আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর
অবহেলায় অরক্ষিত ছয় বিমানবন্দর
গরু চরে এয়ারপোর্টের জমিতে, কোথাও হচ্ছে ধান ও মাছের চাষ
দেশের ছয়টি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর অরক্ষিত অবস্থায় অব্যবহৃত পড়ে আছে। কোনোটিতে ৫০ বছর ধরে কোনো বিমান ওড়ে না। সিদ্ধান্তহীনতায় আটকে আছে কোনোটির উন্নয়ন কার্যক্রম। খানজাহান আলী বিমানবন্দরে নেই রানওয়ে, টার্মিনাল। ৭০০ একর জমিতে ধান চাষ, মাছের খামার ও গরু চরে। কুমিল্লা বিমানবন্দরের রানওয়েতে ঘাস গজিয়েছে। গরু চরে ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দরে। অব্যবহৃত থেকে কয়েকটি বিমানবন্দরের নেভিগেশন সরঞ্জাম অকেজো হয়ে গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে এসব বিমানবন্দর আবার পরিচালনা করা গেলে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়ত। অনেক দূরবর্তী এলাকার যোগাযোগ হতো স্বাচ্ছন্দ্যময়। দেশের বিমানবন্দরগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের ১৫টি বিমানবন্দরের মধ্যে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ ওঠানামা করে এমন বিমানবন্দর রয়েছে আটটি। এর মধ্যে তিনটি আন্তর্জাতিক, পাঁচটি অভ্যন্তরীণ। বাকি ছয়টি বিমানবন্দরই পরিত্যক্ত ও অরক্ষিত। শুধু তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরটি সামরিক প্রয়োজনে ব্যবহার করে তিন বাহিনী। সেটির কোনো বাণিজ্যিক ব্যবহার নেই। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।
নাগালের বাইরে ‘সস্তা’ ডাল
রাজধানীর মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় খাবারের হোটেলের ব্যবসা ফারুক হোসেনের। ১৫ বছর ধরে ছোট্ট এ ব্যবসার আয়ে চলে তাঁর সংসার। এক বছর আগেও তিনি ভাতের সঙ্গে ক্রেতাকে বিনামূল্যে পাতলা মসুর ডাল দিতেন। এখন প্রতি বাটি ডাল বিক্রি করেন ১০ টাকায়। কারণ, বছরখানেক আগে সব ধরনের ডালের দাম ৫০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে থাকলেও এখন গিয়ে ঠেকেছে ৭৫ থেকে ১৪০ টাকায়। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেশি মসুর ডাল ১৪০, ভারতের মসুর ডাল ১২৫, মুগ ডাল ১৩০, খেসারি ডাল ৯০ ও বুটের ডাল ৭৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। রমজান ঘিরে দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের। সেক্ষেত্রে ইফতার পণ্যের অন্যতম এ উপকরণের চড়া দাম আরও ভোগাবে ভোক্তাকে। বিশ্ব ডাল দিবস উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার রাজধানীতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে সেমিনারে জানানো হয়, দেশে বছরে ২৬ লাখ টন চাহিদার বিপরীতে ডাল উৎপাদন হয় ১০ লাখ টন। আমদানি করতে হয় ১৪ লাখ টন। এতে বছরে খরচ হচ্ছে ৬ থেকে ৭ হাজার কোটি টাকা। তানজানিয়া, মোজাম্বিক, মিয়ানমার থেকে মুগ ডাল আমদানি করা হয়। রোজা এলে প্রতি বছর বিশ্ববাজারে ছোলার দাম বেড়ে যায়। এই সুযোগে মিয়ানমার ও অস্ট্রেলিয়াও ছোলার ডালের দাম বাড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে, মসুর ডালের চাহিদা পূরণে চেয়ে থাকতে হয় নেপাল, চীন, কানাডা, তুরস্কসহ বেশ কয়েকটি দেশের দিকে। সূত্র: সমকাল
নতুন দল গঠনের ইচ্ছা আছে হিরো আলমের, আনতে চান পরিবর্তন
কোনো রাজনৈতিক দলে যোগদান নয়, ভবিষ্যতে নিজেই নতুন দল গঠনের ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন বগুড়ার দুটি আসনের উপনির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। এখন যেসব রাজনৈতিক দল আছে, সব একই রকমভাবে চলছে উল্লেখ করে তিনি বলছেন, দল করলে পরিবর্তন আনতে চান। নতুন কিছু দিতে চান।
জার্মানিভিত্তিক গণমাধ্যম ‘ডয়চে ভেলে’র বাংলা বিভাগের ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত এক টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটির গতকাল শুক্রবার রাতে প্রচারিত পর্বের বিষয় ছিল ‘রাজনীতির সংস্কৃতি ও হিরো আলম’। অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ডয়েচে ভেলে বাংলা বিভাগের প্রধান খালেদ মুহিউদ্দীন হিরো আলমের কাছে জানতে চান, হিরো আলমের রাজনৈতিক লক্ষ্য কী? সূত্র: প্রথম আলো
গ্যাস কয়লা ও জ্বালানি তেল আমদানি কম
ডলার সংকটে বিপর্যস্ত বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাত
আগামী গরমে লোডশেডিং চরম আকার ধারণের শঙ্কা * ব্যাংক ডলার দিতে না পারায় জ্বালানি আমদানির এলসি হ্রাস
