আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৪৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩

এহসান গ্রুপের প্রতারণা
শত কোটি টাকা কি ফেরত পাবেন গ্রাহকেরা

পিরোজপুর পৌরসভার খুমুরিয়া মহল্লার মো. ইব্রাহিম (৭০) অবসরের আট লাখ টাকা এহসান গ্রুপে আমানত রেখেছিলেন। ছয় মাস লভ্যাংশ পাওয়ার পর তা বন্ধ হয়ে যায়। অনেক ঘোরাঘুরি করেও আমানতের টাকা ফেরত পাননি তিনি। বরং টাকা চাইতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হয়েছেন। এহসান গ্রুপের চেয়ারম্যান রাগীব আহসান গ্রেপ্তারের পর ইব্রাহিম ভেবেছিলেন, জামানতের টাকা ফেরত পাবেন। কিন্তু গত দেড় বছরে ইব্রাহিমসহ কোনো গ্রাহক টাকা ফেরত পাননি। রাগীব আহসান, তাঁর বাবা ও তিন ভাইকে গ্রেপ্তার এবং তাঁদের সম্পদ আদালতের নির্দেশে ক্রোক করার পরও আমানতের টাকা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় আছেন ১০ হাজারের বেশি গ্রাহক।গ্রাহক মো. ইব্রাহিমের ছেলে মো. হাসান বলেন, ‘বাবার কাছে যত টাকা ছিল সবই এহসান গ্রুপে আমানত রাখা হয়েছে। এখন আমি মাসে আট হাজার টাকা বেতন পাই। সেই টাকা দিয়ে পাঁচজনের সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে। এহসান গ্রুপে জমা রাখা টাকাটা পেলে হয়তো ব্যবসায় বিনিয়োগ করে বাড়তি আয় করা যেত। আমাদের কষ্ট কিছুটা লাঘব হতো।’এহসান গ্রুপের চেয়ারম্যান রাগীব আহসান ও তাঁর ভাই আবুল বাশার খানকে গ্রেপ্তারের পর ঢাকার কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে হাজির করা হয়েছিল-আদালত রাগীব আহসান ও তাঁর সহযোগীদের নামের অনুকূলে ৪০টি দলিল এবং রাগীব আহসান, তাঁর ভাই আবুল বাশার, খাইরুল ইসলাম, শামীম হাসান, মাহমুদুল হাসান ও রাগীব আহসানের স্ত্রী সালমা আহসানের নামে মোট পাঁচটি বিক্রয় করা দলিলও ক্রোকের নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে দলিলসহ ১৭৭ শতাংশ জমি ক্রোক করা হয়। ওই সম্পদের মধ্যে এহসান গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ের বহুতল ভবন রয়েছে। এহসান গ্রুপের ২৫টি ব্যাংক হিসাবে ১২ লাখ টাকা পাওয়া গেছে। এসব সম্পদ ও ব্যাংকে থাকা টাকা দিয়ে এত গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়।
সূত্র: প্রথম আলো

ডায়াবেটিসের ওষুধের দাম ৩০% বেড়েছে
ব্যয়বহুল ডায়াবেটিস চিকিৎসার ব্যয় আরো বেড়েছে। এ রোগের পরীক্ষা ও চিকিৎসায় ব্যবহৃত স্ট্রিপ, ইনসুলিন এবং মুখে খাওয়া বিভিন্ন ওষুধের দাম বাড়ায় রোগীপ্রতি মাসিক খরচ দুই থেকে চার হাজার টাকা বেড়েছে। এসব খরচ পুরোটাই রোগীকে বহন করতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ পরিবারের ডায়াবেটিক রোগীর চিকিৎসা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। ওষুধ বিক্রেতারা বলছেন, গত এক বছরে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বেড়েছে ওষুধের দাম।গতকাল সোমবার ঢাকার শাহবাগে বারডেম হাসপাতালে গিয়ে দেখা মেলে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের বাসিন্দা মাবিয়া বেগমের। ১০ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি টাইপ-২ ডায়াবেটিসে ভুগছেন। আগে গড়ে তাঁর মাসিক খরচ দুই হাজার টাকা হলেও ওষুধের দাম বাড়ায় এখন প্রতি মাসে খরচ হচ্ছে প্রায় পাঁচ হাজার টাকা।
হতাশা প্রকাশ করে মাবিয়া বলেন, ‘শরীর বেশি খারাপ করলেই আসা হয়। এ ছাড়া আসি না। ডায়াবেটিসের সঙ্গে কিডনির সমস্যা বাড়ছে। এত খরচ কুলাতে পারি না।’ সূত্র: কালের কণ্ঠ

