তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্প, মৃত্যু ২৪ হাজার ছুঁইছুঁই

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৯:৪৩ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩

ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ২৩ হাজার ৮৭১ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে তুরস্কে ২০ হাজার ৩১৮ জন। আর সিরিয়ায় ৩ হাজার ৫৫৩ জন। উভয় দেশের কর্মকর্তাদের বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে রয়টার্স।

সকল প্রতিকূলতার মধ্যেও উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে উদ্ধারকর্মীরা। ভূমিকম্পের পাঁচদিন পরও বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসস্তূপে মিলছে জীবিত মানুষ। যেমন তুরস্কে ভূমিকম্পের ১০৪ ঘণ্টা পর এক নারীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

৭ দশমিক ৮ মাত্রার গত সোমবারের ভূমিকম্পে তুরস্কে ১৯৯৯ সালে ১৭ হাজারের বেশি মৃত্যু হওয়া ভূমিকম্পের চেয়ে অনেক বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

বিবিসি জানায়, দুই দেশেই হাজার হাজার ভবন ধসে পড়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের মরদেহ উদ্ধারে উদ্ধারকর্মীরা প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।

গত সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর কেন্দ্র ছিল সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের গাজিয়ান্তেপ শহরের কাছে। পরে আরও কয়েক দফায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

এদিকে গতকাল শুক্রবার দেশটির সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শহর কাহরামানমারাসের কিরিখান এলাকার একটি বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ওই নারীকে বের করে আনে উদ্ধারকর্মীরা। উদ্ধারের পরপরই তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

Nagad

আল জাজিরা জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া ওই নারীর নাম জয়নেপ কাহরামান। বয়স ৪০ বছর। বিশাল ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে তাকে উদ্ধার করে জার্মানি থেকে আসা একদল উদ্ধারকর্মী। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে একটি স্ট্রেচারে করে তাকে বের করে নিয়ে আসা হয়।

এদিকে তুরস্কের ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপ থেকে এক কিশোরীকে জীবিত উদ্ধার করেছে বাংলাদেশের সম্মিলিত উদ্ধারকারী দল। গতকাল শুক্রবার রাতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স থেকে পাঠানো এক বার্তায় তারা জানায়, ১৭ বছর বয়সী জীবিত এক কিশোরী ছাড়াও তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন বাংলাদেশের উদ্ধারকারী দল।

ধ্বংসযজ্ঞ থেকে জীবিত মানুষের সন্ধানে প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন বাংলাদেশের উদ্ধারকর্মীরা। ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে ৪৬ সদস্যের এই দল বর্তমানে ক্যাম্প করে উদ্ধার কাজে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন আদিয়ামান শহরে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রাশেদ ইকবাল জানান, কাজ করতে এসেই সকাল বেলা স্থানীয়দের সহযোগিতায় একজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার কাজ এখনও চলমান রয়েছে।