আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:০৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৩

সুন্দরবনে কী কী আছে জানা হয়নি ৫০ বছরেও

একসময় গণ্ডার ছিল দেশে। সেটি ব্রিটিশ আমলের কথা। আর সে সময় সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যের তথ্যভান্ডার করা হয়েছিল বলেই তথ্যটি জানা সম্ভব হয়েছে। -বলছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এমএ আজিজ। সুন্দরবনের প্রাণী নিয়ে জাতীয় জরিপের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে তিনি প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, বিভিন্ন সময় গবেষক ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে বাঘ-হরিণ নিয়ে জরিপ হলেও নতুন করে সুন্দরবনের বন্যপ্রাণীর তথ্যভান্ডার করা হয়নি। বর্তমানে অনেক প্রাণী বিলুপ্তির মুখে। তাই এখনই জীববৈচিত্র্যের তথ্যভান্ডার জানতে জরিপ করা না হলে আগামীতে কোনও প্রাণী বা উদ্ভিদ বিলুপ্ত হলে তা অজানাই থেকে যাবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে লবণাক্ততা বৃদ্ধিসহ একের পর এক ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ সামাল দিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন। নানা প্রতিকূলতার কারণে এরইমধ্যে এই বন থেকে হারিয়ে গেছে গণ্ডার, মিঠাপানির কুমির ও বুনো মহিষসহ নানা প্রজাতির প্রাণী। আরও কয়েক প্রজাতির প্রাণী এখন সংকটাপন্ন। কিন্তু সুন্দরবনে কত প্রজাতির কী কী প্রাণী ও উদ্ভিদ আছে, তা কখনও জানার চেষ্টাই করেনি বাংলাদেশ। গবেষকরা বলছেন, গত একশ বছরে বন্যপ্রাণীর পাশাপাশি এই বন থেকে নীরবে হারিয়ে গেছে নানা প্রজাতির উদ্ভিদ, গাছ এবং নানা প্রজাতির সরীসৃপ ও প্রাণী। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হলেও আজও সুন্দরবনের পূর্ণাঙ্গ জীববৈচিত্র্যের জরিপ করতে পারেনি বনবিভাগ। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু-বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে উদাসীন। সূত্র: প্রতিদিনের বাংলাদেশ

রাষ্ট্রপতি পদ লাভজনক কি না, এই প্রশ্নে বিতর্ক

রাষ্ট্রপতি পদ লাভজনক নাকি লাভজনক নয়—এখন নতুন করে এই বিতর্ক দেখা দিয়েছে। দেশের নতুন নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন একসময় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার ছিলেন। দুদক আইনে বলা আছে, দুদকের কোনো কমিশনার অবসর নেওয়ার পর প্রজাতন্ত্রের কোনো লাভজনক পদে নিয়োগের যোগ্য হবেন না। মো. সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর দুদক আইনের সূত্র ধরে রাষ্ট্রপতি পদ লাভজনক কি না, এই প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ। সংবিধান বিশেষজ্ঞরাও এই প্রশ্নে সবাই একমত হতে পারছেন না। তাঁদের কেউ কেউ মনে করেন, রাষ্ট্রপতি পদ অলাভজনক। তাঁদের বক্তব্য হচ্ছে, রাষ্ট্রপতি একটি সাংবিধানিক পদ এবং এটি লাভজনক পদ নয়। তবে ভিন্নমতও রয়েছে কারও কারও।
রাষ্ট্রপতির পদ লাভজনক অথবা লাভজনক নয়, এমন কিছু সংবিধানে স্পষ্ট করে বলা নেই। সে কারণেই বিষয়টি নিয়ে দেশে বিভিন্ন সময় বিতর্ক হয়েছে। এখন সেই বিতর্কই নতুন করে আলোচনায় এসেছে।সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতা ও অযোগ্যতা সম্পর্কে বলা রয়েছে। সেই অনুচ্ছেদ অনুসারে, ‘কোন ব্যক্তি কেবল রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী হইবার কারণে প্রজাতন্ত্রের কর্মে কোন লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত বলিয়া গণ্য হইবেন না।’ সূত্র: প্রথম আলো