বিচার বিভাগীয় প্রতিবেদন
ফুলপরীকে নির্যাতনের প্রমাণ মিলেছে

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছাত্রী ফুলপরী খাতুনকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। হলের গণরুমে নির্যাতনের অভিযোগে গঠিত বিচার বিভাগীয় প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এ কথা। মঙ্গলবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে দাখিল করা প্রতিবেদনে এ বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।তোমার হাতে-পায়ে ধরে মাফ চাই, ফুলপরীকে ইবির সেই ছাত্রলীগ নেত্রী আগের দিন সোমবার সকালে ওই শিক্ষার্থীকে শারীরিক নির্যাতন করে ভিডিও ধারণের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মনিরুজ্জামান মিল্টন প্রতিবেদনটি অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে জমা দেন। এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ফুলপরীকে রাতভর মারধর ও শারীরিক নির্যাতন করে ভিডিও ধারণের ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। কমিটিতে একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন শিক্ষককে রাখতে বলা হয়েছে। কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসককে ৩ দিনের মধ্যে এই কমিটি গঠন করতে বলা হয়। পরবর্তী ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়। সূত্র: সমকাল

নতুন যুক্ত হলো ৪৪ দেশ
১০১ দেশের দ্বৈত নাগরিকত্বের সুযোগ পাচ্ছেন বাংলাদেশীরা
বাংলাদেশীদের জন্য দ্বৈত নাগরিকত্বের পরিসর আরো সম্প্রসারিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে সরকারি চাকরিতে থাকা ব্যক্তিরা এ সুযোগ নিতে পারবেন না। এর আগে নিজ দেশের পাশাপাশি ৫৭ দেশের নাগরিকত্ব নেয়ার সুযোগ মিলত। সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরো ৪৪টি দেশ। সব মিলিয়ে এখন এ সুবিধার আওতায় আসছে ১০১টি দেশ। অর্থাৎ এসব দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করা কোনো বাংলাদেশী চাইলে দেশেও নাগরিকত্ব অব্যাহত রাখতে পারবেন। গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিকালে সরকারের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
দ্বৈত নাগরিকত্বের সুযোগকে নানাভাবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। অভিবাসন-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দ্বৈত নাগরিকত্বের সুযোগ কাজে লাগিয়ে অনেকে অবৈধভাবে দেশ থেকে অর্থ পাচার করেন। অনেকে নিরাপদ ও উন্নত জীবনের কারণে দ্বৈত নাগরিকত্বের সুযোগ নেন। তবে দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে দেশে বিনিয়োগের সুযোগও রয়েছে। যদিও এ সুযোগ খুব কমই গ্রহণ করেন বাংলাদেশীরা। সূত্র: বণিক বার্তা।

Nagad

গোয়েন্দা তথ্য বলছে, অর্থপাচার ‘প্রায় অপ্রতিরোধ্য’
আমদানি-রপ্তানি পণ্যের প্রতিযোগিতামুলক দামের কোন তথ্যভান্ডার না থাকায় বৈদেশিক বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্থপাচার প্রতিরোধ করা প্রায় অসম্ভব এবং দেশ থেকে ইতোমধ্যে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা কিংবা বিদেশে পাচার করা সম্পদের বিপরীতে কর আদায় করা খুবই কঠিন বলে মনে করছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘অর্থপাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে গঠিত জাতীয় সমন্বয় কমিটির গত ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থাপিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণাধীন আর্থিকখাতের গোয়েন্দা সংস্থাটি।বিএফআইইউ তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, কার্যকর আইনের অভাবে দুর্নীতি, সরকারি তহবিল তছরুপ, কর ফাঁকির মাধ্যমে অর্থপাচার হচ্ছে। এসব ঘটনা তদন্ত ও বিচারিক প্রক্রিয়ায় দক্ষ লোকের অভাব রয়েছে। সামগ্রিকভাবে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হলে ছোট-খাটো দুর্নীতি কমে আসবে’ উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওভার ইনভয়েস ও আন্ডার ইনভয়েসের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি অর্থপাচার হয়। রপ্তানিতে মূল্য সংযোজন কর না থাকা এবং আমদানির ক্ষেত্রে শূন্য শুল্কহার থাকায় কাস্টমস কর্মকর্তারা রপ্তানি চালান যাচাইয়ে কম মনোযোগী হন। পাচারকারীরা এই সুবিধাটিই বেশি গ্রহণ করছে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

