ড্রেসিংরুমে ধূমপান: শাস্তির মুখে পড়তে পারেন সুজন

চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ-বিপিএলে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে সান্ত্বনার জয় নিয়ে বিদায় নিয়েছে খুলনা টাইগার্স। তবে তাদের এই জয় ছাপিয়ে গেছে খুলনার প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের মাঠের ড্রেসিংরুমে ধূমপান কাণ্ডে।

শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফরচুন বরিশালের দেওয়া ১৭০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে জয় থেকে মাত্র ৪ রানের দূরত্বে ছিল খুলনা টাইগার্স।

তখনই সরাসরি সম্প্রচার হওয়া টিভি ক্যামেরার ফ্রেমে ধরা পড়ে খালেদ মাহমুদ সুজনের এই দৃশ্য। ভিডিওতে দেখা গেছে, খুলনার প্রধান কোচ সুজন ম্যাচের গতিবিধি পর্যালোচনা করার পাশাপাশি ড্রেসিংরুমে ধূমপান করছেন। যে ভিডিও মুহূর্তেই নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর বাংলাদেশ দলের সাবেক এই ক্রিকেটার ও বর্তমান টিম ডিরেক্টরকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তমুল সমালোচনা হচ্ছে।

এত শুধু লোক নিন্দার মুখে পড়া নয়, অনিবার্য শাস্তির অপেক্ষায় রয়েছেন সুজন। এই ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পালের কাছে সুজনের এই ঘটনার বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা জানতে চাওয়া হয়।

তবে সাবেক এই ক্রিকেটার কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে বলছেন, ড্রেসিংরুমে এই ধরণের ঘটনা অবশ্যই ক্রিকেটীয় স্পিরিটের পরিপন্থী। দেবব্রত পাল আরও বলেন, শেরে বাংলা স্টেডিয়াম থেকে খেলা শেষে ফেরার পর মোবাইলে ফুটেজটি দেখেছি। এ নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে পারবো না।

এই ক্ষেত্রে খালেদ মাহমুদ সুজনের কী শাস্তি হতে পারে? জানতে চাইলে বরিশাল-খুলনা ম্যাচের রেফারি ও সাবেক ক্রিকেটার দেবব্রত পালের কথা, ‌“আমি শুধু ফুটেজ দেখেছি। এ নিযে এখনই কোনো মন্তব্য করতে পারবো না।”

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ক্রিকেট মাঠে এই ধরনের ঘটনায় সাধারণত বয়সে তরুণ ও অনভিজ্ঞদের কেউ এমন কাজ করলে তাকে মৌখিকভাবে সতর্ক করে দেওয়া হয়। কিন্তু খালেদ মাহমুদ সুজন তো অনেক অভিজ্ঞ। জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও অধিনায়ক ছিলেন। জাতীয় দলের ম্যানেজার, সহকারী কোচের ভূমিকায়ও ছিলেন। টিম ডিরেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ পদেও আসীন। আর বিপিএলের শুরু থেকেই তিনি কোচ। তাই সুজনের অর্থদণ্ড হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। ম্যাচ ফির ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কাটা যেতে পারে বলে জানিয়েছে সূত্র।

সারাদিন/১১ ফেব্রুয়ারি/এমবি