এক গুচ্ছ ভর্তি শেষ না হতেই অন্যটি হাজি

গত বছর থেকে ২২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হলেও কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এখনো তা শেষ করতে পারেনি। এতে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কার্যক্রমও শুরু হয়নি। অথচ পরবর্তী শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।অন্যদিকে গত বছর আলাদাভাবে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রথম সেমিস্টার শেষে দ্বিতীয় সেমিস্টারে উত্তীর্ণ হয়েছেন।২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তির আবেদন শুরু হয়েছিল গত বছরের ১৫ জুন। আগামীকাল বুধবার এই ভর্তি কার্যক্রমের আট মাস পূর্ণ হবে। এর মধ্যে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য ভর্তির আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাইগ্রেশনে দীর্ঘসূত্রতা এই ভর্তিপ্রক্রিয়ায় দেরি হওয়ার অন্যতম মূল কারণ। মেধাতালিকা থেকে শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগের ক্ষেত্রে সময় কমিয়ে আনতে হবে। এভাবে ভর্তিতে দীর্ঘসূত্রতার অবসান ঘটানো সম্ভব। একই সঙ্গে কোনো বিভাগের আসন শূন্য থাকার সমস্যাও থাকবে না। সূত্র: কালের কণ্ঠ

Nagad

শৈত্যপ্রবাহ বইছে ৬ জেলায়

দেশের ছয় জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। জেলাগুলো হলো— পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা ও মৌলভীবাজার। আজ মঙ্গলবার আবহাওয়া অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে। অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. আবদুল হামিদ বলেন, শৈত্যপ্রবাহ খুব বেশি সময় থাকবে না। দুই–একদিন থাকতে পারে। এরপর থেকে তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
এদিকে, রাজধানীতে একদিনে প্রায় তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমেছে। আরও দু-একদিন তাপমাত্রা এমন থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা। আজ ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে, ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সোমবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সূত্র: সমকাল

আমেরিকার আকাশে কি ঘটছে? তত্ত্ব আছে, তবে রহস্যময় বস্তু ভূপাতিত করার উত্তর নেই!

গত শুক্র, শনি ও রোববারে আলাস্কা, কানাডা ও মিশিগানের আকাশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তিনটি অপরিচিত উড়ন্ত বস্তু (ইউএফও) মিসাইল নিক্ষেপ করে ভূপাতিত করেছে। সর্বশেষ বস্তুটি শনিবার প্রথমবারের মতো মন্টানার আকাশে অবস্থান করার কথা জানা যায়। প্রথমে রাডারে কোনো সমস্যা হয়েছে বলে ভেবেছিলেন মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা। কিন্তু রবিবার মন্টানা, উইসকনসিন ও মিশিগানের আকাশে রাডার অপরিচিত বস্তুর সংকেতের কথা জানান দেয়।বস্তুটিকে প্রত্যক্ষ করে এটির অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পর সামরিক কর্মকর্তারা এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পাঠিয়ে এটিকে লেক হুরনের ওপর ভূপাতিত করার আদেশ দেন। আপাতত দুটো বড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে: ওই উড়ন্ত বস্তুগুলো কী ছিল? এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কেনই বা এগুলোকে হঠাৎ করে দেখতে পাচ্ছে এবং অনেকগুলোকে ভূপাতিত করছে? প্রথম প্রশ্নের কোনো উত্তর এখনো পাওয়া যায়নি। মার্কিন কর্মকর্তারা এসব বস্তু কী সেটাই জানেন না, এগুলোর উদ্দেশ্য বা কারা পাঠিয়েছে তা জানা তো আরও দূরের কথা। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