দ্বার খুলবে এয়ারপোর্ট-বনানী
♦ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ ৯৫ শতাংশ ♦ বনানী-মগবাজার ৫১ শতাংশ ♦ মগবাজার-যাত্রাবাড়ী চলছে পাইলিং

রাজধানীর যানজট নিরসনে জাদুর কাঠি হিসেবে কাজ করবে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (উড়ালসড়ক)। দেশের প্রথম ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে চলছে বিরতিহীন কর্মযজ্ঞ। এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম অংশের (কাওলা-বনানী) নির্মাণকাজের ৯৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। বিমানবন্দর থেকে বনানী পর্যন্ত প্রথম অংশের সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজ চলছে। একই সঙ্গে ব্যারিয়ার ও ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজ শেষ হলে পুরোপুরি প্রস্তুত হবে এ অংশের কাজ। খুব দ্রুতই এক্সপ্রেসওয়ের এ অংশ উদ্বোধন করে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেবে কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, প্রকল্পটি নির্মাণের সুবিধার্থে তিন ফেজে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম অংশ এয়ারপোর্ট-বনানী রেলস্টেশন পর্যন্ত। দ্বিতীয় অংশ বনানী রেলস্টেশন-মগবাজার পর্যন্ত। সবশেষ মগবাজার-চিটাগাং রোডের কুতুবখালী পর্যন্ত। যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত চার লেনের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মূল লেনের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসংলগ্ন কাওলা থেকে তেজগাঁও রেলগেট পর্যন্ত দৈর্ঘ্য সাড়ে ১১ কিলোমিটার। প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম সাখাওয়াত আকতার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ খুব দ্রুতগতিতে চলছে। কাজের গতি আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারব বলে আশা করছি। এই এক্সপ্রেসওয়েটির কাজ শেষ হলে বিমানবন্দর থেকে চিটাগাং রোড পর্যন্ত যেতে ১৫-২০ মিনিট লাগবে। একই সঙ্গে ঢাকার যানজট অনেকটা কমে যাবে।’ তিনি বলেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণ পাশ থেকে বনানী রেলস্টেশন পর্যন্ত ৭ দশমিক ৪৫ কিলোমিটারের প্রথম অংশের কাজ শেষ পর্যায়ে। ইতোমধ্যে মূল কাজ শেষ হয়েছে। অগ্রগতি ৯৫ শতাংশ। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

রমজান আসন্ন : বাজারে কারসাজির আশঙ্কা
উৎকণ্ঠায় সাধারণ মানুষ, কঠোর সরকার
সবাই মিলে বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি। কিন্তু ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না। পণ্যের ঘাটতি নেই, ঘাটতি ব্যবস্থাপনার -ডিজি, ভোক্তা অধিকার

রমজান আসন্ন। হাতে সময় এক মাসও নেই। তাই রোজাকে সামনে রেখে ভোক্তাদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার শেষ নেই। এমনিতে রোজা আসার আগেই নিত্যপণ্য সব জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া।চাল, ডাল, মাছ, মাংসসহ অনেক পণ্যের দাম চড়া। সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। তবে সরকার দাবি করছে, রোজার সময় বেশি প্রয়োজনীয় ছয়টি পণ্যের তেমন কোনো সংকট হবে না। কিছু পণ্য ইতোমধ্যে আমদানি হয়ে বাজারে ঢুকছে। বাকি পণ্য আসার পথে। এছাড়া গতবারের তুলনায় এবার আমদানির পরিমাণও বেশি। এদিকে বিশেষজ্ঞদের অনেকে বলছেন ভিন্নকথা। তারা মনে করেন, প্রতিবারই সরকারের তরফ থেকে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। কিন্তু রোজা শুরু হলে দেখা যায় ভিন্নচিত্র।এমনিতে এবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে মন্দা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিশেষ করে ডলারের উচ্চমূল্যসহ ডলার সংকটের কারণে অনেক ব্যবসায়ী সময়মতো এলসি খুলতে পারেননি বলে অভিযোগ রয়েছে।এমন পরিস্থিতিতে তাদের আশঙ্কা, ব্যবসায়ীদের কারসাজির কারণে তেল, চিনি ও ছোলাসহ কিছু পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির পাঁয়তারা হতে পারে। সেক্ষেত্রে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হলেও প্রভাবশালীরা সব সময় থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে। সূত্র: যুগান্তর

