রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৩:০১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৩

দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন দুদকের সাবেক কমিশনার এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। তিনি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদেরও সদস্য। ছবি: ফোকাস বাংলা।

দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন দুদকের সাবেক কমিশনার এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। তিনি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদেরও সদস্য।

রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাকে নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দপ্তরে যান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে একটি টিম। সেখানে মনোনয়ন ফরম তোলা ও জমাদানের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা হয়।

আজ রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের কাছে তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এরপর এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করলে প্রধানমন্ত্রী তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। এসময় বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রীর ছোটবোন শেখ রেহানাও উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে সাহাবুদ্দিনকে মনোনয়ন প্রদানের বিষয়ে আওয়ামী লীগ জানিয়েছে, সংসদীয় দলের বৈঠকে দলের সভাপতি, সংসদীয় দলের নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি যে দায়িত্ব অর্পন করেছিলেন, তার আলোকে তিনি এই মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছেন।

সাহাবুদ্দিন চুপ্পু পেশায় একজন আইনজীবী। আওয়ামী লীগের বর্তমানে উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য।

মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ১৯৪৯ সালে পাবনায় জন্মগ্রহণ করেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের মাধ্যমে শিক্ষাজীবন শেষ করেন তিনি। মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন একাধারে আইনজীবী, অধ্যাপক, সাংবাদিক ও বিচারক ছিলেন। ৭৫র’ পর বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করায় ২০ আগস্ট সামরিক আইনের ৭ ধারায় আটক হয়ে প্রায় তিন বছর কারাগারে কাটিয়েছেন তিনি।

Nagad

ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন তিনি। ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) বিভাগে যোগদান করেন এবং ১৯৯৫ সালে জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।

এছাড়া মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বিএনপি-জামায়াত জোটের কর্মকাণ্ডের অনুসন্ধানে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিলে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ছিলেন। অধুনালুপ্ত বাংলার বাণী পত্রিকার পাবনা জেলা প্রতিনিধি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। পাবনা প্রেস ক্লাব ও অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরির আজীবন সদস্য তিনি।

ব্যক্তিগত জীবনে এক ছেলে সন্তানের বাবা সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। তার স্ত্রী প্রফেসর ড. রেবেকা সুলতানা সাবেক যুগ্ম সচিব। তিনি বর্তমানে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।