ডলার কেনাবেচায় অননুমোদিত কাজে জড়িয়ে পড়ছে ব্যাংক

ডলারপ্রতি ১০৯ টাকা দিয়ে গত সপ্তাহে কুয়েতের একটি মানি এক্সচেঞ্জ থেকে রেমিট্যান্স কিনেছে দেশের বেসরকারি খাতের একটি ব্যাংক। ২০ লাখ ডলার রেমিট্যান্সের জন্য ব্যাংকটির অতিরিক্ত ব্যয় হয়েছে ৪০ লাখ টাকা। বাড়তি এ খরচকে রেমিট্যান্স ক্রয় হিসেবে না দেখিয়ে দেখানো হয়েছে ব্যাংকের ব্যবসা সম্প্রসারণ ব্যয় হিসেবে। মানি এক্সচেঞ্জটির কাছে ব্যাংকটি অতিরিক্ত অর্থ পাঠিয়েছিল অননুমোদিত ও অবৈধ পন্থায়। দ্বিতীয় প্রজন্মের ওই বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তারা বণিক বার্তাকে জানান, বেশি দাম দিয়ে হলেও রেমিট্যান্সের ওই ডলার কিনতে তারা বাধ্য হয়েছিলেন। ওই দিনই ব্যাংকটিকে প্রায় ৫০ লাখ ডলারের এলসি দায় পরিশোধ করতে হতো। বিদেশী ব্যাংকের কাছে নিজেদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ব্যাংকের কর্মকর্তারা জেনেবুঝেই এ অননুমোদিত কাজে জড়িয়েছেন। সূত্র: বণিক বার্তা ।

বিএনপির তলে তলে প্রার্থী বাছাই
♦ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া না নেওয়া নিয়ে হিসাব-নিকাশ ♦ বর্তমান সরকারের অধীনে যাওয়া নিয়ে দলের ভিতরে দ্বিমুখী অবস্থান

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রশ্নে বিএনপির ভিতরে-বাইরে চলছে আলোচনা। চলছে চুলচেরা হিসাব-নিকাশ। বর্তমান সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে কি না- এ নিয়ে কোনো ঘোষণা না দিলেও ভিতরে ভিতরে চলছে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ। দলের হাইকমান্ড তারেক রহমানের নির্দেশনায় রাজপথে আন্দোলনের পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিচ্ছে বিএনপি। এ ব্যাপারে তিনি সংশ্লিষ্ট নেতাদের অনেক আগেই নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রতিটি আসনে একাধিক নেতা কাজ করছেন। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিএনপির পার্লামেন্টারি বোর্ড। এ নিয়ে কারও মাঝে কোনো দ্বিধা-দ্বন্দ্ব বা ওজর-আপত্তি চলবে না। বিগত নির্বাচনের মতো তাড়াহুড়ো করে প্রার্থী বাছাই করতে গিয়ে যাতে এলোমেলো পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়- সেজন্য এবার আগে থেকেই পরিকল্পিতভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি। দলের নীতিনির্ধারণী মহলের একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। তবে দলের শীর্ষ নেতাদের কেউ স্বনামে নির্বাচনী প্রস্তুতির ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হননি। এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিএনপি শতভাগ নির্বাচনমুখী দল। নির্বাচন করেই কয়েকবার সরকার গঠন করেছে। নির্বাচনের বিকল্প কিছু বিএনপি চিন্তা করে না। তবে তা হতে হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। এ জন্যই আমরা ১০ দফা দাবি আদায়ে রাজপথে নেমেছি। কালকে যদি নিরপেক্ষ সরকার এসে দায়িত্ব গ্রহণ করে- তাদের অধীনে নির্বাচনে যেতে পরদিনই প্রস্তুতি নেবে বিএনপি। তবে এই অবৈধ সরকারের অধীনে বিএনপি কখনই কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না। বিএনপি স্থায়ী কমিটির অপর একজন সদস্য জানান, নির্বাচন যখনই হোক না কেন, বিএনপির প্রার্থী বাছাইয়ে এবার তেমন বেগ পেতে হবে না। কারণ, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ৩০০ আসনে সহস্রাধিক প্রার্থীর নামের তালিকা আগে থেকেই আছে। এখান থেকেই আমলনামা ও এলাকার অবস্থান দেখে সংযোজন-বিয়োজন করে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দলের পার্লামেন্টারি বোর্ড। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

