সামিটের মূল লক্ষ্য হলো ‘দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ’

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৭:০৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ৪, ২০২৩

সংগৃহীত ছবি

দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে সংগঠনটির উদ্যোগে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ২০২৩।

শনিবার (৪ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদপত্র ও টেলিভিশনের সম্পাদক এবং প্রধান নির্বাহীদের সম্মানে আয়োজিত এক মধ্যাহ্নভোজে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশ বিজনেস সামিট কেবল এফবিসিসিআইর একার আয়োজন নয়, এই আয়োজনের অংশীদার দেশের সবাই। সবার সহযোগিতা বিশেষ করে গণমাধ্যমের সহযোগিতা ব্যতীত এত বড় আয়োজন সফল করা সম্ভব হবে না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিজনেস সামিট আয়োজনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো- দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ। অর্থনীতি এবং সম্ভাবনাময় শিল্পগুলোকে বৈশ্বিক ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী, উদ্ভাবক, নীতিনির্ধারক, বাজার বিশ্লেষক এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে তুলে ধরা।

জসিম উদ্দিন বলেন, ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে বর্তমান বোর্ড এই সামিটের যাত্রা শুরু করল। পরবর্তী বোর্ড প্রতি দুই বছর পরপর, কিংবা সম্ভব হলে প্রতি বছর সামিটের আয়োজন অব্যাহত রাখবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে আরও তরান্বিত করতে একটি ফ্ল্যাগশিপ বিজনেস ইভেন্ট হিসেবে কাজ করবে ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ২০২৩’। যার মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতির শক্তি ও সামর্থ্য, বাজার সম্ভাবনা এবং উদীয়মান খাতগুলোকে তুলে ধরে হবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সহযোগিতায় সামিট অনুষ্ঠিত হচ্ছে জানিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি আরও বলেন, দেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের সম্ভাবনা, বাধা ও উত্তরণের উপায় খুঁজে বের করতে ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী, বিশ্লেষক ও নীতি-নির্ধারকদের নিয়ে সামিটে তিনটি প্ল্যানারি সেশন, ১৩টি প্যারালাল সেশন, উন্মুক্ত আলোচনা, বিটুবি মিটিং, নেটওয়ার্কিং সেশন অনুষ্ঠিত হবে। এসব সেশনের সুপারিশ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

Nagad

এ বিজনেস সামিটের মাধ্যমে বিশ্ববাজারে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের মাধ্যমে দেশে অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে বলেও মনে করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।

এ সময় প্রজেক্টরের মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ২০২৩’ বিস্তারিত তুলে ধরা হয় ।

বাংলাদেশে উৎপাদিত সেরা পণ্যগুলোকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে সামিটের অংশ হিসেবে আয়োজন করা হয়েছে ‘বেস্ট অব বাংলাদেশ এক্সপো ২০২৩’। স্বাধীনতার ৫০ বছরে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে এমন প্রতিষ্ঠান বা উদ্যোক্তাদের সম্মানিত করা হবে এফবিসিসিআই বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডে।

অন্যান্যের মধ্যে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহ-সভাপতি এম এ মোমেন, মো. আমিন হেলালী, সালাউদ্দিন আলমগীর, মো. হাবীব উল্লাহ ডন, এম. এ. রাজ্জাক খান রাজ, পরিচালক আমজাদ হোসেন, কাজী এরতেজা হাসান, শমী কায়সার, এফবিসিসিআইর টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার এবং পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাশরুর রিয়াজ এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক, সিইও এবং জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা।