জালিয়াতি বন্ধে বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তিতে অটোমেশন পদ্ধতি চালু
বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তিতে নতুন পদ্ধতি চালু করেছে। ফলে জালিয়াতি, অমেধাবীদের মেডিকেলে ভর্তির আর কোনো সুযোগ থাকছে না। শুধু তাই নয় এই অটোমেশন পদ্ধতি চালু হলে- অনিয়ম ও অর্থের বিনিময়ে ভর্তির সুযোগ আর থাকছে না। এখন থেক নতুন শিক্ষাবর্ষে ভর্তি প্রক্রিয়াও হবে সফটওয়্যারে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, এবার এমবিবিএস ভর্তিতে পাস নম্বর ৪০ হলেই হবে না, মেধাক্রমে থাকতে হবে ৩০ হাজারের মধ্যে।
এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা ১০ মার্চ। ৩৭টি সরকারি মেডিকেলে আসন ৪ হাজার ৩৫০টি। আর ৭২টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাবেন ৬ হাজার ১৬৮ জন।
গত বছর মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ লাখ ৩৯ হাজার শিক্ষার্থী । ৪০ নম্বর পেয়ে পাস করে ৭৯ হাজারেরও বেশি। যেখানে মোট আসন ১০ হাজার ৫১৮টি।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক টিটো মিঞা গণমাধ্যমকে জানান, এবারও পাস নম্বর থাকছে ৪০। তবে শুধু পাস করলেই হবে না, থাকতে হবে মেধাক্রমে ৩০ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে। সরকারি মেডিকেলে ভর্তির পর বেসরকারিতেও মেধা অনুযায়ী ভর্তির জন্য যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করবে বলে জানান তিনি।
অধ্যাপক ডা. টিটো মিয়া আরও জানান, বেশি টাকায়, এমনকি পাস না করা শিক্ষার্থীদেরও ভর্তির অভিযোগ ছিল অনেক বেসরকারি মেডিকেলের বিরুদ্ধে। এবার ভর্তির বিষয়টি আর কলেজ কর্তৃপক্ষের হাতে থাকছে না। মেধাক্রম অনুযায়ী কলেজ নির্ধারণ হবে সফটওয়ারে।
বেসরকারি মেডিকেলে পাঁচ ভাগ অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীকে বিনা খরচে ভর্তির বিধান আছে। কিন্তু তদবির ও দুর্নীতির কারণে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। জালিয়াতি বন্ধে ফ্রি কোটাও নিয়ন্ত্রণ হবে কেন্দ্রীয়ভাবে।