ডলার সংকটে চরম বিপর্যয়ের মুখে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে গ্যাস, কয়লা ও জ্বালানি আমদানি। ফলে গ্যাস, কয়লা ও তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর উৎপাদন কমে গেছে। বন্ধ হয়ে গেছে বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী গরমে ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে পড়বে দেশ। গ্যাস সরবরাহ কম থাকায় ইতোমধ্যে ক্ষতির মুখে পড়েছে দেশের শিল্প খাত। আগামী মার্চ থেকে গরম পড়লে বিদ্যুতের চাহিদাও বাড়বে। তখন লোডশেডিং বাড়বে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামী জুনের মধ্যে ডলার সংকটের কোনো সমাধান হচ্ছে না। এমন কী চলতি বছরের শেষ পর্যন্তও এ সংকট থাকতে পারে। আর তাতে গ্যাস, কয়লা ও জ্বালানি তেল আমদানি বাধার মুখে পড়বে। যদিও প্রধানমন্ত্রী শিল্পের চাকা সচল ও বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে সব ধরনের জ্বালানি আমদানির জন্য ডলার সংস্থানের নির্দেশ দিয়েছেন। সে মোতাবেক ইতোমধ্যে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী মাসের মধ্যে এলএনজি ঢাকায় পৌঁছার কথা রয়েছে। সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক বাজারে সব ধরনের জ্বালানির দাম গত এক বছরের তুলনায় এখনো প্রায় দ্বিগুণের বেশি। যদিও গত জুলাইয়ের তুলনায় দাম কিছুটা কমেছে। আরও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। সূত্র: যুগান্তর।
৭ দিনেই ৩৩ কোটি ডলার বিক্রি, আইএমএফের ঋণ পেয়েও কমছে রিজার্ভ
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহেই বিক্রি করা হয়েছে ৩৩ কোটি ডলার। ফলে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের প্রথম কিস্তি ৪৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার পাওয়ার পর রিজার্ভ বেড়ে স্বস্তির যে আশা জাগিয়েছিল, তা ফিকে হয়ে গেছে। ফের কমতে শুরু করেছে রিজার্ভ। গত বৃস্পতিবার দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। গত ১ ফেব্রুয়ারি আইএমএফের ঋণের প্রথম কিস্তি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভে যোগ হওয়ার আগে রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার।জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) নভেম্বর-ডিসেম্বর মেয়াদের ১১২ কোটি (১.১২ বিলিয়ন) ডলার আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে ৩২ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছিল। তার আগে ছিল ছিল প্রায় ৩৪ বিলিয়ন ডলার। সূত্র: দৈনিক বাংলা।
ডলার সংকট
বাংলাদেশী ব্যাংকগুলোর বিদেশী হিসাবে ডলার ধারণ কমেছে
বৈদেশিক বাণিজ্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বড় দুটি কেন্দ্র হলো যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। আমদানি দায় পরিশোধ ও রফতানি আয় গ্রহণের ক্ষেত্রে দেশ দুটির ব্যাংকগুলো মাধ্যম হিসেবে ব্যবহূত হয়। এজন্য যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা রাখে বাংলাদেশী ব্যাংকগুলো। প্রাপ্ত তথ্য বলছে, গত এক বছরে বাংলাদেশী ব্যাংকগুলোর বিদেশী বা ‘নস্ট্রো’ হিসাবে ডলারের পরিমাণ প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের ডিসেম্বর শেষে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকগুলোয় বাংলাদেশী ব্যাংক ও ব্যক্তির সংরক্ষিত নগদ অর্থের স্থিতি ছিল ৬৬৬ কোটি বা ৬ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলার। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে এ স্থিতির পরিমাণ ৩ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। প্রায় একই পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে যুক্তরাজ্যের ব্যাংকগুলোয়ও। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের তথ্য বলছে, ২০২১ সালের ডিসেম্বর শেষে যুক্তরাজ্যের ব্যাংকগুলোয় বাংলাদেশী ব্যাংক ও ব্যক্তির অর্থের পরিমাণ ছিল ২ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার। গত বছরের সেপ্টেম্বরে এ অর্থের পরিমাণ কমে ১ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশী ব্যাংক ও ব্যক্তির নগদ অর্থ কমেছে ৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি। সূত্র: বণিক বার্তা।
২০২২ সালে অর্থ লেনদেন-সংক্রান্ত রেকর্ড ৪২০০ কোটি টাকার মামলার নিষ্পত্তি
