‘ফারাজ’ বাংলাদেশে প্রদর্শন বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ
ঢাকার রাজধানী গুলশানের হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলা নিয়ে ভারতে নির্মিত সিনেমা ‘ফারাজ’ বাংলাদেশের সিনেমাহলসহ সব ধরনের অনলাইন প্লাটফর্মে প্রদর্শন ও প্রচার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো: খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো: ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
একইসাথে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, টেলিভিশন ও সিনেমা হলে ‘ফারাজ’ সিনেমার প্রদর্শন ও সম্প্রচার বন্ধে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
২০১৬ সালের ০১ জুলাই হলি আর্টিজান হামলায় নিহত অবিন্তা কবিরের মা রুবা আহমেদের করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি খসরুজ্জামান ও বিচারপতি ইকবাল কবির লিটনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এ সময় রিট আবেদনকারীর আইনজীবী আহসানুল করিম, নাহিদ সুলতানা যুঁথি এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার উপস্থিত ছিলেন। রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রোকনউদ্দিন মাহমুদ।
আহসানুল করিম গণমাধ্যমকে জানান, সিনেমা হলে সিনেমা দেখানোর জন্য সেন্সর বোর্ডের সিদ্ধান্ত প্রয়োজন হওয়ায় এ বিষয়ে হাইকোর্ট কিছু বলেননি। তিনি আরও বলেন, “ফারাজ সিনেমা হলে প্রদর্শিত হলে পরবর্তী আদেশের জন্য আমরা হাইকোর্টে আবেদন করব।”
রিট আবেদনের বরাত দিয়ে আহসানুল করিম বলেন, সিনেমাটিতে অবিন্তার চরিত্রকে এমন পোশাক পরতে বাধ্য করা হয়েছে, যা সভ্য সমাজের কোনো শিক্ষিত পরিবার অনুমতি দেবে না। আইনজীবীর ভাষ্য, ফারাজ সিনেমায় মেয়েটির চরিত্রের অবমাননা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ০১ জুলাই গুলশানে হলি আর্টিসান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় নিহত হন ফারাজ আইয়াজ হোসেন, অবিন্তা কবিরসহ ২০ জন। ওই হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হন। পরে কমান্ডো অভিযানে পাঁচ জঙ্গির মৃত্যু হয়। এই জঙ্গি হামলা নিয়ে বানানো হয়েছে বলিউড সিনেমা ‘ফারাজ’।
সারাদিন/২০ ফেব্রুয়ারি/এমবি