বিবিসির অ্যাকাউন্টসে অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে ভারত
ভারতের আয়কর বিভাগ বলেছে যে তারা বিবিসির দপ্তরে যে জরিপ চালিয়েছিল তিনদিন ধরে, তাতে সংস্থাটির অ্যাকাউন্টসে তারা অনিয়ম খুঁজে বার করেছে।
যে বিবৃতি আয়কর দপ্তর দিয়েছে, তাতে অবশ্য স্পষ্ট করে বিবিসির নাম উল্লেখ করা হয় নি। কিন্তু এই বিবৃতি জারি করা হয়েছে তিনদিন ধরে দিল্লি আর মুম্বাইতে বিবিসির দুটি দপ্তরে হানা দেওয়ার পরেই।


বিবিসি জানিয়েছে তারা আয়কর বিভাগের সঙ্গে সবরকম সহযোগিতা করবে এবং তারা কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সরাসরি কোনও বার্তা পেলেই তার জবাব দেবে।
আয়কর বিভাগের এই অভিযোগ উঠল ভারতে বিবিসির একটি তথ্যচিত্র নিয়ে বিতর্ক চলার মধ্যেই।
কী অভিযোগ আয়কর বিভাগের?
আয়কর বিভাগ শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জারি করা বিবৃতিতে বলেছে যে তারা “একটি নামকরা আন্তর্জাতিক মিডিয়া সংস্থার” দিল্লি আর মুম্বাই দপ্তরে ‘জরিপ’ চালিয়েছিল। ওই সংস্থাটি “হিন্দি, ইংরেজি এবং আরও বেশ কয়েকটি ভারতীয় ভাষায় অনুষ্ঠান প্রস্তুত করে” বলেও লেখা হয়েছে ওই বিবৃতিতে।
আয় এবং লাভের যে অঙ্ক ওই ‘সংস্থা’টি দেখিয়েছে, “তা ভারতে তাদের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়”, লেখা হয়েছে এই বিবৃতিতে।
“তদন্তে এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে ভারতে এই বিদেশি সংস্থার কিছু অংশের রেমিটেন্সকে ভারতে সংস্থার আয় হিসাবে দেখানো হয়নি এবং তার ওপর কর জমা দেওয়া হয়নি,” বলেছে আয়কর বিভাগ।
‘বিবিসি একটা নির্ভরযোগ্য, স্বাধীন সংবাদ প্রতিষ্ঠান’
বৃহস্পতিবার তিনদিন ধরে ভারতে বিবিসির দপ্তর দুটিতে তল্লাশি চালানোর পরে বিবিসি জানিয়েছিল, “আমরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতা জারি রাখব এবং এটা আশা করব যে বিষয়গুলি দ্রুত নিষ্পত্তি হবে।”
বিবিসি এটাও জানিয়েছিল যে সংস্থাটি কর্মীদের পাশে আছে, বিশেষ করে যাদের দীর্ঘসময় জেরার সম্মুখীন হতে হয়েছে বা রাতে দপ্তরেই থেকে যেতে হয়েছে তাদের সুস্থতা আমাদের কাছে অগ্রাধিকার।
“আমাদের সংবাদ সংক্রান্ত কাজকর্ম স্বাভাবিক হয়ে গেছে এবং আমরা ভারত আর তার বাইরে দর্শক ও শ্রোতাদের সংবাদ পরিবেশনের জন্য দায়বদ্ধ,” বলেছিল বিবিসি।
বিবিসির প্রেস অফিস ওই বিবৃতিতে বলেছিল, “বিবিসি একটা নির্ভরযোগ্য, স্বাধীন সংবাদ প্রতিষ্ঠান এবং আমরা আমাদের সহকর্মী ও সাংবাদিকদের পাশেই আছি, যারা নির্ভীকভাবে, কোনও আনুকুল্য ছাড়া সংবাদ দিতে থাকবেন।”
বিবিসির তথ্যচিত্র নিয়ে বিতর্ক
বিবিসির তথ্যচিত্র, ‘ইন্ডিয়া: দ্যা মোদী কোশ্চেন’ শুধুমাত্রা যুক্তরাজ্যের টেলিভিশনে দেখানো হয়েছিল, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার চেষ্টা করেছিলেন যাতে মানুষ সেটি শেয়ার করতে না পারেন।
এটাও বলা হয়েছিল যে ওই তথ্যচিত্রটি ‘শত্রুতাপূর্ণ প্রচার এবং ভারত-বিরোধী জঞ্জাল’ যেটি বানানো হয়েছে ঔপনিবেশিক মানসিকতা নিয়ে’। সূত্র- বিবিসি বাংলা
সারাদিন/১৮ ফেব্রুয়ারি/এমবি