গত বছর ব্যবসায়িক ও ব্যক্তিগত লেনদেন-সংক্রান্ত রেকর্ড ৩,৩৪৮টি মামলার বিরোধ নিষ্পত্তি করেছেন দেশের অর্থ ঋণ আদালত। গত বছর মামলাগুলোর নিষ্পত্তি করে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির প্রায় ৪,২০০ কোটি টাকা আদায় করেছেন আদালত। লেনদেন-সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তির মাধ্যমে গত পাঁচ বছরে এটিই উদ্ধারকৃত সর্বোচ্চ অর্থ।
গত বছর নিষ্পত্তি হওয়া মামলাগুলোর মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ মামলাই ব্যবসায়িক লেনদেন-সংক্রান্ত।২০২১ সালে অর্থ ঋণ আদালতের মাধ্যমে ২,১৮০টি মামলার নিষ্পত্তি করে প্রায় ২,৬০০ কোটি টাকা আদায় করা হয়েছে। এসব মামলা নিষ্পত্তি করে রায় দিয়েছেন দেশের ৬৪ জেলার সিনিয়র সহকারী জজ, যুগ্ম জজ ও অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
আফসোস নিয়েই পৃথিবী ছেড়ে গেলেন সনির বাবা
ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন হাবিবুর রহমান ভুইঞা, তার আফসোস ছিল মেয়ের খুনের জন্য দায়ীদের শাস্তি দেখতে না পারায়। সেই আফসোস নিয়েই চিরবিদায় নিলেনি তিনি।দুই দশক আগে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে প্রাণ হারানো বুয়েট শিক্ষার্থী সাবেকুন নাহার সনির বাবা হাবিবুর। শনিবার সকালে ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে মারা যান তিনি। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে বেশ কিছুদিন ধরে তিনি এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হাবিবুর রহমানের ভাগ্নে অধ্যাপক মামুন মোল্লা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তাকে গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের বিজেশ্বর গ্রামে বাবা-মায়ের পাশে সমাহিত করা হবে।২০০২ সালের ৮ জুন বুয়েটে দরপত্র নিয়ে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান কেমিকৌশল বিভাগের ৯৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী সনি। সূত্র: বিডি নিউজ
বার্মা প্লেট এগুচ্ছে, বাংলাদেশসহ যেসব দেশ ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে আছে
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে, আহত হয়েছে আরও হাজার হাজার মানুষ।এ ভূমিকম্পকে সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পগুলোর একটি বলে মনে করা হচ্ছে।বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওই এলাকার মাটির নীচে থাকা অ্যারাবিয়ান প্লেটটি উত্তর দিকে সরে গিয়ে আনাতোলিয়ান প্লেটে ধাক্কা দিলে এই ভয়াবহ ভূমিকম্পের তৈরি হয়।একই কারণে ১৮২২ সালেও এখানেই একদফা ভূমিকম্প হয়েছিল। বিশ্বের যেসব এলাকা ভূমিকম্প প্রবণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে, তুরস্কের এই এলাকাটি তার অন্যতম। ভূমিকম্প কীভাবে হয়-ভূতত্ত্ববিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ অবজারভেটরির সাবেক পরিচালক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ‘’পৃথিবীর ভূ-পৃষ্ট আলাদা আলাদা বিট বা প্লেট টেকটোনিক দিয়ে তৈরি হয়েছে, যা নিচের নরম পদার্থের ওপরে ভাসছে। সারা পৃথিবীতে এরকম বড় সাতটি প্লেট এবং অসংখ্য ছোট ছোট সাব-প্লেট রয়েছে। ‘’ সূত্র: বিবিসি বাংলা।
উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ
সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকলেও প্রণয়ন হয়নি আইন
সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি অপসারণে সংবিধান সংশোধন, আইন তৈরি ইত্যাদি পর্যন্ত গড়ালেও বিচারক নিয়োগের কোনো আইন নেই। সংবিধানে প্রদত্ত ক্ষমতায় রাষ্ট্রপতি বিচারক নিয়োগ দেন। এক্ষেত্রেও সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ নেওয়ার প্রথা রয়েছে। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকলেও স্বাধীনতার পর থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত কোনো আইন প্রণয়ন হয়নি। এ ব্যাপারে নীতিমালা করতে উচ্চ আদালতের সুস্পষ্ট নির্দেশনা এবং আইন কমিশনের সুপারিশ থাকলেও এখন পর্যন্ত সেটি বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে বিচারক নিয়োগে স্বচ্ছতা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে যে প্রশ্ন উঠছে, সে বিষয়টির সমাধান হয়নি বলেও মতামত দিয়েছেন আইন বিশ্লেষকরা।বিশেষজ্ঞদের অভিমত, যোগ্যতর ব্যক্তিকে বাছাই করার স্বার্থে বিচারপতি নিয়োগে আইন করা জরুরি হলেও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে স্বাধীনতার পর থেকে সব সরকারই তা উপেক্ষা করেছে। সূত্র: জাগো নিউজ