‘সব সম্পদ আমাদের অর্থনীতিতে কাজে লাগানো একান্ত অপরিহার্য’

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৫৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৩

সংগৃহীত-ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের যেমন সমুদ্র আছে তেমন বিশাল উপকূলীয় অঞ্চল রয়েছে। এই অঞ্চলের সব ধরনের নিরাপত্তা বিধান করা, সব সম্পদ আমাদের অর্থনীতিতে কাজে লাগানো একান্ত অপরিহার্য। ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে এদেশে আমাদের যে অধিকার আছে তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করি। ১৯৭৫ সালের পরে যারা অবৈধভাবে সরকার গ্রহণ করেছিল তারা কিন্তু এই ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। আমি জানি না, তাদের এই ব্যাপারে ধারণা ছিল কিনা’।

সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্থনীতি যখন দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছিল তখন করোনা সারা বিশ্বের অর্থনীতিকে স্থবির করে দিয়েছিল। সেখান থেকে উত্তোরণের মধ্যেই শুরু হলো ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। ফলে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি, প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে। এ অবস্থায় আমাদেরকেও মিতব্যয়ী হতে হবে।

তিনি বলেন, যার যেটুকু জমি আছে, সবটাই কাজে লাগাতে হবে। বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ গড়ার লক্ষ্যে এক ইঞ্চি জমি যেন খালি না থাকে।

সরকারপ্রধান বলেন, সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। বিশ্বব্যাপী যে খাদ্যমন্দা দেখা দিয়েছে তার থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে সবাইকে কাজ করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের উপকূলীয় অঞ্চলে নিরাপত্তার জন্য একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীর প্রয়োজন ছিল, আমরা সেটা করতে পেরেছি। আমাদের কোস্ট গার্ড বাহিনী অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পণ্য ও যাত্রী পরিবহনের নিরাপত্তায় ভূমিকা রাখছে।

Nagad

তিনি বলেন, ভারত এবং মিয়ানমারের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে আমরা বিশাল সুমদ্রসীমা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। সমুদ্রসীমা রক্ষা, মৎস আহরণসহ উপকূলীয় অঞ্চলের সকল নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে কোস্ট গার্ড বাহিনী।

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের উদ্যোগের ফলে ১৯৯৬ সালে কিছু কাজ করে যাই, দ্বিতীয় দফা সরকারে আসার পর থেকে আমরা আবার উদ্যোগ নিই এবং সমুদ্রসীমায় আমাদের যে অধিকার তা নিশ্চিত করি। একদিকে মিয়ানমার, অন্যদিকে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পক রেখেও আমরা আমাদের বিশাল সমুদ্র সীমা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি’।

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির পদকসহ মোট চারটি ক্যাটাগরিতে ৪০ জন কোস্ট গার্ড সদস্যকে পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।