়ে গেছে

শক্তিশালী ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা আড়াই হাজার ছাড়িয়েছে। দুর্গত এলাকায় আগামী কয়েক দিনে ভারি বৃষ্টি ও তুষারপাতের শঙ্কা রয়েছে, যাতে ব্যাহত হবে উদ্ধার কাজ-সোমবার ভোররাতে প্রচণ্ড ঝাঁকুনিতে মেলিসা সালমানের ঘুম যখন ভাঙে, তিনি ভেবেছিলেন ‘কেয়ামত শুরু হয়ে গেছে’। ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায় বসবাস করার কারণে তিনি বাড়ি-ঘরে ঝাঁকুনিতে অভ্যস্ত। তবে এদিনটা ছিল অন্যরকম।তুরস্কের কাহরামানমারাস প্রদেশের বাসিন্দা মেলিসা বিবিসিকে বলেন, “আজ যা হয়েছে, তেমন অভিজ্ঞতা আমাদের জীবনে প্রথম। আমরা ভেবেছিলাম কেয়ামত শুরু হয়ে গেছে।”সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে তুরস্ক, সিরিয়া, লেবানন, ইসরায়েল, ফিলিস্তিন ও সাইপ্রাস।ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল সিরিয়া সীমান্তবর্তী তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর গাজিয়ানতেপের কাছে ভূপৃষ্ঠের প্রায় ১৮ কিলোমিটার গভীরে। প্রায় দুই মিনিট ধরে প্রচণ্ড কম্পন অনুভূত হয় বলে জানিয়েছেন দুর্গত এলাকার বাসিন্দারা। সূত্র: বিডি নিউজ