নারী জনপ্রতিনিধি পদ যেন ‘শুভঙ্করের ফাঁকি’

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান (দায়িত্ব, কর্তব্য ও আর্থিক সুবিধা) বিধিমালায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের দায়িত্বের বিষয়ে স্পষ্ট করে বলা আছে, ‘একাধিক স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারবেন; চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হলে অস্থায়ী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন তারা।’ বিধিমালায় এমন ক্ষমতা দেয়া থাকলেও তৃণমূলের নারী জনপ্রতিনিধিদের বাস্তব অবস্থার প্রতিধ্বনি শোনা গেল রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগমের কণ্ঠে। চার বছর হলো নির্বাচিত হয়েছেন; অথচ এখন পর্যন্ত উপজেলা পরিষদে বসার একটা জায়গাও পাননি তিনি। তার অভিযোগ, স্থানীয় সংসদ সদস্যই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেন, তাই এতদিন কোনো কাজও জোটেনি। জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি এই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

রমজানে বাংলাদেশের বাজারে পণ্যের দাম ৩০% পর্যন্ত বাড়ার শঙ্কা

বাংলাদেশে রমজান মাসে চাহিদা বেড়ে যায় এমন পণ্যের দাম গত বছরের তুলনায় এ বছর ২৫-৩০ শতাংশ বাড়তি থাকবে বলে আশঙ্কা করছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে গত বছরের দামের সাথে এ বছরের দাম যদি এক হয়, তারপরও ডলারের এক্সচেঞ্জ রেটের কারণে পণ্যের দাম ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বেশি হবে।রমজান মাসে বাজারে তেল, ছোলা, খেজুর, চিনিসহ বেশ কিছু পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়।তবে পণ্যের বাজারে কোন ধরনের ঘাটতি নেই বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। তারা বলছে যে, বাজারে পণ্যের ঘাটতি না থাকলেও, ব্যবসায়ীরা যোগসাজস করে পণ্যের দাম বাড়ায় যাতে বাজার অস্থিতিশীল করা যায়। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

ভেজাল বীজে রাজবাড়ীর হাজারো পেঁয়াজ চাষির মাথায় হাত

কেউ এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ক্ষেত করেছেন, কারও আয়ের একমাত্র পথ পেঁয়াজ চাষ, কিন্তু ভেজাল বীজের কারণে জমি মরে ‘চুঁচা’ হয়ে যাওয়ায় এখন রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে রাজবাড়ীর শত শত কৃষকের।পাংশা, বালিয়াকান্দি ও কালুখালী- এই তিন উপজেলাতেই অন্তত এক হাজার হেক্টরের বেশি জমির পেঁয়াজ চারা মরে গেছে তথ্য দিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, তারা কৃষকদের জন্য ক্ষতিপূরণ আদায়ের চেষ্টা করছেন। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা বলছেন, যারা বীজ সরবরাহ করেছেন তারাও পেঁয়াজ চাষি, এর আগেও কৃষক তাদের কাছ থেকে বীজ নিয়ে ভাল ফলন পেয়েছেন। তাহলে এবার কেন এমন হলো?তদন্তে নেমে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, এসব বীজ তিন থেকে চার বছরের পুরনো। যে কারণে ফসলের এই ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ‍্য মতে, জেলায় এ বছর ৩৩ হাজার ১৫৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে পাংশা, বালিয়াকান্দি ও কালুখালী- এই তিন উপজেলাতেই সবচেয়ে বেশি ‘হালি পেঁয়াজ’ উৎপাদিত হয়। এ বাইরে সদর ও গোয়ালন্দেও স্বল্প পরিমাণে এই পেঁয়াজের চাষ হয়।