শিল্পের স্বার্থকেই অগ্রাধিকার
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা, ডলার সংকট, ঋণদাতা সংস্থার সংস্কার প্রস্তাব মেনে চলা প্রভৃতি নানামুখী চাপে রয়েছে সরকার। সংকটের মধ্যেও আগামী বাজেটে দেশের শিল্পোদ্যোক্তাদের খুশি করার প্রয়াস থাকছে।
দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ বাতিল করার দাবি জানালেও আগামী বাজেটে তা কার্যকর করা হবে না। বরং শিল্প খাতে টাকার জোগান বাড়াতে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ রাখা হবে।
আইএমএফ থেকে ঋণ ছাড় করাতে নতুন খাতে শুল্ক-কর-ভ্যাট আরোপ, বিদ্যমান শুল্কহার বাড়ানো এবং মওকুফ সুবিধা বাতিলের উদ্যোগ নেওয়া হলেও শিল্পোদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের আপত্তিতে আগামী বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগ বাতিলের শর্তের সবটা মানা হবে না। বরং দেশি শিল্পে বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে অধিক ব্যবহৃত কাঁচামাল এবং মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে রাজস্ব ছাড় ও রেয়াতি সুবিধা দেওয়া হবে।
শিল্পের ১৯টি খাতে কর অবকাশ সুবিধা দেওয়া হবে। করপোরেট করে নতুন হার যোগ করা হবে না বলে জানা গেছে। সূত্র: দেশ রুপান্তর

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার ‘মাদকপ্রবণ অঞ্চল’ ঘোষণা করা হলে কী হতে পারে?

বাংলাদেশের চট্টগ্রাম শহর ও কক্সবাজার জেলাকে ‘মাদকপ্রবণ অঞ্চল’ হিসাবে ঘোষণা করে কড়া পদক্ষেপ নেয়ার ব্যাপারে সরকারের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে।রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকেও এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, যদিও এরকম কোন পদক্ষেপ নেয়ার ব্যাপারে এখনো চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।কিন্তু কীভাবে এসব এলাকায় মাদকের বিস্তার ঠেকানো যায়, এ নিয়ে আলোচনা করছেন সরকারের নীতিনির্ধারকরা। সংসদ সদস্য ও কর্মকর্তারা বলছেন, দেশে মাদকের ‘প্রবেশদ্বার’ হিসাবে পরিচিত কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। আবার পর্যটন এলাকা হিসাবে খ্যাত কক্সবাজারকে এভাবে চিহ্নিত করা হলে তা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে-সেই আশঙ্কাও রয়েছে।
বাংলাদেশের একাধিক জাতীয় দৈনিকে খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, সংসদীয় কমিটির সুপারিশের পর বাংলাদেশের সরকার চট্টগ্রাম মহানগর ও কক্সবাজার জেলাকে ‘মাদকপ্রবণ অঞ্চল’ হিসাবে ঘোষণা দেয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

‘ফ্লোর প্রাইস’ নিয়ে পুঁজিবাজারে উভয় সংকট
পুঁজিবাজারে বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ারের সর্বনিম্ন দর বা ‘ফ্লোর প্রাইস’ ১১৫ টাকা ৬০ পয়সা। কিন্তু এই দরে ক্রেতা নেই। গত এক মাসের মধ্যে গত ২৯ জানুয়ারি এই দরে সর্বোচ্চ ২৪ হাজার ৮৩৭টি শেয়ার হাতবদল হয়। গত ১৬ ফেব্রুয়ারির পর একদিনই এক হাজারের বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে সোমবার।অথচ গত ২০ সেপ্টেম্বর যেদিন শেয়ারটির দর ১৪০ টাকা ছিল, সেদিন হাতবদল হয় ২ কোটি ৩৮ লাখ ৫৮ হাজার ৮১টি শেয়ার। যার আর্থিক মূল্য ৩৩৪ কোটি টাকার বেশি। গত ছয় কর্মদিবসের কোনো একদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সব কোম্পানি মিলিয়েও এই পরিমাণ লেনদেন হয়নি।টিপু সুলতান নামে এক বিনিয়োগকারীর বেক্সিমকো লিমিটেডের পাঁচ হাজার শেয়ার আছে। তিনি পুঁজিবাজারকেন্দ্রিক একটি ফেইসবুক গ্রুপে পোস্ট দিয়ে জানিয়েছেন, একশ টাকা দরে দিয়ে দিতে আগ্রহী তিনি। সূত্র: বিডি নিউজ