ভালোবাসা দিবসে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেলে, তরুণীর লাশ উদ্ধার
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস। এই দিন জেসমিন আক্তার (২৭) নামে এক তরুণীর সাথে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে কক্সবাজারের বাজারঘাটা এলাকায় সি বার্ড হোটেলে ওঠেন মোস্তাফিজুর রহমান। পরদিন হোটেল কক্ষ থেকে ওই তরুণীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। কথিত স্বামী মোস্তাফিজুর পালিয়ে যান।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) র্যাব-৭-এর সহকারী পরিচালক মো: নুরুল আবছার গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান। এর আগে গতকাল (শুক্রবার) সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় আত্মগোপনে থাকা কথিত স্বামী মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আটক মোস্তাফিজুর রহমান খুলনার বাগেরহাট সদর উপজেলার আতাইকাঠী গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে। ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে এক নারীকে নিয়ে কক্সবাজার শহরের হোটেল সি বার্ডে ওঠেন তিনি।
প্রাপ্ত তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে র্যাব জানিয়েছে, ওই নারী মোস্তাফিজের স্ত্রী নয়। এর আগেও একাধিকবার নারী নিয়ে হোটেলে ছিলেন তিনি। ১৪ ফেব্রুয়ারি ওই নারীকে নিয়ে হোটেলে অবস্থানের সময় বাক-বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে ক্ষোভের বশে ওই নারীকে হত্যার পর হোটেল থেকে পালিয়ে যান।
এই ঘটনায় র্যাব-৭, র্যাব-১৫ ও র্যাবের গোয়েন্দা শাখা একযোগে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে। তদন্তের এক পর্যায়ে শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) আসামির অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর সন্ধ্যা ৭টায় হাটহাহাজারী থানাধীন চৌধুরীরহাট এলাকা থেকে আসামি মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে আগ্রা ১০০ নামক সিলডেনাফিল গোত্রের যৌন উত্তেজক ওষুধ উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও তার চোখের নিচে, ঘাড়ে ও কানের পেছনে নখের আচড় পাওয়া গেছে।
র্যাব-৭-এর সহকারী পরিচালক মো: নুরুল আবছার জানান, ওই নারীকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে বলে তথ্য রয়েছে র্যাবের কাছে। তবে ওই নারীর পরিচয় এখনও শনাক্ত করা যায়নি। তাই ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করা হয়েছে।
সারাদিন/১৮ ফেব্রুয়ারি/এমবি